ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রচ্ছদ » দেশের খবর » বিস্তারিত

দেবনগরে মামলা তুলে না নেওয়ায় বাদিকে পিটিয়ে জখম 

২০২০ অক্টোবর ১৭ ২২:৪৩:৫০
দেবনগরে মামলা তুলে না নেওয়ায় বাদিকে পিটিয়ে জখম 

রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : মামলা তুলে নিতে রাজী না হওয়ায় চাঁদাবাজি মামলার আসামীরা প্রকাশ্যে বাদিকে মারপিট করেছে। আগামি তিন দিনের মধ্যে মামলা তুলে না নিলে খুন করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে সাতক্ষীরা সদরের মথুরাপুর বাইপাস সড়কের পাশে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

সাতক্ষীরা জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. রফিকুল ইসলাম বলেন, তার ও চাচাত ভাই গোলাম রব্বানীর পৈতৃক ও দলিলমূলে পাওয়া ১২০ বছরের ভোগদখলীয় মথুরাপুর মৌজার ২৫ শতক জমি গায়ের জোরে দখল করার চেষ্টা করে আসছিল একই গ্রাম দেবনগরের আকবর আলীর ছেলে আবু সাঈদ, আবু বক্কর, আবু রায়হান, সাদ্দাম, রেজাউল, মোহাম্মদ আলীর ছেলে আলমগীর হোসেন, ইসমাইলের ছেলে টুটুল ও নজরুলসহ কয়েকজন।

এ নিয়ে তিনি বাদি হয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে পিটিশন ৫৮৬/২০ নং মামলা করেন সাঈদ, টুটুল, নজরুল, আবু বক্করসহ সাত জনের বিরুদ্ধে। বিচারক বদিউজ্জামান মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সদর সহকারি ভূমি কমিশনারকে নির্দেশ দেন। একইসাথে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন । পুলিশ এ নিয়ে নোটিশ করায় বিবাদীরা ক্ষুব্ধ হয়। ১২ অক্টোবর রাত ৯টায় মথুরাপুর সরকারি পুকুর পাড়ে তার কাছে ১০ লাখ টাকা চায় আবু সাঈদ, মোত্তাসিন বিল্লাহ ওরফে টুটুল ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী নজরুলসহ ১৫জন। চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় তাকে মারপিট করা হয়।

এ ঘটনায় তিনি বাদি হয়ে টুটুল, নজরুল ও আবু সাঈদসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে ১৩ অক্টোবর মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে মামলা দায়ের করেন। বিচারক হুমায়ুন কবীর মামলাটি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এজাহার হিসেবে গণ্য করে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ি মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা উপপরিদর্শক শরিফুল ইসলাম গত বুধবার রাতে টুটুল ও নজরুলকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠায়।

তিনি আরো জানান, সদর তহশীলদার কামরুল ইসলাম এক নোটিশ করে ১২ অক্টোবর জমির তদন্তে যাবেন বলে তাকে অবহিত করেন। অসুস্থতার কারণে সময়ের আবেদন করলে তহশীলদার সেদিন না গেলেও রেকান নোটিশ ছাড়াই হঠাৎ করে শনিবার সকাল ১১টায় বিবাদিদের সঙ্গে নিয়ে বিরোধপূর্ণ জমিতে যান।

খবর পেয়ে তিনি ও চাচাত ভাই গোলাম রব্বানী জমিতে যান। তদন্ত শেষে মথুরাপুর বাইপাস সড়কে উঠলে আবু সাঈদ, আবু বক্কার, আবু রায়হান, সাদ্দাম হোসেন, রেজাউল, আলমগঅরসহ কয়েকজন তাকে এলোপাতাড়ি কিল, চড় ও ঘুষি মেরে আহত করে। সাঈদ তার গলায় দা ধরে বলে যে, আগামি তিন দিনের মধ্যে মামলা তুলে না নিলে খুন করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হবে। এমতাবস্থায় তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

জানতে চাইলে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) বোরহানউদ্দিন বলেন, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। লিখিত এজাহার দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(আরকে/এসপি/অক্টোবর ১৭, ২০২০)