প্রচ্ছদ » মুক্তিযুদ্ধ » বিস্তারিত
৪ জুন, ১৯৭১
ভারতে বাঙালি শরণার্থীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৯ লাখ ৮২ হাজার ৭শত ৯২ জন
২০২১ জুন ০৪ ০০:০৭:০৮উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক :চতুর্থ বেঙ্গলের ‘এ’ কোম্পানি দুই প্লাটুন যোদ্ধা শালদা নদীর দক্ষিণে বাগড়া বাজার এলাকায় পাকবাহিনীর অবস্থানে গোপন পথে এগিয়ে অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এ আক্রমণে ১৭ জন পাকসেনা নিহত ও ৫ জন আহত হয়। এ আক্রমণের তিন ঘন্টা পর মুক্তিযোদ্ধারা দ্বিতীয় দফা আক্রমণ চালায়। এতে ৫ জন পাকসৈন্য নিহত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা অক্ষত অবস্থায় ঘাঁটিতে ফিরে আসে।
মুক্তিবাহিনী কুমিল্লার রাজপুরে পাকবাহিনীর অবস্থানের ওপর আক্রমণ চালায়।এ আক্রমণে পাকবাহিনীর ৬ জন সৈন্য নিহত ও ৩ জন আহত হয়।
পিরোজপুরে পাক বর্বরবাহিনী স্থানীয় দালালদের সহায়তায় পিরোজপুর ছাত্রলীগের সভাপতি ওমর ফারুককে ধরে এনে অমানুষিক অত্রাচার চালায়। নির্মম অত্যাচারে ওমর ফারুক শহীদ হন।
ঝালকাঠিতে পাকহানাদার বাহিনী স্থানীয় দালালদের সাহায্যে ব্যাপক নিধনযজ্ঞ চালায়। পাকবর্বরদের পৈশাচিক নির্যাতনে পাঁজিপুথিপাড়া এলাকার অনেক নিরীহ মানুষ নিহত হয়।
জাতিসংঘের মহাসচিব উ থান্টের বিশেষ দূত ইসমত কিতানী রাওয়াল পিন্ডিতে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সাথে সাক্ষাৎ করেন।
ঢাকায় সামরিক কর্তৃপক্ষ এক ঘোষণায় ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট, ইপিআর ও পুলিশের দলত্যাগী সদস্যদের (মুক্তিযোদ্ধা) আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণকারীদের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন করা হবে।
ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকমন্ডলীর পক্ষ থেকে এক যুক্ত বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা আমাদের প্রিয় ভূমি পাকিস্তানকে খন্ড করার অভিসন্ধির তীব্র নিন্দা করছি। রাজনৈতিক চরমপন্থীদের একতরফা স্বাধীনতা ঘোষনায় আমরা দুঃখ পেয়েছি ও হতাশ হয়েছি।
বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের নেতা বিশুদ্ধানন্দ মহাথেরো দেশব্যাপী দীর্ঘ ১৭ দিনের সফর শেষে বলেন, ‘পাঁচ লাখ বৌদ্ধের প্রিয় মাতৃভূমি পাকিস্তান। চিরদিন পাকিস্তান বৌদ্ধদের পবিত্র স্থান হয়েই থাকবে। বৌদ্ধরা শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে দেশকে দুষ্কুতকারীদের হাত থেকে রক্ষা করবে।’
বাংলাদেশের সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আশ্রয়-গ্রহণকারী বাঙালি শরণার্থীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৯ লাখ ৮২ হাজার ৭ শত ৯২ জন।
তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
(ওএস/এএস/জুন ০৪, ২০২১)