ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রচ্ছদ » খেলা » বিস্তারিত

রোনালদো মানেই যেন গোলের মেলা 

২০২০ নভেম্বর ২৫ ১৩:২৫:৪৯
রোনালদো মানেই যেন গোলের মেলা 

স্পোর্টস ডেস্ক : গোলের পর গোল করে চলেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ইতালিয়ান সিরি আ কিংবা চ্যাম্পিয়নস লিগ, রোনালদোর পায়ে গোল আছেই। বয়স যেন এক সংখ্যা, ৩৫ বছর বয়সে যখন শেষের পালা। কিন্তু রোনালদো বলেই সবাইকে হার মানিয়ে একের পর এক কঠিন রেকর্ডের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন।

শনিবার তাঁর জোড়া গোলেই লিগে কালিয়ারির বিপক্ষে ২-০ গোলে জয় পেয়েছিল জুভেন্টাস। আজ চ্যাম্পিয়নস লিগেও পেয়েছেন গোল। ঘরের মাঠে ফেরেনৎভারোসের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয়ের ম্যাচে একটি গোল এসেছে রোনালদোর পা থেকে। অন্য গোলটি বদলি আলভারো মোরাতার।

প্রথমার্ধের ১৯ মিনিটে উজোনির গোলে নকআউট পর্বে ওঠার সুযোগ হাতছাড়া হতে বসেছিল জুভেন্টাসের। তবে অনেক সুযোগ নষ্টের পরও শেষ পর্যন্ত হাসিমুখে মাঠ ছেড়েছেন রোনালদো-দিবালারা। আলভারো মোরাতার যোগ করা সময়ের গোলে ফেরেন্সভারোসকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পরের রাউন্ডে পা দিয়েছে ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নরা।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ‘জি’ গ্রুপে ঘরের মাঠে ২-১ গোলে জিতেছে জুবেন্টাস। মির্তো উজোনির গোলে পিছিয়ে পড়া জুভেন্টাসকে ১৬ মিনিট পরেই সমতায় ফেরান গোল মেশিন রোনালদো।

গ্রুপের অন্য ম্যাচে ডায়নামো কিয়েভের মাঠে ৪-০ গোলে জিতে শেষ ষোলোয় উঠেছে বার্সেলোনাও। চার ম্যাচে শতভাগ সাফল্যে কাতালান ক্লাবটির পয়েন্ট ১২। সমান ম্যাচে তিন জয়ে জুভেন্টাসের পয়েন্ট ৯। সমান ১ করে পয়েন্ট পাওয়া ডায়নামো ও ফেরেন্সভারোসের লড়াই এখন ইউরোপা লিগে জায়গা পাওয়ার।

শুরুতে কিছুটা অগোছালো খেলা জুভেন্টাস ম্যাচের চতুর্দশ মিনিটে প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগ পায়। বাঁ দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে রোনালদোর নেওয়া ক্রসে পাওলো দিবালার ভলি পা দিয়ে কোনোমতে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক।

পাঁচ মিনিট পর গোল খেয়ে বসে মৌসুমের শুরু থেকে বারবার হোঁচট খাওয়া জুভেন্টাস। ডান দিক থেকে তোকমাক এনগুয়েনের বাড়ানো বল এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে কিছুটা উঁচু হয়ে পেয়ে যান উজোনি। কোনাকুনি ভলিতে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন আলবেনিয়ার এই ফরোয়ার্ড।

৩৫তম মিনিটে একক নৈপুণ্যে সমতা টানেন রোনালদো। ডান দিকে হুয়ান কুয়াদরাদোর ছোট পাস ধরে খানিকটা আড়াআড়ি গিয়ে বাঁ পায়ের জোরালো শটে ঠিকানা খুঁজে নেন দলের সেরা তারকা। প্রতিযোগিতার রেকর্ড গোলদাতার আসরে এটি প্রথম গোল, মোট ১৩১টি।

৬০তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো তারা। তবে ফেদেরিকো বের্নারদেস্কির বুলেট‌ গতির শট গোলরক্ষকের আঙুল ছুঁয়ে পোস্টে লেগে ফেরে। আট মিনিট পর মোরাতার দারুন পাস ডি-বক্সে ফাঁকায় পেয়ে নিয়ন্ত্রণে নিতে গিয়ে বল হারিয়ে হতাশায় মুখ ঢাকেন রোনালদো।

৭৬তম মিনিটে আবারো দুর্ভাগ্য বাধ সাধে জুভেন্টাসের সামনে। বল পায়ে একা ডি-বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন বদলি নামা মোরাতা। সামনে একমাত্র বাধ ছিল গোলরক্ষক; বাঁ পায়ের শটে তাকে পরাস্ত করলেও পোস্ট এড়াতে পারেননি স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড। খানিক পর রদ্রিগো বেন্তানকুরের দূরপাল্লার শট কোনোমতে এক হাত দিয়ে ক্রসবারের ওপর দিয়ে পাঠান গোলরক্ষক দিবুস।

সুযোগ নষ্টের ভিড়ে যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে পার্থক্য গড়ে দেন মোরাতা। ডান দিক থেকে কুয়াদরাদোর ক্রসে তার হেড গোলরক্ষক বরাবরই ছিল; কিন্তু গতির জন্য ঠেকাতে পারেননি, পায়ে লেগে বল গোললাইন পেরিয়ে যায়।

ইউরোপ সেরার মঞ্চে পরের পর্বে ওঠার আনন্দের পাশাপাশি জুভেন্টাস শিবিরে যোগ হলো স্বস্তিও। সিরি আতে এখন পর্যন্ত টানা দুই ম্যাচ জিততে পারেনি নিজেদের খুঁজে ফেরা দলটি, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মিলল সেই স্বাদ।

(ওএস/এসপি/নভেম্বর ২৫, ২০২০)