ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রচ্ছদ » মুক্তচিন্তা » বিস্তারিত

স্বপ্নের বাংলাদেশ কোথায়?

২০২২ জুন ২৭ ১৪:৫৮:১৫
স্বপ্নের বাংলাদেশ কোথায়?

রণেশ মৈত্র


বাংলাদেশের স্বাধীনতা এক বহুমাত্রিক চেতনার ও আন্দোলনের ফসল। শুধুমাত্র পাকিস্তানের অধীনতা থেকে মুক্ত হয়ে একটি পৃথক স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র গঠনই সেদিনকার আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য ছিল না-লক্ষ্য ছিল অপামর জনগণ যাতে স্বাধীন, নবীন ঐ রাষ্ট্রটিতে গণতন্ত্রের বিধি মোতাবেক কথা বলার, সংগঠন গড়ার, আন্দোলন গড়ে তোলার, সভা-সমাবেশের মাধ্যমে জনমত সংগঠিত করার অবাধ স্বাধীনতা পেতে পারেন তেমন একটি ব্যবস্থা প্রবর্তন করার। আর একটি লক্ষ্য ছিল শোষণমুক্ত বাংলাদেশ গঠন করে সকল নাগরিকের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আহার, বাসস্থান ও আইনের প্রতিষ্ঠা ও তার ভিত্তি সুদৃঢ়করণ। পাকিস্তানের পুঁজিবাদী অর্থনীতি ২৬ জন কোটিপতির জন্ম দিয়েছিল কিন্তু বঙ্গবন্ধু,কমরেড মনি সিংহ,মওলানা ভাসানী,অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ ও মনোরঞ্জন ধর প্রমুখ তার তীব্র বিরোধিতা করতে গিয়ে সহজবোধ্য ভাষায় অসংখ্যবার বলেছিলেন,সম্পদ ব্যক্তিবিশেষদের হাতে পুঞ্জিভূত হচ্ছে, ২৬ জন কোটিপতি গড়ে উঠেছে এবং এতে ধনী-গরীবের ব্যবধান তীব্রতর হচ্ছে। এই ব্যবধান ঘুচাতে হবে, সম্পদের সামাজিক মালিকানা প্রতিষ্ঠা করতে হবে তার জন্যে পুঁজিবাদী ব্যবস্থার উৎখাত সাধন করে সমাজতন্ত্র এবং শোষণ-বিরোধী বিধি-ব্যবস্থা প্রবর্তন ও কার্যকর করতে হবে।

একই সাথে তাঁরা একক ও মিলিত উভয় ভাবেই উদাত্তকণ্ঠে বলেছিলেন,ধর্মে-ধর্মে সংঘাত নয়,সকল ধর্মের শান্তিপূর্ণ ও সহোযোগিতামূলক অবস্থান নিশ্চিত করতে প্রত্যাশিত নবীন রাষ্ট্রটি হবে ধর্মনিরপেক্ষ এবং ঐ রাষ্ট্রের পরিচালনা হতে হবে পরিপূর্ণ গণতান্ত্রিক ধারায়। হতে হবে নির্ধারিত ব্যবধানে অবাধ,শান্তিপূর্ণ এবং অংশগ্রহণমূলক সাধারণ নির্বাচন এবং ঐ নির্বাচনে বিজয়ী সংখ্যাগরিষ্ঠ দল বা মোর্চা বা গোষ্ঠী সরকার গঠণ করে দেশ পরিচালনা করবেন কিন্তু যাঁরা সংখ্যালঘিষ্ঠতা অর্জন করবেন-তাঁরাও জনগণের কণ্ঠস্বর হিসেবে জাতীয় সংসদে ও সংসদের বাইরে প্রতিধ্বনিত করার অবাধ স্বাধীনতা ও অধিকার ভোগ করবেন।

১৯৭১ এ নয়মাসব্যাপী সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার পর একই বছরের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যূদয় ঘটে। গোটা মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে বঙ্গবন্ধু ছিলেন পাকিস্তানী কারাগারে আটক। মুক্তিযোদ্ধা এবং মুজিবনগর সরকারের-তথা সমগ্র বাঙালি জাতির মনোবল ভেঙে দেওয়ার লক্ষ্যে পাকিস্তানের সামরিক সরকার প্রচার করে দেয় যে “শেখ মুজিবর রহমান” রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে অপরাধী। সুতরাং তাঁকে গ্রেফতার করে পশ্চিম পাকিস্তানে আনা হয়েছে ঐ অপরাধে সামরিক আদালতে বিচার করে তাঁর ফাঁসি দেওয়ার জন্যে। এই প্রচার কোন কাজ করে নি তা নয়। সকলেই খবরটা জেনে উদ্বিগ-উৎকণ্ঠায় নিপতিত হলেও আপোষ করতে কেউই রাজি ছিলেন না। তাই মুক্তিযোদ্ধারা মুুজিবনগর সরকারএবং বাঙালি জাতি পরিপূর্ণ দৃঢ়তার সাথে শপথ নিলেন স্বাধীনতা অর্জন না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ চালিয়ে যাবেন।

খবরটি প্রচারের বহুমুখী উদ্দেশ্য ছিল। প্রধান উদ্দেশ্য ছিল, মুজিবনগর সরকারের অন্যতম মন্ত্রী খন্দকার মুশতাক গোপনে কলকাতায় আমেরিকান কনস্যুলেট অফিসে মার্কিন সরকারের প্রতিনিধিদের সাথে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ গোপনে আলোচনা চালিয়ে পাকিস্তানকে টিকিয়ে রাখার জন্য(স্বাধীন বাংলাদেশের পরিবর্তে)একটি শিথিল কনফেডারেশন গঠন করে পাকিস্তান রক্ষা করতে উদ্যোগী হন। ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনী এই বিষয়টি উদঘাটন করে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী তৎক্ষণাৎ জরুরী আলোচনার জন্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ কে দিল্লী যাবার অনুরোধ জানালে তাজউদ্দিন দিল্লী গিয়ে ইন্দিরা গান্ধীর সাথে বৈঠকে বসে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খোন্দকার মোশতাককে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে অধিষ্ঠিত রেখেই তাঁর তাবৎ ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে তাঁকে গৃহবন্দী করে রাখা এবং বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ক্ষমতাদি প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এভাবেই সংকটটি থেকে উত্তরণ ঘটানো হয়। শুধু পাকিস্তান নয়, এত ক্ষুব্ধ হয় আমেরিকাও কারণ এটি তাদের সম্মিলিত উদ্যোগ ছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বানচাল করে দিয়ে কোন না কোন ভাবে পাকিস্তান রক্ষার।

এমনতিতেই তো পাকিস্তান ও আমেরিকা ঘোরতরভাবে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সক্রিয় বিরোধিতা করে আসছিল শুরু থেকেই। তারপর নতুন করে তাদের পরিকল্পনা বানচাল করে দেওয়া যে কতটা ঝুঁকিপূর্ণ ছিল তা সহজেই বোধগম্য। কিন্তু তবু সে ঝুঁকি নিলেন তাজউদ্দিন আহমেদ এর নেতৃত্বাধীন মুজিবনগরে অবস্থিত বাংলাদেশের প্রথম মন্ত্রীসভা। এ ঝুঁকি তাঁরা নিলেন এ কারণে যে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে সফল করে তোলা তাঁদের কাছে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ এ কারনেও যে স্বাধীন বাংলাদেশ গড়তে না পারলে উপরে বর্ণিত লক্ষ্যসমূহ অর্জন করা কোনক্রমেই সম্ভব হবে না। তাই নীতি, আদর্শের প্রতি গভীরভাবে নিষ্ঠাবান তাজউদ্দিন মন্ত্রীসভা হাজারো ঝুঁকি মাথায় নিয়েও মুক্তিযুদ্ধের নীতি-আদর্শের প্রতি তাঁদের অবিচল আস্থার প্রকাশ ঘটালেন-পেলেন মুক্তিযোদ্ধা ও সংগ্রামরত কোটি কোটি মানুষের অকুণ্ঠ সমর্থন।

১৯৭২ এর ১০ জানুয়ারী,পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে দেশে ফিরলেন সর্গবে-এবং কোটি কোটি মানুষের হর্ষধ্বনির মধ্য দিয়ে। তাঁর এই কারামুক্তি সম্ভব হয়েছে মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের বিজয় ও আন্তর্জাতিক মহলের তীব্র চাপের কারণে। এখানে উল্লেখ্য,খোন্দকার মুশতাকের চক্রান্তমূলক প্রস্তাবটি মেনে নিলে বঙ্গবন্ধুর মুক্তি তো সম্ভব হতোই না-বাঙালির স্বাধীনতা ও স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন ও চিরকালের জন্য ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যেত।

বঙ্গবন্ধু কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে অবতরণ করে অশ্রুজল কণ্ঠে বাঙালির ত্যাগ তিতীক্ষা ও সংগ্রামী মনোভাবের প্রশংসা করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোকে লক্ষ্য করে বলেন, “আপনার মতো আপনি থাকুন-আমরা থাকবো আমাদের মতো।” এই স্বল্পতম কথায় তিনি বুঝালেন, ভুট্টো বঙ্গবন্ধুর কারামুক্তির পর যে বলেছিলেন, “দেখবেন পাকিস্তানের দুই অংশের মধ্যে কোন যোগসূত্র বজায় রাখা যায় কিনা”তারই উত্তর বঙ্গবন্ধু দিলেন অত্যন্ত সহজ ভাষায় স্বল্প কথায়।

অতঃপর তিনি তাঁর বিমানবন্দর ভাষণে বাংলাদেশ হবে ধর্মনিরপেক্ষ,গণতান্ত্রিক,জাতীয়াবাদী ও সমাজতান্ত্রিক। এই বক্তব্যের পুনরুক্তি দ্বারা তিনি স্পষ্টতঃই বুঝালেন যে সকল প্রতিশ্রুতি তিনি বাঙালি জাতিকে নিয়ে পাকিস্তান আমল থেকে আন্দোলন চালিয়ে এসেছেন,সেই প্রতিশ্রুতিগুলির প্রতি তিনি পরিপূর্ণ নিষ্ঠাবান রয়েছেন। অতঃপর এই নতুন রাষ্ট্রের পরিচালনা ভার গ্রহণের পর একটি ভাষণে অপরাপর বক্তব্যের মধ্যে উঠেন, “পাকিস্তানে ২৬ জন কোটিপতির জন্ম হয়েছিল-বাদবাকী কোটি কোটি মানুষ ছিলেন গরীব। সম্পদের বৈষম্য সমাজেও ব্যাপক বৈষম্য সৃষ্টি করেছিল-এ অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। তাই বাংলাদেশে আমরা কোন কোটিপতির জন্ম দিতে পারবো না-আমাদের যা কিছু সম্পদ তার মালিকানা হবে সমাজের-সামাজিক বণ্টনও হবে সেই সমাজের।

এই লক্ষ্য নিয়ে তিনি ব্যক্তি মালিকানাধীন কলকারখানা রাষ্ট্রায়ত্ব করেন-শ্রমিকদের কাজের ও মজুরি নিয়মিতভাবে পাওয়ার ব্যবস্থা করেন। জমির সিলিং নির্ধারণ করেন যার বেশী জমির মালিক যদি কেউ থেকে থাকেন তিনি-তাঁরা দ্রুত সিলিং বহির্ভূত জমি সরকারকে হস্তান্তর করুন।

আজকের বাংলাদেশের চিত্র

বিগত ২৩ জুন তারিখে প্রকাশিত কতিপয় জাতীয় দৈনিকের খবরে বলা হয় :

দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যেও ২০২২ সালের প্রথম তিন মাসে কোটি টাকার বেশী আমানতকারী ব্যাংক একাউন্টের দাঁড়িয়েছে ১,৬২১ টি। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য উঠে এসেছে।

বর্তমানে দেশে মোট কোটিপতির সংখ্যা ১ লাখ ৩ হাজার ৫৯৭ টি। ২০২১ সালের ডিসেম্বরের শেষে এই সংখ্যা ছিল ১,০১,৯৭৬ টি। আর ২০২০ সালের মার্চ মাসে দেশে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ শুরুর সময় ব্যাংক গুলিতে এক কোটি টাকার বেশী থাকা একাউন্টের সংখ্যা ছিল ৮২,৬২৫ যা এক বছর পরে অর্থাৎ ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে এক লাখ ছাড়িয়ে যায়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী এসব একাউন্টের আমানতের পরিমাণ মার্চের শেষে ছিল ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৫০৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ তিন মাসে কোটিপতিদের আমানত বেড়েছে ৯ হাজার ৬৪৭ কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে দেখা যায়,মোট ব্যাংক একাউন্টের তুলনায় কোটিপতিদের একাউন্ট সংখ্যা এক শতাংশও নয়। কিন্তু এসব একাউন্টে মোট আমানতের প্রায় ৪৪ শতাংশ জমা আছে। এছাড়াও চলতি বছরের মার্চ মাসের শেষে ব্যাংক খাতে মোট একাউন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২.৭৩ কোটি এবং এসব একাউন্টে মোট আমানত জমা আছে ১৫,১৪,৮৯৫ কোটি টাকা। ব্যাংকারারা বলছেন,কোটি টাকার ব্যাংক হিসাবের সবগুলিই ব্যক্তি একাউন্টের-প্রাতিষ্ঠানিক একাউন্টও আছে।

এদিকে গত ১০ বছরে ৫০ লাখ ডলারের বেশি সম্পদের অধিকারীর সংখ্যা বেড়েছে গড়ে ১৪.৬ শতাংশ হারে যা এই সময়ে সারা বিশ্বে সবচেয়ে বেশী। এ ছাড়াও দূর্নীতির যে পাহাড় বঙ্গবন্ধু-পরবর্তী বাংলাদেশে অকল্পনীয়। সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে অসংখ্য-যার খোঁজ খবর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রাখতে চান না। খবরে প্রকাশ, সিন্ডিকেটে রয়েছে মন্ত্রীর স্ত্রী ও তিন এম পির প্রতিষ্ঠান। সুইস ব্যাংকের তথ্য নিলে জানা যায়, সেখানে পাচারকৃত বাংলাদেশীদের অর্থ বিগত এক বছরে বেড়েছে ৫৫%। অপরদিকে ভারতের অর্থ বেড়েছে ৫০% ও পাকিস্তানের বেড়েছে মাত্র ১১%। এ ব্যাপারেও আমরাই শীর্ষে। তদুপরি আজ আর কোন দুর্নীতিবাজ সরকারের কোন কারও হুমকি-ধামকিতে বিন্দুমাত্র ভয় পায় না।

এবার আসি সংবিধানে

১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু যে ঐতিহাসিক সংবিধান জাতিকে উপহার দিয়েছিলেন তাতে ধর্মাশ্রয়ী রাজনীতি ও দল ছিল নিষিদ্ধ-আজ আর তা নেই। জামায়াতে ইসলামী, হেফাজতে ইসলাম আজ রীতিমত বৈধ সংগঠন এবং তারা অনেকে সরকারী দলে ঢুকেও পড়েছে সেদলের কোন কোন নেতার সাদর আহ্বানে। এ চিত্র দেশের সর্বত্র। তদুপরি যে পরিমাণ জঙ্গীপনা হেফাজত দেখালো-সাম্প্রদায়িক সহিংসতা যে পরিমাণে তারা ঘটালো-পহেলা বৈশাখ উদযাপনের যে বিরোধিতা তারা করলো-বাঙালি সংস্কৃতির উল্লেখযোগ্য লালনের গান, নানা ভাস্কর্যের, প্রকাশ্য বিরোধী অবস্থান নিয়েও তারা বৈধ-এবং তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাগুলিও এক এক প্রত্যাহার করা হচ্ছে। ফলে নীতি ও আদর্শগত ভাবে বাংলাদেশ ক্রমান্বয়ে পিছু হটছে। পদ্মাসেতু একটি দুঃসাসী প্রকল্প-যার জন্যে সরকার অবশ্যই ধন্যবাদার্হ-কিন্তু বিদ্যমান পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় তার সুফল ধনিকদের ঘরেই যাওয়ার এবং কোটিপতির সংখ্যা বৃদ্ধি ঘটাবে বলেই আশংকা এবং এই আশংকা যেন বাস্তবে প্রতিফলিত না হয়।

লেখক : সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য, ঐক্য ন্যাপ, সাংবাদিকতায় একুশে পদকপ্রাপ্ত।