ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » অর্থ ও বাণিজ্য » বিস্তারিত

লতিফুর রহমানের মৃত্যু অপূরণীয় ক্ষতি : এফবিসিসিআই সভাপতি

২০২০ জুলাই ০১ ১৬:১০:৫৮
লতিফুর রহমানের মৃত্যু অপূরণীয় ক্ষতি : এফবিসিসিআই সভাপতি

স্টাফ রিপোর্টার : ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিল্পপতি লতিফুর রহমানের মৃত্যু দেশ ও জাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম।

বুধবার (১ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের চিওড়া ইউনিয়নের চিওড়া গ্রামের নিজ বাড়িতে মারা যান তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, তার মৃত্যু দেশ ও জাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। তাকে হারিয়ে আমরা শোকাহত। আমি মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা এবং তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।

শিল্পপতি লতিফুর রহমানের মৃত্যুতে এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে শেখ ফজলে ফাহিম শোকবার্তা দেন।

জানা গেছে, তিনি দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। শেষ সময়গুলোর বেশিরভাগ সময়ই তিনি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বাড়িতে থাকতেন।

লতিফুর রহমান জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো পরিচালনাকারী মিডিয়া স্টার এবং ডেইলি স্টার পরিচালনাকারী মিডিয়াওয়ার্ল্ড লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি ফাস্টফুড, কোমলপানীয়, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক পণ্য, ওষুধ, সংবাদপত্র, চা শিল্প, বীমা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি ন্যাশনাল হাউজিংয়ের উদ্যোক্তা পরিচালক।

ট্রান্সকম গ্রুপ যার উৎপত্তি হয়েছিল চা চাষের মাধ্যমে, এখন বাংলাদেশের অন্যতম একটি বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠান, যার রয়েছে ১৬টি কোম্পানি। ১০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান এ গ্রুপে।

এছাড়া লতিফুর রহমান এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক ও নেসলে বাংলাদেশ, হোলসিম বাংলাদেশ এবং ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স ও ইনভেস্টমেন্টের চেয়ারম্যান। তিনি লিন্ডে বাংলাদেশ এবং এনজিও ব্র্যাকের গভর্নিং বোর্ডের পরিচালক। এছাড়া তিনি আইসিসি বাংলাদেশের সহ-সভাপতি ছিলেন।

লতিফুর রহমানের জন্ম জলপাইগুড়িতে, ১৯৪৫ সালের ২৮ আগস্ট। তিনি ঢাকার গেন্ডারিয়ায় থাকতেন। পড়াশোনার শুরু সেন্ট ফ্রান্সিস স্কুলে। সেখান থেকে ১৯৫৬ সালে শিলংয়ের সেন্ট এডমন্ডস স্কুলে। তারপর কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে। ১৯৬৫ সালে ঢাকায় ফিরে আসেন লতিফুর রহমান। ঢাকায় এসে ১৯৬৬ সালে ডব্লিউ রহমান জুট মিলে ট্রেইনি হিসেবে কাজ শুরু করেন। দেড় বছর কাজ শেখার পর নির্বাহী হিসেবে যোগ দেন। এভাবে কাজ করেন ১৯৭১ সাল পর্যন্ত।

১৯৭২ সালে তিনি সবকিছু নতুন করে শুরু করেছিলেন প্রায় শূন্য হাতে। নিজের হাতে তৈরি বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক গ্রুপ ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান ছিলেন।

ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে নীতি-নৈতিকতা, সুনাম আর সততার স্বীকৃতি হিসেবে ২০১২ সালে তিনি পান বিজনেস ফর পিস অ্যাওয়ার্ড, যা ব্যবসা-বাণিজ্যের জগতে নোবেল বলে খ্যাত।

(ওএস/এসপি/জুলাই ০১, ২০২০)