ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » দেশের খবর » বিস্তারিত

কাশিমপুরে বন্দীর সঙ্গে নারীসঙ্গ : এবার জেল সুপার ও জেলার প্রত্যাহার

২০২১ জানুয়ারি ২৪ ১৮:৩৬:৩৪
কাশিমপুরে বন্দীর সঙ্গে নারীসঙ্গ : এবার জেল সুপার ও জেলার প্রত্যাহার

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর : গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১-এ এক নারীর সঙ্গে হলমার্ক কেলেঙ্কারিতে জড়িত বন্দী তুষার আহমেদের সাক্ষাতের ঘটনায় ওই কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায় ও জেলার নুর মোহাম্মদকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

রবিবার (২৪জানুয়ারি) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস.এম তরিকুল ইসলাম। রবিবার তাদেরকে প্রত্যাহার করে কারা অধিদফতরে সংযুক্ত করা হয়েছে।

এর আগে এ ঘটনায় ওই কারাগারের ডেপুটি জেলার মোহাম্মদ সাকলাইন, সার্জেন্ট আব্দুল বারী ও সহকারী প্রধান কারারক্ষী খলিলুর রহমানকে প্রত্যাহার করা হয়। দেশের আর্থিক খাতের অন্যতম কেলেঙ্কারি হলমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদের ভায়রা ও হলমার্কের মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমদকে কারা কর্মকর্তাদের কক্ষে নারীর সাক্ষাতের ব্যবস্থা করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।

এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক আবরার হোসেনকে প্রধান করে উপসচিব (সুরক্ষা বিভাগ) আবু সাঈদ মোল্লাহ ও ডিআইজি প্রিজন (ময়মনসিংহ বিভাগ) জাহাঙ্গীর কবিরকে সদস্য করে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।

এছাড়া একই ঘটনায় গত ১২ জানুয়ারি গাজীপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল কালামকে প্রধান করে গাজীপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবিবা ফারজানা ও ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরীকে নিয়ে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল।

কারাগারে সিসি ফুটেজে দেখা গেছে, গত ৬ জানুয়ারি কারাগারে প্রবেশ পথে কর্মকর্তাদের কার্যালয় সংলগ্ন এলাকায় কালো রঙের জামা পড়ে ঘোরাফেরা করছেন ঋণ কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত হলমার্কের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) তুষার আহমেদ। তিনি সেখানে আসার কিছু সময় পর বাইরে থেকে বেগুনি রঙের সালোয়ার কামিজ পড়া এক নারী সেখানে প্রবেশ করেন। কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায় ও ডেপুটি জেলার সাকলাইনের উপস্থিতিতেই এ ঘটনা ঘটে। তাদের সহযোগিতার বিষয়টিও সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে। দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে দুই যুবকের সঙ্গে ওই নারী কর্মকর্তাদের কক্ষে প্রবেশ করছেন। সেখানে তাকে অভ্যর্থনা জানান ডেপুটি জেলার সাকলাইন।

ওই নারী প্রবেশ করার পর অফিস থেকে বেরিয়ে যান ডেপুটি জেলার সাকলাইন। আনুমানিক ১০ মিনিট পর সেখানে বন্দী তুষারকে আনা হয়। এরপর তারা একটি কক্ষে ৪৫ মিনিট অবস্থান করেন।

(এস/এসপি/জানুয়ারি ২৪, ২০২১)