ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রচ্ছদ » আইন আদালত » বিস্তারিত

সাহারা খাতুনের মৃত্যুতে শোকাহত শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা

২০২০ জুলাই ১১ ১৬:৩১:২৫
সাহারা খাতুনের মৃত্যুতে শোকাহত শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা

স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের মৃত্যুতে গভীর শোকাহত প্রিলিমিনারি (এমসিকিউ) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আইনজীবী সনদের গেজেট দাবিকারী শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা। লিখিত ও ভাইভা পরীক্ষা ছাড়া আইনজীবী সনদের দাবিতে সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে অনশন ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ব্যানার টানিয়ে এ শোক জানান।

শনিবার (১১ জুলাই) বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে বনানী কবরস্থানে মায়ের কবরে সমাহিত করা হয় সাহারা খাতুনকে। এর আগে সকাল ১০টার দিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাইতুশ শরফ জামে মসজিদে তার প্রথম জানাজা হয়। এরপর বনানী জামে মসজিদের সামনে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাকে শ্রদ্ধা জানান সবাই।

নানা জটিলতা নিয়ে অসুস্থ সাহারা খাতুনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৬ জুলাই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ব্যাংককে নেয়া হয়েছিল। ভর্তি করা হয় সেখানকার বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) রাতে তার মৃত্যু হয়।

শুক্রবার (১০ জুলাই) মধ্যরাতে মরদেহ ব্যাংকক থেকে ঢাকা পৌঁছায়। রাতে বিমানবন্দরে সাহারা খাতুনের মরদেহ গ্রহণ করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। আওয়ামী লীগ নেতারা বিমানবন্দরে মরদেহ গ্রহণের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন।

শনিবার বেলা ১১টার আগে বনানী কবরস্থানে জাতীয় পতাকা ও আওয়ামী লীগের দলীয় পতাকা মোড়ানো সাহারা খাতুনের মরদেহ আনা হয়। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে শ্রদ্ধা জানানো হয়। আওয়ামী লীগ, ১৪ দল, জাসদ ছাড়াও আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপতিম সংগঠন যুবলীগ, কৃষকলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও শ্রমিক লীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের তরফ থেকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয় সাহারা খাতুনের কফিনে। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে মায়ের কবরে দাফন করা হয়।

৭৭ বছর বয়সী সাহারা খাতুন জ্বর, অ্যালার্জির সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় আক্রান্ত ছিলেন। গত ৩ জুন ভোর ৪টা ৪০ মিনিটে শ্বাসকষ্ট নিয়ে তিনি রাজধানীর ইউনাইডেট হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ব্যাংক যাওয়ার আগ পর্যন্ত সেখানেই তার চিকিৎসা চলছিল।

১৯৪৩ সালের ১ মার্চ ঢাকার কুর্মিটোলায় জন্মগ্রহণ করেন সাহারা খাতুন। তার বাবার নাম আব্দুল আজিজ ও মাতার নাম টুরজান নেসা। সাহারা খাতুন তিন মেয়াদ ধরে ঢাকা-১৮ আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত সংসদ সদস্য। ২০০৮ সালে মহাজোট ক্ষমতায় এলে প্রথমে তাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয়। পরে সেখান থেকে সরিয়ে পাঠানো হয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে।

সাহারা খাতুন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে একজন আইনজীবী হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক। এছাড়া তিনি আন্তর্জাতিক মহিলা আইনজীবী সমিতি ও আন্তর্জাতিক মহিলা জোটের সদস্য।

(ওএস/এসপি/জুলাই ১১, ২০২০)