ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রচ্ছদ » মুক্তচিন্তা » বিস্তারিত

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দুঃখ মোচনে ৮ দফার স্মারকলিপি প্রণয়ন

২০২২ জানুয়ারি ০৪ ১৫:৪৭:৩৬
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দুঃখ মোচনে ৮ দফার স্মারকলিপি প্রণয়ন

আবীর আহাদ


স্বাধীনতার সূর্যসৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধারা আজ জীবনের শেষ প্রান্তে অবস্থান করছেন। অধিকাংশ মুক্তিযোদ্ধা বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছেন। তারা নানান রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত। অনেকেরই মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। পরিবার-পরিজনসহ তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। আর্থিক কারণে অনেকেই সন্তানদের লেখাপড়া করাতে পারেননি। যদিও বা কষ্টের ভেতরে থেকেও কিছু মুক্তিযোদ্ধা সন্তান উচ্চশিক্ষা নিতে পেরেছে কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি পরশ্রীকাতর আমলাতন্ত্র ও রাজনৈতিক দুর্বৃত্তদের প্রতিহিংসাসহ বিশাল অঙ্কের ঘুষ দিতে না-পারার কারণে সবরকম যোগ্যতা থাকা সত্বেও তাদের অনেকের চাকরি হয়নি। কোনো সরকার এমনকি মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগ সরকারও মুক্তিযোদ্ধা কোটা যথাযথভাবে প্রয়োগ করেননি। উপরন্তু হৃদয়বিদারক বিষয়টি হলো, তাদের হাতেই বঙ্গবন্ধু প্রদত্ত মুক্তিযোদ্ধা কোটাটি বাতিল হয়েছে! পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের জাতীয় মর্যাদা ভুলুণ্ঠিত। জাতীয় সংবিধানে তাদের অবদানের স্বীকৃতি নেই। বিশাল সংখ্যক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা অকারণে তাদের বীরত্বে ভাগ বসিয়ে চলেছে; রাষ্ট্রীয় ভাতাসহ সবরকম সুযোগ সুবিধা সবার আগে তারাই ভোগ করছে! ফলশ্রুতিতে বীর মুক্তিযোদ্ধারা সার্বিকভাবে চরম মনোকষ্ট নিয়ে আহাজারি করে মরছেন! কোনো সরকার ও রাজনৈতিক দল এসব বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি! সবাই মনে হয় মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি হীনমন্যতায় ভুগছেন!

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় বঙ্গবন্ধুর ৭২ সালের মুক্তিযোদ্ধা সংজ্ঞাকে পাশ কাটিয়ে প্রায় পঞ্চাশ হাজার অমুক্তিযোদ্ধা, এমনকি রাজাকার-আলবদরদের মুক্তিযোদ্ধা বানানো হয়েছে যা বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রীসহ একাধিক মন্ত্রী জাতীয় সংসদে একাধিকবার অভিযোগ করেছেন। অপরদিকে একনাগাড়ে চলমান এক যুগের উর্দ্ধে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে আওয়ামী লীগ সরকারও বঙ্গবন্ধুর মুক্তিযোদ্ধা সংজ্ঞা এড়িয়ে গোঁজামিলের সংজ্ঞায় মুক্তিযোদ্ধা বানিয়েই চলেছেন। আমাদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা দেড় লক্ষের নিচে। কিন্তু বিদ্যমান তালিকায় সংখ্যাটি দু'লক্ষ পঁয়ত্রিশ হাজারের মতো। অর্থাত্ তালিকায় আশি/পঁচাশি হাজারই অমুক্তিযোদ্ধা।

আমাদের এতো অনুনয় বিনয় যুক্তি ও আন্দোলন সত্বেও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, জামুকা এবং সরকারের উচ্চমহল একেবারেই নির্বিকার। তারা তাদের ইচ্ছা মাফিক মুক্তিযোদ্ধা তালিকাকরণ তো বটেই, এতো হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় স্থান দিয়ে প্রকৃত বীরদের মর্যাদার ওপর আঘাত হেনে চলেছেন। এটা কোন ধরনের সভ্যতা ও নৈতিকতা যে, ভুয়াদের বীর মুক্তিযোদ্ধা উপাধি দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভুলুণ্ঠিত করার পাশাপাশি তাদেরকে জনগণ তথা সরকারের রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধাদি দিতে হবে? এটা যেনো তেল আর জলকে একত্রে মেশানোর সামিল।

অনেকেই বলেন, মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অতীতে যেসব ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হয়েছে তার মূল কারিগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের বিভিন্ন সময়ের ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের নেতৃবৃন্দ। কথাটি অস্বীকার করার উপায় নেই। এবং সত্যিকার তদন্ত করলে কারা সেসব ভুয়ার কারিগর তা বের করা মোটেই কঠিন নয়। কিন্তু মূল কথাটি কিন্তু অন্যত্র। সরকার যখন বঙ্গবন্ধু সরকারের সংজ্ঞাটি এড়িয়ে নানান গোঁজামিলের সংজ্ঞা ও নির্দেশিকায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই -বাছাইয়ের নীতিমালা প্রণয়ন করেছেন সে-নীতিমালার ফাঁকফোকর দিয়েই সুযোগসন্ধানী চক্র অর্থ, আত্মীয়তা ও রাজনৈতিক বিবেচনায় অমুক্তিযোদ্ধা এমনকি রাজাকারদেরও মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে দিয়েছে। এখানে তো মূল অপরাধী ঐসব গোঁজামিল সংজ্ঞার প্রণেতারা জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল তথা সরকার নিজেই!

প্রকৃতপক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক তালিকা প্রণয়নের জন্য দরকার ছিলো সরকারের সদিচ্ছা। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সরকার যখন বঙ্গবন্ধু সরকারের "মুক্তিযোদ্ধা মানে এমন একজন ব্যক্তি যিনি যেকোনো একটি সশস্ত্রবাহিনীর সদস্য হিশেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন"সংজ্ঞাটি পাশ কাটিয়ে অন্য একটি গোঁজামিলের সংজ্ঞায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাইয়ের আয়োজন করে তখন আমাদের দু:খের অন্ত থাকে না। যে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ, সেই মুক্তিযুদ্ধের যোদ্ধাদের তালিকা করার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগই যখন বঙ্গবন্ধুর মুক্তিযোদ্ধা সংজ্ঞা মানে না তখন কী বলার থাকে? যখন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এমএনএ, এমপিএ, আওয়ামী লীগ-ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টির নেতা, মুজিবনগর সরকারের সচিব, কেরানী, বিদেশী দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, গীতিকার-গায়ক-দোহার, কবি-সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, ফুটবলারসহ মুক্তিযুদ্ধের সশস্ত্র যুদ্ধের সাথে সম্পর্কহীনদেরকেও তথাকথিত মুক্তিযোদ্ধা নামে অভিহিত করা হয় তখন মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি তাদের অবদানকেও অবমূল্যায়ন করা হয়। আমি আগেই বলেছি, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের তিনটি বিশিষ্ট শ্রেণীর অবস্থান ছিলো। এরা হলো, মুক্তিযুদ্ধের রাজনৈতিক সংগঠক, মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামী। তৎকালীন মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রিপরিষদ, এমএনএ, এমপিএ, উচ্চপর্যায়সহ জেলা মহকুমা ও থানার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ প্রভৃতিরা ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। মুক্তিযুদ্ধের জন্য অস্ত্র প্রশিক্ষণ ও রণাঙ্গনে যারা বিভিন্ন ছোট-বড় ফোর্সের কমাণ্ডে সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন তারাই মুক্তিযোদ্ধা। মুজিবনগর সরকারের সঙ্গে অ-সশস্ত্র যেসব ব্যক্তিরা জড়িত ছিলেন বা বিভিন্নভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেছিলেন তারা মুক্তিকামী বলে অভিহিত হতে পারেন। এ-প্রক্রিয়ায় মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সম্পৃক্ত সব শ্রেণীকে এভাবে মূল্যায়ন করা হলে কারো কিছু বলার থাকে না। কারণ এখানে সবার ভূমিকাকে যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়েছে।

আর সবচে' দু:খের বিষয়টি হলো, মুক্তিযুদ্ধের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত রাজনৈতিক সংগঠক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিকামী ও সিংহভাগ বাঙালির সমর্থিত যে মহান মুক্তিযুদ্ধ, সেই মুক্তিযুদ্ধের কথাটি আমাদের জাতীয় সংবিধানের মূলস্তম্ভ 'প্রস্তাবনা'য় সম্পূর্ণ অনুপস্থিত। অপরদিকে শহীদ ও জনগণের প্রাণোৎসর্গের কথাটি উল্লেখ করা হলেও যাদের মহা শৌর্য ত্যাগ ও বীরত্বে অর্জিত স্বাধীনতা সেই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কথাও সংবিধানে অনুপস্থিত! সংবিধানে মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কথা স্থান না পাওয়ায় একটি স্বাধীনতাবিরোধী মতলববাজ মহল আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধকে মুক্তিযুদ্ধ না বলে একাত্তর সনটিকে গণ্ডগোলের বছর, গৃহযুদ্ধ, ভাইয়ে-ভাইয়ে যুদ্ধ, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ইত্যাদি অপবিশেষণে ভুষিত করে মুক্তিযুদ্ধের মহিমাকে ম্লান করে ইতিহাস বিকৃতি করার সুযোগ পাচ্ছে। অন্যদিকে মুক্তিযোদ্ধাদের গৌরবের স্বীকৃতি ও সুরক্ষা না থাকায় মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও অমুক্তিযোদ্ধা এমনকি রাজাকারও মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। এ-প্রক্রিয়ায় আজ মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় প্রায় আশি/পঁচাশি হাজার অমুক্তিযোদ্ধা মুক্তিযোদ্ধা হিশেবে স্বীকৃত হয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা ভুলুণ্ঠিত করার পাশাপাশি তারা রাষ্ট্রের অর্থ ও অন্যান্য সুবিধাদি ভোগ করে আসছে।

এসব বিষয়ের কুফল দূরীকরণের লক্ষ্যে আজ থেকে প্রায় চার বছর পূর্বে একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ব্যানারে আমরা সর্বপ্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে সংবিধানে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ শব্দ দু'টির সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও বঙ্গবন্ধুর মুক্তিযোদ্ধা সংজ্ঞার ভিত্তিতে ভুয়ামুক্ত মুক্তিযোদ্ধা তালিকা প্রণয়নের জন্য নানান সভা সমাবেশ পদযাত্রা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপির মাধ্যমে আমাদের সুপারিশ ও দাবি পেশ করেছি। এমনকি আমি নিজে একদা জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মহোদয়ের সামনাসামনি অবস্থান নিয়ে তা তাঁর কাছে এসব দাবি তুলে ধরেছি। পাশাপাশি অনবরত এ-বিষয়ে প্রচুর লেখালেখি করে চলেছি। বিষয়গুলো আজ মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের জাতীয় দাবিতে পরিণত হয়েছে। কিন্তু আমাদের দু:খ, আমাদের দাবির ব্যাপারে সরকার কোনো ভ্রুক্ষেপই করছেন না, উপরন্তু জামুকা নামক দানবটি সেই গোঁজামিল সংজ্ঞায় যাকেতাকে যখনতখন মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জাতীয় মর্যাদা ও গরিমা ভুলুণ্ঠিত করে চলেছেন! উপরোক্ত সব বিষয়ের ওপর চুলচেরা বিশ্লেষণ করে আমরা সম্প্রতি ৮ দফাভিত্তিক একটি স্মারকলিপি প্রণয়ন করেছি। আমরা বিশালসংখ্যক বীর মুক্তিযোদ্ধার গণস্বাক্ষর নিয়ে অচিরেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সমীপে পেশ করতে চাই। এ লক্ষ্যে সারা দেশব্যাপী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান চলছে। শহীদ ও মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে তাদের পরিবারের যেকোনো সদস্য এখানে স্বাক্ষর করতে পারবেন। এ স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযানের সময়সীমা ১৫ জানুয়ারী থাকলেও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সার্বিক অসুবিধাদি বিবেচনা করে একটা যৌক্তিক পর্যায় পর্যন্ত সময়সীমা বর্ধিত করার চিন্তাভাবনা রয়েছে।

বিশেষ করে বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাদের মর্যাদা ভুলুণ্ঠিত হওয়া ও ন্যায্য দাবি-দাওয়া সরকার বাস্তবায়ন না করা এবং সাম্প্রতিক মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ওপর মহলবিশেষের হত্যা, বাড়ি দখলসহ নানাবিধ অত্যাচারের ফলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর প্রতি চরম ক্ষোভ ও দু:খ প্রকাশ করার পাশাপাশি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু-কন্যার ওপর একধরনের চাপা অভিমান বর্ষণ করে চলেছেন।

মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ। কিন্তু আজ দু:খের সাথে বলতে হচ্ছে, বঙ্গবন্ধু কন্যার সরকারের রাষ্ট্র পরিচালনায় সেই মুক্তিযুদ্ধের মুক্তিযোদ্ধাদের তেমন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না! অথচ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী ও লুটেরাদের অনেককেই দল ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে! মুক্তিযোদ্ধারা প্রকৃতপক্ষে বঙ্গবন্ধুকে তাদের আদর্শিক পিতা হিশেবে গণ্য করেন, সে-নিরিখে তারা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে তাদের অনন্য আপনজন হিশেবে তাদের সুখদুঃখের সাথী জ্ঞান করেন সেখানে তাঁর প্রতি তাদের অভিমান কাম্য হতে পারে না। আর মুক্তিযোদ্ধাদের সীমাহীন দুর্গতি ও দু:খের কথা তো আগেই যৎকিঞ্চিত উল্লেখ করা হয়েছে, যে কারণে পেশকৃতব্য স্মারকলিপির অবতারণা করা হয়েছে। আমরা আশা করছি, বিশালসংখ্যক বীর মুক্তিযোদ্ধার গণস্বাক্ষর নিয়ে আমরা আসছে স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে আনুষ্ঠানিকভাবে সেটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সমীপে পেশ করবো। এ স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযানকে সাফল্যমণ্ডিত করার লক্ষ্যে সর্বস্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের সহযোগিতা কামনা করছি।

লেখক :চেয়ারম্যান, একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ।