ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » প্রবাসের চিঠি » বিস্তারিত

অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা : আবেদন ও ভর্তি প্রক্রিয়া

২০২১ আগস্ট ২৪ ১৫:১৬:৩১
অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা : আবেদন ও ভর্তি প্রক্রিয়া

সুরঞ্জিত বিশ্বাস সুমন, ‍সিডনি প্রতিনিধি : অস্ট্রেলিয়া শুনলেই সবার মনে পড়ে ‍সিডনির অপেরা হাইজেরর কথা। আর অস্ট্রেলিয়ায় কার না আসতে মন চায়। তবে এখানে আসার সব থেকে সহজ মাধ্যম হলো পড়াশুনা করার জন্য। নামিদামি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে পড়াশোনা করার স্বপ্ন কার না থাকে? ক্যাঙ্গারুর দেশ অস্ট্রেলিয়ার পড়াশোনার মান এখন আকাশছোঁয়া। এখানে উন্নত শিক্ষার পরিবেশ, জীবনযাত্রার মান, পড়াশোনা শেষে চাকরি ও স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ রয়েছে। বিশ্বের সেরা ১০০টির মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় আছে সাতটি।

করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতি। আর এই অর্থনীতি চাঙ্গা করতে অস্ট্রেলিয়ায় এখন শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার ভিসা অনেকটা সহজ করেছে। এখানে আসার জন্য সবার প্রথমে কিছু বিষয় জানাটা খুবই জরুরি। প্রথমে থাকতে হবে ব্যক্তিগত মেধা আর এখানে আসার তীব্র আগ্রহ। এরপর অভিভাবকের আর্থিক সাচ্ছল্য। বিষয়টা শুনতে খারাপ লাগলেও এটাই সত্যি। কারণ এরা ভিন্ন ভিন্ন দেশ থেকে শিক্ষার্থী নিয়ে আসে তাদের দেশের আর্থিক উন্নতির জন্য। বলতে পারেন এটি তাদের ব্যবসা। তবে এখানে পড়াশুনার মান অনেকটাই উন্নত। যা আপনার বাস্তব জীবনে কাজে লাগবে।

ভালো রেজাল্ট এবং আইইএলটিএস বা পিটিইতে ভালো স্কোর থাকলেই অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হওয়া যায়। পিটিই আইইএলটিএস’র তুলনামূলক সহজ হওয়ায় উচ্চশিক্ষার জন্য অস্ট্রেলিয়াকেই বেশি পছন্দ করেন।

অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনার জন্য যায় তাঁদের বেশির ভাগই পড়া শেষে চাকরি নিয়ে স্থায়ীভাবে থেকে যেতে চান। অস্ট্রেলিয়ায় পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট (পিআর) পাওয়া জন্য অনেক দেশের তুলনায় সহজ। এজন্যও অনেকে অস্ট্রেলিয়াকে বেছে নেয়।

অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে টিউশন ফি নিয়ে। হ্যা আপনাকে প্রতি সেমিস্টারে টিউশন ফি দিতে হবে। তবে আপনি সেই টিউশন ফি এখানে এসে কাজ করে আয় করতে পারবেন। শুধু আপনাকে আসার আগে প্রথম টিউশন ফি বাংলাদেশ থেকে দিয়ে আসতে হবে। সেটা হতে পারে ৬-১০ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলার। খরচটা আসলে নির্ভর করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মান, কোর্সের বিষয় ও মেয়াদের ওপরে। আবার অনেক সময় ভালো রেজাল্ট করলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্কলারশিপও দেয়া হয়।

বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর লাইব্রেরিগুলো অনেক সমৃদ্ধ। তাদের আর্কাইভের বই ছাড়াও লাইব্রেরিতে অনলাইনের মাধ্যমে সারা বিশ্বের সব লাইব্রেরির বই পড়া যায় বিনামূল্যে। এ ছাড়া প্রত্যেক শিক্ষার্থী তাঁর পড়াশোনা ও গবেষণার সুবিধার্থে বিশ্বের নামিদামি জার্নাল ও পত্রপত্রিকাগুলোতেও অনলাইনে পড়তে পারে।

করোনার জন্য সম্প্রতি স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে সরকার অনেকটা পরিবর্তন করেছে। বর্ডার বন্ধ থাকায় এখন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা অনলাইনে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবে এবং এই অনলাইন স্টাডি ২ বছর অস্ট্রেলিয়ান স্টাডির বাধ্যবাধকতার অংশ হিসেবে গণনা করা হবে। আন্তর্জাতিক বর্ডার পুনরায় খোলা হলে শিক্ষার্থীরা এদেশে এসে বাকি পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবে এবং তারা সকলেই ৪৮৫ গ্রাজুয়েট ভিসা এপলাই করতে পারবে। এছড়াও ভিসা গ্রহণের ক্ষেত্রে আবেদনকারীদের অতিরিক্ত সময় প্রদান করছে। ইংরেজি ভাষা পরীক্ষার ফলাফল জমাদানের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সময় দেয়া হচ্ছে।

স্টুডেন্ট ভিসা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্যের জন্য ভিজিট করুন অস্ট্রেলিয়ার ইমিগ্রেশনের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট www.immi.gov.au।

বাংলাদেশে আরো অনেক এজেন্সি আছে যারা বিনামূল্যে ভিসা সহায়তা দিয়ে থাকে। তাদের মধ্যে: আইডিপি- https://www.idp.com/bangladesh/, গ্লোবাল রিচ https://www.globalreach.in/bangladesh, ইএসআই গ্লোবাল- https://esiglobal.com.au/, এমই ইডুকেশন- https://mieducation.com.au/

আশা করি এই বিষয়গুলো অস্ট্রেলিয়ায় পড়তে আসতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের কাজে আসবে। আরো বিস্তারিত জানতে উপরোক্ত এজেন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।

(এসবি/এসপি/আগস্ট ২৪, ২০২১)