ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রচ্ছদ » দেশের খবর » বিস্তারিত

সঠিক তদারকির অভাবে পৌরসভার কাজেই বেশি অনিয়ম

২০২২ জুন ৩০ ১৯:০২:৫৬
সঠিক তদারকির অভাবে পৌরসভার কাজেই বেশি অনিয়ম

একে আজাদ ও মিঠুন গোস্বামী, রাজবাড়ী : রাজবাড়ীর জেলা ৩ টি পৌর সভা নিয়ে গঠিত। তবে এ জেলার প্রতিটি পৌর সভার পানি নিষ্কাশনের জন্য যখনই ড্রেন নির্মাণের কাজ হয় তখনই স্বজনপৃতি, পক্ষপাত, অনিয়মের মতো বিভিন্ন অভিযোগ সামনে আসে।

এবার জেলার গোয়ালন্দ পৌরসভার প্রধান সড়কের পাশ দিয়ে পৌরসভার ড্রেন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে । গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের পাশ দিয়ে ড্রেন নির্মাণের কথা থাকলেও একাধিক স্থানে প্রভাবশালীদের রক্ষায় ড্রেন সংকুচিত, নিন্ম মানের মালামাল ও ড্রেনের মাঝেই বিদ্যুৎ এর পিলার নির্মান করা হচ্ছে । এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, গোয়ালন্দ শহরের জলাবন্ধতা দুর করা ও পানি নিষ্কাশন তরান্বিত করতে ৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে আরসিসি ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এ প্রকল্পে আওতায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যে ৭টি ড্রেন নির্মাণ করা হবে।
৫ ফুট ৮ ইঞ্চি প্রশস্ত এই ড্রেনের গভীরতা হবে গড়ে ৭ ফুট। বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ও গোয়ালন্দ পৌরসভার তত্ত্বাধানে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স কেকেআর এন্টারপ্রাইজ চলতি বছর এপ্রিল মাসে এ ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, গোয়ালন্দ পৌর শহরের প্রধান সড়কের গোয়ালন্দ বাসস্ট্যান্ড থেকে বাজার অভিমুখে ড্রেন নির্মাণের জন্য বাসস্ট্যান্ড থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ভেঙ্গে ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরু করেছিল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। কিন্তু বাসস্ট্যান্ড থেকে নিম্ন মালামাল পুরাতন পাথর ও খুবই অল্প পরিমানে সিমেন্ট মিশ্রনের কারনে এলাকাবাসী তীব্র প্রতিবাদের মুখে দুই দুইবার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রমিকদের জরিমানা পর্যন্ত করেন। তারপর ও নিন্ম মানের মালামাল দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) সরজমিনে দেখা যায় বৃষ্টির মধ্যে সিমেন্ট বিটুমিন দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এবং বালি ও খোয়া দিয়ে কাজ হচ্ছে এমন অভিযোগ তুলেন স্থানীয়রা এমন সময় মেয়র এসে কাজ বন্ধ রাখতে বলেন এবং ইন্জিনিয়ার আসলে কাজ করতে বলেন তবে তিনি যাওয়ার সাথে সাথেই আবার কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

পৌর শহরের বাসিন্দা আবু সাইদ মোল্লা , আমিনুল ইসলাম, শামীম মোল্লাসহ অনেকেই অভিযোগ করে জানান, নিন্ম মানের মালামাল দিয়ে কাজ করা হচ্ছে এখানে রাস্তায় যেভাবে পাথর, বালু ও রড দেওয়ার কথা ছিল তার কিছুই সঠিক ভাবে দেওয়া হচ্ছে না। শামীম মোল্লা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন বারবার বলার পরও পৌরসভা থেকে কেন ব্যাবস্থা নেওয়া হচ্ছে না এটা বুঝতে পারছি না।

এ প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ পৌরসভার মেয়র মো. নজরুল ইসলাম মন্ডল বলেন, ড্রেন নির্মানে কোন অনিয়ম হচ্ছে না। সিডিউলে যেভাবে আছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেভাবেই কাজ করছে।

(একেএমজি/এসপি/জুন ৩০, ২০২২)