ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রচ্ছদ » মুক্তিযুদ্ধ » বিস্তারিত

১৭ অক্টোবর, ১৯৭১

ইন্দিরা গান্ধী ও জোশেফ টিটো এক বৈঠকে মিলিত হন

২০২০ অক্টোবর ১৭ ০০:২৫:৫১
ইন্দিরা গান্ধী ও জোশেফ টিটো এক বৈঠকে মিলিত হন

উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক :নয়াদিল্লীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও যুগোশ্লাভ প্রেসিডেন্ট জোশেফ টিটো এক বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে উভয় নেতা বাংলাদেশ প্রসঙ্গ নিয়ে মত বিনিময় করেন।

মুক্তিবাহিনীর একটি এ্যামবুশ দল কুমিল্লার রমজানপুরে পাকসেনাদের একটি টহলদার দলকে এ্যামবুশ করে। পাকসেনারা পাল্টা আক্রমণ চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে আধঘন্টা গুলি বিনিময় হয়। এই সংঘর্ষে পাকবাহিনীর ১০ জন সৈন্য ও ১৮ জন রাজাকার নিহত হয়। অপরদিকে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা আহত হন।

মুক্তিবাহিনীর বীর যোদ্ধারা সিলেট, কুমিল্লা, যশোর, ময়মনসিংহ ও রংপুর জেলার সীমান্ত অতিক্রম করে ২৩ টি গ্রামে রাজাকারদের অবস্থানের ওপর আক্রমণ চালায়। এতে মুক্তিযোদ্ধারা বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ দখল করে এবং কয়েকশ‘ রাজাকারকে বন্দি করে।

৮নং সেক্টরের বয়রা সাব-সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর একদল মুক্তিযোদ্ধা দশাতিনায় পাকসেনাদের এ্যামবুশের আওতায় পড়ে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। এই সংঘর্ষে পাকবাহিনীর ৩ জন নিহত ও ২ জন রাজাকার আহত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা অক্ষত অবস্থায় নিরাপদে নিজেদের ঘাঁটিতে ফিরে আসে।

১নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর একদল যোদ্ধা পাকসেনাদের পূর্বদেবপুরে এ্যামবুশ করে। পাকসেনারা পাল্টা গুলি চালালে উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা গুরুতরভাবে আহত হন।

গভর্নর ডাঃ এ.এম. মালিক ময়মনসিংহ সার্কিট হাউস ময়দানে দালালদের সভায় মুক্তিকামীদের নিধনে রাজাকারদের কার্যকরী ভুমিকার ভ’য়সী প্রশংসা করেন।

তিনি বলেন, ‘বিশ্বাসঘাতকরা পেছন থেকে ছুরি না মারা পর্যন্ত মুসলমানরা কখনো যুদ্ধে হারেনি, স্বাধীন বাংলার প্রবক্তাদের পরিনাম মীরজাফর, উর্মিচাঁদ, জগৎশেঠদের অবস্থা দাঁড়াবে।’

কুমিল্লার কথিত ভাষাবিদ এম. জামান তার পাকিস্তান প্রেমের নিদর্শন হিসেবে বাংলা ও উর্দু হরফের মিশ্র এক ফর্মূলা কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করেন। তিনি জানান, এতে করে দুই দেশের সমঝোতা বাড়বে।

পুর্ব পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রঅ আবুল কাসেম চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউট হলে মুক্তিকামীদের নিধনে রাজাকারদের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘ট্রেনিংপ্রাপ্ত ও প্রয়োজনীয় অস্ত্রে সজ্জিত রাজাকারদের সংখ্যা বর্তমানে ৫৫ হাজার। রাজাকারদের প্রয়োজনীয়তার কথা বিবেচনা করে শিগগিরই এ সংখ্যা ১ লাখে বাড়ানো হবে।’

তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।
(ওএস/এএস/অক্টোবর ১৭, ২০২০)