ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রচ্ছদ » দেশের খবর » বিস্তারিত

নলতা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলায় মিথ্যা তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার অভিযোগ

২০২০ নভেম্বর ২৮ ১৭:২৯:৫৫
নলতা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলায় মিথ্যা তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার অভিযোগ

রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : যৌতুকের দাবিতে তালাকপ্রাপ্ত এক নারীর দায়েরকৃত নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় এক আওয়ামী লীগ নতার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিলের অভিযোগ উঠেছে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার ৬নং নলতা ইউপি চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আজিজুর রহমান পাড়ের বিরুদ্ধে।

নলতা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধরণ সম্পাদক মোঃ আরশাদ আলী জানান, নলতা ইউনিয়নের খানজিয়া গ্রামের মোঃ সিরাজুল ইসলামের ছেলে তার ভাগ্নে মোঃ মিজানুর রহমানের সঙ্গে পাশ্ববর্তী পান্দরি পাড়ার আব্দুল করিমের মেয়ে মোছাঃ মারিয়া খাতুনের সাথে ২০১৬ সালের ৮ আগষ্ট ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়। বিবাহের পর মিজানুর রহমান মুন্সিগঞ্জ সদরে সিএসএফ এর সহকারী ব্যবস্থাপক্ল পদে চাকুরীর সুবাদে স্ত্রীকে নিয়ে সেখানে বসবাস করাকালে তার স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়লে উভয়ের মধ্যে মনমানিল্যের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে মিজানুরের স্ত্রী এক পুত্রসন্তানসহ মারিয়া বাপের বাড়িতে চলে যায়।

এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার শালিশ হলেও মারিয়া স্বামীর ঘর করতে রাজী হয়নি। এক পর্যায়ে গত ১১ মে মিজানুর রহমান আদালতের মাধ্যমে ধার্যকৃত দেনমোহর ও খোরপোষের টাকা জমা দিয়ে তালাকনামা পাঠায়। কিন্তু মারিয়া তা গ্রহন না করে উল্টো তার তাকেসহ স্বামী মিজানুর রহমান, শ্বশুড় সিরাজুল ইসলাম, শাশুড়ি শরিফা খাতুনের নামে ৭ জুন দুপুরে মারপিট করার অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে একটি মামলা করেন। যার স্বাক্ষী করা হয় তাদের পরিবার ও আত্মীদের। আদালত তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নলতা ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন। কিন্তু বিএনপি’র অর্থযোগানদাতা ও কয়েকটি নাশকতা মামলার আসামী চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান পাড় সঠিক তদন্ত না করে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসেবে আদালতে মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।

এ নিয়ে গত শুক্রবার সকালে সরেজমিনে গেলে খানজিয়া এলাকায় গেলে মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন, শমসের আলী, মন্টু, তারিকুল, শামীম সহ স্থানীয়রা জানান, মামলায় যেদিন মারপিট করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেদিন মিজানুর রহমান তার কর্মস্থানে চাকুরীতে কর্মরত ছিল। তাছাড়া মারিয়ার বাবা জামাতার জন্য যে মোটর সাইকেল দিয়েছিল তা ফেরৎ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ওই মোটর সাইকেল মারিয়ার বাবা মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেনের বাড়িতে রেখেছেন। সোনার কানের দুলের জোড়া ফেরৎ নিয়েছে মারিয়া। তারা ঘটনার পুনারায় তদন্তের দাবি জানান।

তবে মারিয়া জানান, তিনি বেটে হওয়ায় সন্তান ও বেটে হবে এমন সব অভিযোগ এনে তার মামা শ্বশুর আরশাদ আলী তাকে না নেওয়ার জন্য ভাগ্নেকে দিয়ে ও বোনকে দিয়ে তাকে নির্যাতন করতো। শালিসে সিদ্ধান্ত হলেও তাকে নিতে না এসে মামা শ্বশুরের কথা মতো তাকে সন্তানসহ তালাক দেওয়া হয়েছে। পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ার কথা অস্বীকার করে মারিয়া বলেন, মিজানুরের দোষ ঢাকতে মামু মিথ্যাচার করছে।

নলতা ইউপি চেয়ারম্যান আরিজুল পাড় বলেন, দল মত বুঝি না। তদন্ত সাপেক্ষে সাক্ষীদের জবানবন্দি অনুযায়ি প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে।

(আরকে/এসপি/নভেম্বর ২৮, ২০২০)