ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » দেশের খবর » বিস্তারিত

হিজরাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ সাধারণ জনগণ 

২০২২ ফেব্রুয়ারি ২৪ ১৮:৫৫:১৪
হিজরাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ সাধারণ জনগণ 

এসকে সুলতান, আশুলিয়া : চোর-পুলিশ খেলা, এ যেন দেখেও না দেখার ভাব,পুলিশের চোখের সামনেই এ কোন অদৃশ্য শক্তির আড়ালে চলছে হরহামেশাই চোখ বেঁধে বোকা বানানো এক মহা চালবাজের চাল। হ্যাঁ বলছি দেশের হিজরা বা তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের কথা কিন্তু না তারা কি প্রকৃত হিজড়া নাকি অন্য কিছু। হ্যাঁ তেমনি এক চাঞ্চল্য রহস্যময় থলে থেকে বেরিয়ে এল হিজড়া ব্যবসায়ীদের সকল অপকর্মের তথ্য আশুলিয়া সাভার ঢাকার আমিনবাজার থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত তথ্য অনুসন্ধানের মাধ্যমে পেয়েছি তাদের সকল সন্ত্রাসী বাহিনীর দৃশ্য গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে টেকনিক্যাল মোড় পর্যন্ত প্রত্যেক গাড়ি থেকে টাকা উত্তোলন বাণিজ্য ।

কিন্তু এ টাকা উত্তোলনের জন্য প্রত্যেক দলে একজন করে দলপতি থাকে যাকে তারা এই কথিত হিজড়া বাহিনী গুরুমা বলে থাকেন, আর এই গুরু মায়ের অধীনস্থ ২০-৩০ জন হজড়া বেশি সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে যায়। একইভাবে ঠিক টেকনিক্যাল মোড় হতে আসাদ গেট পর্যন্ত আরেকজন এই কথিত হিজড়া গুরুমা দায়িত্বে রয়েছেন ঠিক তার অধীনস্থ আবার ২০-৩০ জন কথিত এই হিজড়া বাহিনী প্রতিটি দোকান এবং গণপরিবহন এর প্রত্যেকটা যাত্রীর কাছ থেকে টাকা আদায় করে থাকে এই কথিত হিজড়া সন্ত্রাস বাহিনী।

ঠিক একইভাবে আসাদগেট থেকে ফার্মগেট তেজগাঁও অঞ্চলে একই রকম নিয়ম ধারায় পরিচালিত হয় এই কথিত হিজড়া, বাণিজ্য, এভাবেই যেন দিনের পর দিন চলছে এই মহামারী হিজড়া নামক সিন্ডিকেট এর তৎপরতা। মিরপুর সাভার মহাখালী সহ সারাদেশে এখন সর্বত্রই এই কথিত হিজড়া বাণিজ্য কিন্তু এ যেন দেখার কেও নেই এই কথিত হিজড়া বাহিনীর অত্যাচারে দেশের সকল ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং গণপরিবহনে চলাচল রত যাত্রীসমূহকে পড়তে হচ্ছে হরহামেশাই এক বিশাল বিড়ম্বনায়। যদি এই কথিত সন্ত্রাস বাহিনী হিজড়াদের কোন প্রকার টাকা দিতে অপারগ সীকার হলে এই কথিত হিজড়া সন্ত্রাস বাহিনী তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন এমনকি তাকে গায় হাত দিতে ও দ্বিধাবোধ করেন না এই কথিত হিজড়া বাহিনী। তবে সবচেয়ে বড় চাঞ্চল্যকর তথ্য হচ্ছে এরা কেউই প্রকৃত হিজরা নয় তারা সকলেই পুরুষ শুধু পোশাকে এবং আকার ভঙ্গিতে তারা নিজেদেরকে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ বলে তারা যেন ধোঁকাবাজি আর সন্ত্রাসী কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এর ভয়াবহতা যে কত ভয়ংকর তা সাধারণ মানুষ বুঝতে পেরেও অপারগ হয়ে মুখ বুজে সয্য করে যাচ্ছে এসকল কাজ।

সংবাদ সংগ্রহ অনুসন্ধানের সময় স্থানীয় কিছু লোকের সঙ্গে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সাথে আলাপকালে তারা বললেন এই সমস্যা সমাধানে প্রশাসনের বৃষ্টি না আসলে দেশ একদিন হিজরা জাতিতে পরিণত হয়ে যাবে যা দেশের ভাবমূর্তি অর্থনৈতিক শিক্ষা সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ব্যাপক আঘাত হানবে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।

তবে এদিকে মিরপুর গাবতলী টেকনিক্যাল মোড় যে এই সিন্ডিকেট পরিচালনা করে জালাল আহমেদ তার সঙ্গে আমি দেখা করার চেষ্টা করি কিন্তু দেখা করেননি বরং আমি তথ্য ও সংবাদ অনুসন্ধানের সময় আমার ওপর এই কথিত হিজড়া সন্ত্রাস বাহিনী আক্রমণ চালায় এবং আমার ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায়।

(এসকে/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২২)