ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রচ্ছদ » দেশের খবর » বিস্তারিত

নওগাঁয় পলিটেকনিকের শিক্ষকের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের দাবিতে মানববন্ধন

২০২২ জানুয়ারি ১৮ ১৭:৪৯:৩৯
নওগাঁয় পলিটেকনিকের শিক্ষকের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের দাবিতে মানববন্ধন

নওগাঁ প্রতিনিধি : কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিটিই) স্টেপ প্রকল্পের অধীনে নিযুক্ত ৭৭৭ জন শিক্ষকের চাকরি দ্রুত রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের দাবিতে নওগাঁয় মানববন্ধন করেছেন নওগাঁ সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষকরা। চাকরি রাজস্বখাতে স্থানান্তর ছাড়াও এই শিক্ষকরা মানববন্ধনে ১৮ মাসের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবি জানান।

নওগাঁ সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মঙ্গলবার দুুপুরে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধনে নওগাঁ সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের স্কিলস এ্যান্ড ট্রেইনিং এনহ্যান্সমেন্ট প্রকল্পের (স্টেপ) অধীনে নিযুক্ত ১৭ জন কারিগরি শিক্ষক অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সারা দেশে ৪৯টি সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে মোট শিক্ষক রয়েছেন ১ হাজার ৪২৭ জন। তাঁর মধ্যে রাজস্ব খাতে ৬৫০ জন শিক্ষক রয়েছেন। বাকি ৭৭৭ জন স্টেপ প্রকল্পের অধীনে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষক। দেশের সরকারি ৪৯টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শিক্ষার মানোন্নয়ন ও শিক্ষক স্বল্পতা দূর করার লক্ষ্যে ২০২০ সালে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর স্টেপ প্রকল্পটি গ্রহণ করেন। ওই প্রকল্পের অধীনে দুই ধাপে ১০১৫ জন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়। বর্তমানে কর্মরত আছেন ৭৭৭ জন। প্রকল্পটি ২০১৯ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত চালু ছিল। কিন্তু ওই প্রকল্পটি শেষ হওয়ার দিন প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদিত অনুশাসনের আলোকে স্টেপ প্রকল্পে নিযুক্ত ৭৮৬ জন শিক্ষককে সাময়িকভাবে বহালরেখে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ ওই ৭৮৬ জন শিক্ষকের চাকরি রাজস্বখাতে স্থানান্তরের প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করে। প্রকল্প থেকে রাজস্বখাতে স্থানান্তরের প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতার কারণে স্টেপ প্রকল্পের অধীনে নিযুক্ত বর্তমানে কর্মরত ৭৭৭ জন শিক্ষক গত ১৮ মাস ধরে কোনো বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। এই অবস্থায় পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন তাঁরা।

নওগাঁ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষক দেওয়ান শামসুজ্জোহা শাহীন বলেন, স্টেপ প্রকল্পের অধীনে নিযুক্ত শিক্ষকরা বন্ধ করলে সারা দেশের সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষা কার্যক্রম এক যোগে মুখ থুবড়ে পড়বে। অনেক বিষয়ের বিষয়ভিত্তিক কোনো শিক্ষকই থাকবে না। বেতন-ভাতা না পেয়ে এই শিক্ষকরা করোনা মহামারীতে চরম আর্থিক দৈন্যের মধ্যে দিনতিপাত করছেন।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নওগাঁ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষক আবু হাসান, আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, এনামুল হক, আয়েশা খাতুন, সোমা রানী, মাহমুদা ইয়াসমিন প্রমুখ।

(বিএস/এসপি/জানুয়ারি ১৮, ২০২২)