ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » অর্থ ও বাণিজ্য » বিস্তারিত

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ঝুঁকি ‘কমেছে’

২০২০ জুলাই ০৪ ১৪:৩২:১৮
শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ঝুঁকি ‘কমেছে’

স্টাফ রিপোর্টার : মহামরি করোনাভাইরাসের প্রকোপ এবং ফ্লোর প্রাইসের (শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম) কারণে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অনিহা দেখা দিয়েছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। এতে দেখা দিয়েছে লেনদেন খরা। আবার যেসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম ফ্লোর প্রাইসের ওপরে রয়েছে, তার বেশিরভাগেরই প্রায় দরপতন হচ্ছে। এতে শেয়ারবজারে বিনিয়োগের ঝুঁকি কমে এসেছে।

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ঝুঁকি নির্ণয় করা হয় মূল্য আয় অনুপাত (পিই) দিয়ে। সাধারণত ১০-১৫ পিইকে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ঝুঁকি মুক্ত ধরা হয়। আর কোনো কোম্পানির পিই ১০ এর নিচে চলে গেলে, ওই কোম্পানির শেয়ার দাম অবমূল্যায়িত ধরা হয়।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহের লেনদেন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত কমে ৯ দশমিক ৩০ পয়েন্টে চলে এসেছে। যা আগের সপ্তাহের ছিল ১০ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত কমেছে ১ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট।

শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাধারণ বাজার হিসেবে বিবেচনা করলে বর্তমান শেয়ারবাজার বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নিরাপদ। কিন্তু বর্তমান করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে, শুধু পিই দিয়ে ঝুঁকি সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা সম্ভব না। বর্তমানে একটি অস্বাভাবিক অবস্থা চলছে। এ বাজারে কোনো যুক্তি সঠিকভাবে কাজ করবে না।

এ বিষয়ে ডিএসইর এক সদস্য বলেন, পিই ১০ নিচে চলে যাওয়ার অর্থ হলো বাজার বিনিয়োগের জন্য খুবই উপযুক্ত। কিন্তু এই করোনা মহামারির মধ্যে এ যুক্তি পুরোপুরি কাজে আসবে না। কারণ বর্তমান পরিস্থিতিতে যেকোনো কিছু দ্রুত পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে। সে কারণে এখন বিনিয়োগকারীদের সতর্কতার সঙ্গে বিনিয়োগ করতে হবে।

তিনি বলেন, অনেক ভালো ভালো কোম্পানির শেয়ার দাম ফ্লোর প্রাইসে আটকে আছে। ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করার কারণে এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমতে পারছে না। ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে নিলে, দেখা যাবে এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দরপতন হচ্ছে। তখন কিন্তু মার্কেট পিই আরও কমে যাবে।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, আগের মতোই সব থেকে কম পিই রয়েছে ব্যাংক খাতের। নানা সমস্যায় জর্জরিত ব্যাংকের শেয়ারের ব্যাপক দরপতনের কারণে এ খাতের পিই ৬ দশমিক ৫৩ পয়েন্টে নেমে গেছে। দীর্ঘদিন ধরেই ব্যাংক খাতের পিই ৬-এর ঘরে রয়েছে।

ব্যাংকের পাশাপাশি আরও দু’টি খাতের পিই ১০- এর নিচে রয়েছে। এর মধ্যে খাদ্যখাতের পিই ৭ দশমিক ৫১ পয়েন্টে রয়েছে। আর টেলিযোগাযোগের পিই ৯ দশমিক ২৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

পিই ১৫-এর নিচে থাকা খাতগুলোর মধ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের পিই ১০ দশমিক ১৯ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসনের ১১ দশমিক ১৩ পয়েন্টে, বীমার ১০ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট, তথ্য প্রযুক্তির ১৩ দশমিক ৮৬ পয়েন্টে, প্রকৌশলের ১৩ দশমিক ৩৫ পয়েন্টে, বস্ত্রের ১৩ দশমিক ২৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

এছাড়া ওষুধ ও রসায়নের ১৬ দশমিক ৫১ পয়েন্টে, চামড়ার ১৮ দশমিক ১৩ পয়েন্টে, বিবিধের ১৯ দশমকি ৭৪ পয়েন্টে, আর্থিক খাতের ২০ দশমিক ৯১ পয়েন্টে, সিরামিকের ৩০ দশমিক ৩১ পয়েন্টে, সিমেন্টের ২৬ দশমিক শূন্য ১ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশের ৩০ দশমিক ৯০ পয়েন্টে, পাটের ৩১ দশমিক ১২ পয়েন্টে এবং কাগজের ৪৩ দশমিক ৫৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

(ওএস/এসপি/জুলাই ০৪, ২০২০)