ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » ফিচার » বিস্তারিত

আষাঢ়ের কদম ফুটেছে জৈষ্ঠ্যে!  

২০২২ মে ৩১ ১৫:২০:০৭
আষাঢ়ের কদম ফুটেছে জৈষ্ঠ্যে!  

কাজী হাসান ফিরোজ, বোয়ালমারী : ভর জৈষ্ঠ্যে আষাঢ় মাসের মতোই হঠাৎ হঠাৎ বৃষ্টি। জমির এ আইন বৃষ্টির দেখা পাচ্ছেতো ওআইল বৃষ্টির দেখা পাচ্ছেনা। প্রকৃতি রূপ ধারণ করেছে বর্ষা ঋতুর মতোই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশ আর ছয় ঋতুর দেশ থাকছেনা।

ঋতু বৈচিত্র্যের জন্যেই বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। ষড়ঋতুর দানে ভরপুর এদেশকে তাই সহজেই অন্য দেশের সাথে আলাদা করা যায়। কবি গর্ব করে বলতে পারেন, " এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি, সকল দেশের রাণী সে যে আমার জন্মভূমি।"

কবির সাথে সুর মিলিয়ে আমরাও বলি ফুল ও ফসলের দেশ আমাদের, আমরা খাদ্য ভান্ডারের মালিক। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় প্রকৃতি তার চরিত্র বদলাচ্ছে।বদলে যাচ্ছে প্রকৃতির রূপ-বৈচিত্র। প্রকৃতির এই বদল কি স্বাভাবিক? কিংবা সখ করে কি প্রকৃতি নিজের চেহারায় বদল আনছে? না! এর জন্যে সম্পূর্ণ দায়ী আমরা "মানুষ" জাতি। আমরা প্রকৃতির উপর অত্যাচার করেছি, করছি। তাই প্রকৃতি বদলে যাচ্ছে!

মধু মাস জৈষ্ঠ্য। বাজারে কিন্তু কাঁঠালের তেমন দেখা নেই। কৃত্রিম উপায়ে পাকানো আম কাঁঠাল বাজারে এসেছে। গ্রীষ্মের ফল আষাঢ়ে বাজারে আসবে। অথচ বর্ষা আসার আগেই গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে কদম ফুল। প্রকৃতি যে তার ভারসাম্য হারিয়েছে এটাও তার একটা প্রমাণ। কবিগুরু লিখেছেন, "বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল। "তাহলে কী বুঝবো? কদম ফুল আষাঢ় বা বর্ষাকাল চেনেনা, সে চেনে বাদল দিন। আজ ক'দিন আষাঢ় মাসের মতো নিয়ম করে সকাল-বিকেল বৃষ্টি হচ্ছে, তাই কদমও ভেবে নিয়েছে তার ফোটার সময় হয়েছে। জানিনা, কবিগুরু এখোন বেঁচে থাকলে কী লিখতেন !? তবে তিনি হয়তো একটা কিছু লিখতেন, কিন্তু আমরা কী করছি তা ভাবার সময় এসেছে। সময় এসেছে আমরা আমাদের কতটা ক্ষতি করছি তা খতিয়ে দেখার। প্রকৃতির উপর যথেচ্ছ অত্যাচার করছি, প্রকৃতি বিরূপ হয়ে অগ্রিম ফুল ফোটাচ্ছে, বেশ ভালোইতো! আজকে অগ্রিম ফোটাচ্ছে তাতে আহ্লাদিত হওয়ার কিছু নেই। আজকে অগ্রিম ফুটছে, আগামীতে একেবারেই ফুটবেনা! ফুল ফুটবেনা, ফসল ফলবেনা, পাখি গাইবেনা, আমরা সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছি।

(কেএফ/এসপি/মে ৩১, ২০২২)