ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » ফিচার » বিস্তারিত

মুকুলে সুবাসিত রাজবাড়ী

২০২১ ফেব্রুয়ারি ২৮ ১৫:৪৩:১২
মুকুলে সুবাসিত রাজবাড়ী

আবুল কালাম আজাদ, রাজবাড়ী : প্রকৃতিতে শীতের প্রকোপ এবার কিছুটা কম থাকায় বেশ আগেভাগেই মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে রাজবাড়ী শহর থেকে শুরু করে গ্রামের আম বাগানগুলো। থোকা থোকা মুকুলেরভারে ঝুলে পড়েছে আম গাছের ডালপালা।

বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা ভালো ফলনের স্বপ্ন বুনছেন। জেলার পাঁচটি উপজেলার গাছগুলোতে আগের তুলনায় সবচেয়ে বেশি আমের মুকুল দেখা যাচ্ছে। কোনো কোনো গাছে আমের মুকুল থেকে বেরিয়েছে ছোট ছোট আম গুটি।

এছাড়া জেলা ও উপজেলা শহরের বাইরে জামালপুর, বহরপুর, সরিষা, বাহাদুরপুর, কলিমহর, মিরগি, সোনাপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় গাছে গাছে মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে আমের বাগান।

গাছে মুকুলের সঙ্গে গুটি আমের দেখাও মিলছে। বাগান মালিকরা আমের ভালো ফলন পেতে ছত্রাকনাশক প্রয়োগসহ বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।

জেলার কালুখালি উপজেলার মহিসভাঙা গ্রামের আম বাগানের মালিক চুন্নু শেখ বলেন, বাগানের অধিকাংশ গাছ-ই এরইমধ্যে মুকুলে ছেয়ে গেছে। এবার কুয়াশা কম থাকায় মুকুল ভালোভাবে প্রস্ফুটিত হয়েছে।

পাংশা উপজেলার বাঘারচর গ্রামের আম চাষি আহম্মদ ও রফিক এবং কালিনগর গ্রামের রাশেদ বলেন, আম বাগানে এবার আগেভাগে মুকুল এসেছে। এখন আমের ভালো ফলন পেতে ছত্রাকনাশক প্রয়োগসহ বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছি।

কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজবাড়ীর গাছে গাছে এখন প্রচুর আমের মুকুল। বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে এর সুগন্ধ। শহর থেকে গ্রামগঞ্জ সর্বত্র আমগাছ তার মুকুল নিয়ে হলদে রঙ ধারণ করে সেজেছে এক অপরূপ সাজে। গাছে গাছে অজস্র মুকুল দেখে বাম্পার ফলনের আশা করা যাচ্ছে।

তারা বলছেন, প্রাকৃতিক কারণেই এবার আগেভাগেই আম গাছে মুকুল এসেছে। পরিচর্যা আর আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে আমের উৎপাদন বাড়ছে।

কালুখালি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাবিনা সুলতানা জানান, আমের মুকুল আসার আগে-পরে যেমন আবহাওয়ার প্রয়োজন, এ বছর তা বিরাজ করছে। ডিসেম্বরের শেষ থেকে মার্চের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত আম গাছে মুকুল আসার আদর্শ সময়। এ সময়ে মুকুলের প্রধান শত্রু কুয়াশা। এখন পর্যন্ত কুয়াশা কম এবং আকাশে উজ্জ্বল রোদ থাকায় আমের মুকুল সস্পূর্ণ প্রস্ফুটিত হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, উপজেলার ২৫০ হেক্টর জমিতে আমের বাগান রয়েছে। কালুখালিতে আম চাষীরাদের অর্জন ভালো।

পাংশা উপজেলা উপ-কৃষি কর্মকর্তা রাম কৃঞ্চ সেন বলেন, উপজেলার প্রায় ৩৪০ হেক্টর জমিতে আমের বাগান রয়েছে। গাছে গাছে অজস্র মুকুল দেখে বাম্পার ফলনের আশা করা যাচ্ছে।

কালুখালি ও পাংশা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের মতো জেলার অন্যান্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।

(একে/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২১)