ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » মুক্তচিন্তা » বিস্তারিত

রাজনৈতিক দল নিবন্ধন

২০২০ জুন ২৩ ১৬:৫৯:২৪
রাজনৈতিক দল নিবন্ধন

রণেশ মৈত্র


বাংলাদেশ জাতীয় পরিষদের পরবর্তী নির্বাচন সংবিধান মোতাবেক ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। অপরদিকে বর্তমান নির্বান কমিশন যা ব্যাপকভাবে বিতর্কিত, তার মেয়াদ শেষ করবে ২০২১ সালে এবং একই সময়ে গঠিত হবে নতুন নির্বাচন কমিশন। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের পর সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে আরও এক বছর সময় হাতে থাকবে। সুতরাং রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আইনে যা কিছু সংস্কারের বা সংশোধনের প্রয়োজন তা করার জন্য তাঁরা একটি বছর সময় পাবেন এবং রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইনের মূল কাঠামো যখন আগেই নির্মিত হয়ে আছে তখন তার যা কিছু সংস্কার সংশোধন প্রয়োজন বলে বিবেচিত হবে তা করার জন্য এক বছর সময় যথেষ্ট। তদুপরি যেহেতু বিদায়ী নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ এক বছর পরেই শেষ হতে চলেছে তখন বিদায়কালে ঐ আইন সংস্কারে হাত না দেওয়াই তাঁদের পক্ষে সমীচীন।

তদুপরি ২০২২ সালে অনুষ্ঠিতব্য সাধারণ নির্বাচন যখন অনুষ্ঠিত হবে তখন হয়তো তৎকালীন পরিস্থিতির বিবেচনায় বেশ কিছু নতুন সংশোধনীর প্রয়োজনীয়তা দেখা দেবে এবং সেক্ষেত্রে সে কাজটি দায়িত্ব নতুন নির্বাচন কমিশনের কাঁধেই এসে বর্তাবে। তাই এখন একবার বিদায়ী নির্বাচন কমিশন আইনটির সংশোধন করবেন আবার নতুন নির্বাচন কমিশন এসেই নতুন কিছু সংশোধনী আনবেন-এভাবে দফায় দফায় দেশের রাজনৈতিক দল নিয়ন্ত্রণকারী কোন আইনের সংস্কার-সংশোধনী সম্পূর্ণ অনাকাংখিত। সুতরাং আবেদন রাখবো, বিদায়ী নির্বাচন কমিশন এই কাজটি স্থগিত রাখুন এবং নতুন নির্বাচন কমিশনের জন্যেই বিষয়টি রেখে দিন।

তদুপরি, নিবন্ধন বিষয়টি যেহেতু দিনে দিনে যথেষ্ট গুরুত্ব অর্জন করেছে তাই নিবন্ধিত ও নিবন্ধনকামী দলগুলির মনোনীত প্রতিনিধি ও বিশেষজ্ঞ আইনজীবীর সাথে দফায় দফায় বৈঠকে বসা ও প্রস্তাবনা নানা দিক গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণই বাঞ্ছনীয়। কিন্তু চলমান ভয়াবহ করোনা ভাইরাসে ব্যাপক সংক্রমণ জনিত বিশেষ পরিস্থিতিতে তেমন কোন আয়োজনও সম্ভব না। এ কারণেও বিষয়টি স্থগিত রাখার সুপারিশ করছি।

এই নিবন্ধটি লেখার প্রেরণা পেয়েছি ১৭ জুন তারিখে “দলের নিবন্ধন শর্তে কড়াকড়ি শিরোনামে প্রকাশিত নিম্নোক্ত খবরটি পড়ে। ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়েছেঃ

রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন শর্তে কড়াকড়ি আরোপ করা হচ্ছে। এজন্য নতুন আইন তৈরী করেছে নির্বাচন কমিশন। গণপ্রতিনিধিত্ব আবেদন (আর পি ও) থেকে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের ধারা উপধারাগুলো আলাদা করে নতুন এই আইন করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে দলের ভেতরে এক দলীয় ব্যবহার গঠনতন্ত্র ও নারী প্রতিনিধি দলগুলোকে লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করার বিধান রেখে রাজনৈতিক দলসমূহের নিবন্ধন আইন-২০২০ নামে আইনের খাড়া প্রস্তুত করেছে নির্বাচন কমিশন। এক যুগ আগে একটি নিবন্ধন শর্ত পূরণ করেই দল নিবন্ধন পেয়েছে। আগামীতে দুটি শর্ত পূরণ করতে হবে আগ্রহী দলগুলিকে। প্রস্তাবিত রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইনের বিষয়ে মতামত জানাতে তা ওয়েব সাইটে প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ৭ জুলাই পর্য্যন্ত মতামত দিতে পারবেন রাজনৈতিক দল ও নাগরিকেরা।

ইসির খসড়া আইনে নিবন্ধন শর্তাবলীতে রাখা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় কমিটিসহ সকল পর্য্যায়ের কমিটিতে ন্যূনপক্ষে শতকরা ৩৩ ভাগ সদস্যপদ নারী সদস্যদের জন্য সংরক্ষিত রাখার ঘোষণা দিতে হবে। কমিশনে প্রদেয় বার্ষিক প্রতিবেদনে এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের বিবরণ অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। তা ছাড়া ইসিতে নিবন্ধন আবেদন করার তারিখ হতে পূর্ববর্তী দুটি সংসদ নির্বাচনে দলীয় নির্বাচনী প্রতীক দিয়ে কমপক্ষে একটি আসনে জিততে হবে। অথবা সংসদ নির্বাচনের যে কোন একটিতে দরখাস্তকারী দল নির্বাচনে প্রদত্ত মোট ভোটের শতকরা ৫ ভাগ ভোট পেতে হবে। অথবা দলের কেন্দ্রীয় কমিটি, সক্রিয় কেন্দ্রীয় দফতর, অন্যূন এক তৃতীয়াংশ প্রশাসনিক জেলায় কার্য্যকর জেলা দফতার, অন্যূন ১০০ উপজেলা বা মেট্রোপলিটান থানার প্রতিটিতে কার্য্যকর দফতর সহ ন্যূনপক্ষে ২০০ ভোটার সদস্য হিসাবে দলের তালিকাভূক্ত থাকতে হবে।

ইসির রাজনৈতিক দল নিবন্ধন শাখার উপসচিব আবদুল হালিম খান জানিয়েছেন মৌলিক বিধানাবলী অক্ষুন্ন রেখে ইসির আইনগুলোকে ইংরেজীর পরিবর্তে বাংলা ভাষায় প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আর পি ওর) হিসেবে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আর পিও)এর অনুচ্ছেদ ৯০ এ-৯০ ই পর্য্যন্ত বিদ্যমান আইনে না রেখে ‘রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন’ নামে বাংলায় একটা খসড়া করা হয়েছে। তিনি বলেন, নিবন্ধিত দলগুলির সভাপতি। সাধারণ সম্পাদকের কাছে ই-মেইলে খসড়াসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠানে হয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে দলের মতামত জানাতে বলা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন ও রাজনৈতিকদল নিবন্ধন কেন?

২০০৮ সাল থেকে ও আমরা চলমান আইনের বিধান অনুযায়ী নির্বাচন পরিচালনা এবং নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতার বড্ড অভাব দেখেছি। ২০০৮ এর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল সেনাবাহিনী সমর্থক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের তত্ত্বাবধানে। ঐ নির্বাচন মোটামুটি নিরপেক্ষ হয়েছিল কিন্তু পরবর্তী দুটি নির্বাচনই মারাত্মকভাবে প্রশ্নবিধ। কাজেই সর্বাগ্রে প্রয়োজন যে কোন নির্বাচন নিরপেক্ষতার সাথে যাতে অনুষ্ঠিত হতে পারে। প্রচলিত আইন যদি নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে অক্ষম হয় তাহলে তার সংস্কার সর্বাগ্রে প্রায়োজন ।

বিশেষভাবে মনে রাখা প্রয়োজন, নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলগুলির অভিভাবক বা নিয়ন্ত্রক নন। তাঁরা আমলা মাত্র। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলি জনগণ দ্বারা গঠিত এবং সেই হেতু কম বেশী তাঁরা জনগণের প্রতিনিধিত্ব করবেন এবং জনমতের প্রতিফলন ঘটান। তাই রাজনৈতিক দল নয় কমিশনের সুস্পষ্ট দায়িত্ব সকল স্তরের নির্বাচন, উপনির্বাচনগুলি যাতে পরিপূর্ণভাবে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয় তা সুনিশ্চিত করা। কিন্তু এই দায়িত্বকে গঠন বিবেচনা রাজনৈতিক দলের অভিভাবকের মত আচরণ সংশ্লিষ্ট আইনের মাধ্যমে ঘটছে। এটা দু:খজনক এবং আপত্তিকর।
সংবিধান হোক প্রদান মাপকাঠি

বাংলাদেশের সংবিধান বলতে ঐতিহাসিকভাবে, নৈতিকভাবে, আদর্শগতভাবে অবিকল ১৯৭২ সালকে বুঝায়।
তাই সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট, পার্লামেন্ট মন্ত্রীসভা, নির্বাচন কমিশন-সকলকেই ঐ সংবিধানের নির্দেশাবলী, বিশেষ করে তার চার মৌলনীতি মোতাবেক চলতে এবং আচরণ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু প্রণীত সেই সংবিধান পরবর্তীকালে সংশোধন করা হলেও সেগুলি বে-আইনী এবং বৈধতা বিহীন।

তাই রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনকে ঐ মূলনীতি অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে। যেমন:-

এক. সকল রাজনৈতিক দলের মেনিফেষ্টোতে সুষ্পষ্টভাবে ১৯৭২ এর সংবিদানে বর্ণিত মূলনীতিগুলি অনুসরণ করার ঘোষণা স্পষ্টাক্ষরে লিখিত থাকবে;

দুই. সাম্প্রদায়িক, ধর্মাশ্রয়ী ও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী কোন দলকে রেজিষ্ট্রেশন দেওয়া হবে না;

তিন. কোন রেজিষ্ট্রেশন প্রাপ্ত দল যদি সাম্প্রদায়িক, ধর্মান্ধ ও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী কোন ভূমিকা প্রত্যক্ষ বা অপ্রত্যক্ষভাবে পালন করে বা ঐসব শক্তিগুলির অস্তিত্ব বজায় রাখতে বা অনুরূপ ব্যক্তি ও সংগঠনগুলির সাথে দহরম মহরম করতে বা তাদেরকে প্রশ্রয় দিতে দেখা যায় তাবে সেই সব রেজিষ্ট্রেশন প্রাপ্ত দলের রেজিষ্ট্রেশন বাতিল করা হবে;

চার. কোন রাজনৈতিক দলের কোন সদস্য যদি নারী নির্য্যাতন, নারী অপহরণ, নারী ধর্ষণ খুন, দুর্নীতি ব্যাংকের টাকা আত্মশাত, বিদেশে অর্থ পাচার, মাদক জাতীয় পণ্যাদির বে-আইনী ব্যবসায়, ভূয়া পাসপোর্ট তৈরী ও মানব পাচারের মত অবৈধ কাজে লিপ্ত থাকেন, দলটি যদি এমনতরো অপরাধীদেরকে আজীবন বহিস্কার করে তাদের বিরুদ্ধে থানায় মোকর্দমা দায়ের করে সংশ্লিষ্ট মহলগুলিকে সাজা প্রদানে সহযোগিতা প্রদান না করেন ও এরমন অপরাধীদের বিরুদ্ধে তদন্ত কাজে আন্তরিক সহযোগিতা প্রদান না করেন-তবে সেই দল বা দলগুলির রেজিষ্ট্রেশন বাতিল করা হবে;

পাঁচ. যে কোন স্তরের নির্বাচনে যে সকল দলীয় প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিরুদ্ধে বে-আইনী অস্ত্র রাখা বা সশস্ত্র বাহিনী পোষা, সাম্প্রদায়িক বা আঞ্চলিক প্রচারণার অভিযোগ পাওয়া যাবে তৎক্ষণাৎ নির্বাচন কমিশন স্থগিত করে তদন্ত শুরু করবেন এবং তদন্ত শেষে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে তাঁকে আজীবন নির্বাচনে দাঁড়ানো বা ভোট প্রদানের অধিকার বঞ্চিত হবেন। তবে অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলে নতুন তারিখ নির্ধারণ করে সেই আসনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।

নতুন দলের নিবন্ধীকরণ

নির্বাচন কমিশন সর্বদা মনে রাখবেন যে দল গঠন দেশের নাগরিকদের মৌলিক অধিকার। আমাদের মত দলগুলিতে জনমত গঠনের মূল বাহনই হলো রাজনৈতিক দল। তাই রাজনৈতিক দলগঠনে ও তার রেজিষ্ট্রেশনে কোন কড়াকড়ি নয় বরং তার নিয়মকানুন অনেক সহজ করা বাঞ্ছনীয়। এক্ষেত্রে যে কোন অভিযোগে কঠোরতা আরোপ নাগরিক অধিকার না মৌলিক অধিকার পরিপন্থী।

তদুপরি এ দেশের শতকরা অন্তত: ৮০ ভাগ মানুষ দরিদ্র এবং দরিদ্র জনগণের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। করোনা ও এক্ষেত্রে দারিদ্র্য বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। কিন্তু সেই দরিদ্র জনগণের স্বার্থে দল গঠন করতে হলে সেই দলগুলির রাজধানী ও বিভাগীয় শহর, জেলা-উপজেলায় সুসজ্জিত অফিস স্থাপন দল গঠনকালে আদৌ সম্ভব না। এমন কি দল গঠনের ১০ বছরের মধ্যেও তা সম্ভব হয়ে উঠতে না-ও পারে।

তাই দরিদ্র মানুষেরা যাতে অবাধে দল গঠন করে নিজেদের ও দেশের স্বার্থ রক্ষার কাজে নিয়োজত হতে পারেন সে কাজে নির্বাচন কমিশনকে সর্বতোভাবে সহায়তা দিতে হবে। বিন্দুমাত্র কড়াকড়ি নয়। বরং যতটা সম্ভব নিয়মাবলী সহজ করতে হবে।

এই মৌলিক বিষয়টি মাথায় রেখে রাজনৈতিক দল বিধি বিধান প্রণয়ন করতে হবে।

প্রথমত: ১৯৭২ এর সংবিদানের মৌল চার রাষ্ট্রীয় নীতির প্রতি অকুণ্ঠ আনুগত্য প্রকাশ করতে হবে দলীয় ঘোষণাপত্রে।

দ্বিতীয়ত: ঘোষণাপত্রে আরও থাকতে হবে, নারী সদস্যের সংখ্যা যাতে সকল স্তরের কমিটিতে শতকরা ৫০ ভাগে উন্নীত হয় আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে। উল্লেখ্য, নারীরা সাধারণত রাজনৈতিক দলের সদস্য হতে আজও অনাগ্রহী। যাঁরা আগ্রহী তাঁরা সরকারি দল বা সরকার গঠনে সহসাই সক্ষম হতে পারে এমন দলের সদস্যপদই তাঁরা আকৃষ্ট হচ্ছেন। ফলে কোন সংখ্যা বা অনুপাত বাধ্যতামূলক করা হলে তা হবে নেহায়েতই অবস্তব।

তৃতীয়ত: নতুন রাজনৈতিক দল রেজিষ্ট্রেশন পেতে হলে দলীয় প্রতীকে পূর্ববর্তী নির্বাচনে অন্তত: একজন বিজয়ী সাংসদ থাকতে হবে বা অন্তত: শতকরা ৫ ভাগ ভোট পেতে হবে, খসড়ায় এ জাতীয় যা বলা হয়েছে তা বাদ দিতে হবে কারণ তা অবাস্তব। তেমনই সকল স্তরে অফিস বা ২০০ জন ভোটার সদস্য একটি নবগঠিত দলে থাকার বিষয়টিও অবাস্তব।

এক্ষেত্রে স্মরনণে রাখতে হবে কালো টাকা ও সন্ত্রাস আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গকে মারাত্মকভাবে কলুষিত করে ফেলেছে এবং রাজনীতিকে ওগুলি থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাশ্রয়ী দল বা দলগুলিকে বছরের যে কোন সময় রেজিষ্ট্রেশন চাওয়ার তিন মাসের মধ্যে দিতে হবে। কারণ নানা স্তরে সর্বদাই দলীয় ভিত্তিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
তবে নতুন আইন বাংলায় নিলিখিত প্রস্তাবকে স্বাগত জানাই।

প্রত্যাশা এই যে এই মৌলিক সুপারিশগুলির ভিত্তি বিনা দ্বিধায় নতুন দলের রেজিষ্ট্রেশন দেওয়ার বিধান সহজতর করা হোক।

লেখক : সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, ঐক্য ন্যাপ।