ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » মুক্তচিন্তা » বিস্তারিত

মাদকের ভয়াবহতা রোধের বিকল্প নেই

২০২২ আগস্ট ০৭ ১৫:০৫:২১
মাদকের ভয়াবহতা রোধের বিকল্প নেই

মীর আব্দুল আলীম


বাংলাদেশর মাদক যেন অনিয়ন্ত্রিতই থেকে যাচ্ছে। শর্ষের ভেতরে ভূত রেখে যেমন ভূত তাড়ানো যায় না, মাদক যারা রোধ করবেন তারাই মাদকের সঙ্গে যুক্ত হলে মাদক ব্যবসা রোধ কতটা সম্ভব? আমরা পত্রপত্রিকায় কি দেখছি? মাদক বিক্রেতাদের সাথে প্রশাসনের সম্পৃক্ততা, রাজনৈতিক ছত্র ছায়া! তাই একদিকে মাদকবিরোধী অভিযান চলে; অন্যদিকে মাদকের ব্যপক বিস্তার ঘটে। গ্রাম পর্যায়ে মাদকের ব্যপকতা চলে এসেছে। ক্রশফায়ার আর মাদকবিরোধী অভিযান কোনটাই মাদক রোধ করতে পারেনি।দৃশ্যের আড়ালে এ দেশের অদৃশ্য মহাশক্তিধর চক্রের জন্যই মাদকের ক্রমবিস্তার রোধ করা যাচ্ছে না।

শর্ষের ভেতরে ভূত তাড়ানো না গেলে মাদক নিয়ন্ত্রণ করা যাবেও না। মাদক বিক্রি নিয়ে আধিপত্য, খুনখারাবি চলছেতো চলছেই। প্রশাসনিক হম্বিতম্বিতে দেশের মদের মাদকের ছড়াছড়ি কমেনি। এ দেশে ছেলের হাতে পিতা-মাতা, পিতার হাতে ছেলে-মেয়ে, আত্মীয়স্বজন, পড়শিরা খুন হচ্ছে। মাদকের বিস্তার বেড়ে যাওয়ায় ছিনতাই রাহাজানি রোধ হচ্ছে না। সরকারি-বেসরকারি নানা উদ্যোগ, প্রশাসনিক দৌড়ঝাঁপ আর অসংখ্য মামলা-হয়রানির মধ্যেও দেশে জ্যামিতিক হারে বেড়েই চলেছে মাদকাসক্তের সংখ্যা। মাদকের কেনাবেচাও বেড়ে চলেছে পাল্লা দিয়ে। দেশের প্রতিটি সীমান্ত এলাকা, পাড়া মহল্লা থেকে শুরু করে খোদ রাজধানীতেও অতি সহজেই মাদকদ্রব্য মিলছে। বেচাকেনা চলছে ইয়াবা, ফেনসিডিল, গাঁজাসহ সব ধরনের মাদকদ্রব্য।

মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও পুলিশের পৃথক পরিসংখ্যান সূত্রে জানা যায়, দেশের প্রভাবশালী ২০০ গডফাদারের তত্ত্বাবধানে এক লাখ ৬৫ হাজার পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতার সমন্বয়ে দেশব্যাপী মাদকবাণিজ্যের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক
গড়ে উঠেছে। তবে বেসরকারি পরিসংখ্যানে তা কয়েক গুণ বেশি। এ চক্রের সদস্যরা ঘাটে ঘাটে টাকা বিলিয়ে সবকিছু নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়। মাঝেমধ্যে কোথাও কোথাও প্রশাসনিক অভিযান পরিচালিত হলেও তা মাদক
নেটওয়ার্কে কোনো রকম ব্যাঘাত ঘটাতে পারে না। বরং পুলিশের সদস্য ও বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতা কর্মীকে উল্টো মাদকবাণিজ্যে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ পাওয়া যায়। এমন তথ্যই সম্প্রতি প্রকাশে করেছে দেশের দৈনিক গুলো।

একটি ভয়ঙ্কর তথ্য হলো- ২০২৫ সালের মধ্যে দেশে এক কোটি লোক নেশায় আসক্ত হয়ে পড়বে এমন আশঙ্কা মাদকাসক্তি নিরাময়ের কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত বিশেষজ্ঞদের। তাদের মতে, প্রতি বছর শুধু নেশার পেছনেই খরচ ৬০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। সংশ্লিষ্টরা এই মুহূর্ত থেকেই পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে নেশামুক্ত সমাজ গড়ে তুলতে সবাইকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। এ ক্ষেত্রে দেশজুড়ে একযোগে আরও ব্যাপক পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। আসলেই এর বিকল্প নেই। মাদকের বিরুদ্ধে এখনই সোচ্চার হতে হবে দেশের মানুষকে। এ ব্যাপারে সজাগ থেকে কাজ করতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মাদকের ব্যাপারে প্রায়শই
হুঙ্কার দেন। তিনি মাদক বিস্তার এবং এর কুফল উপলব্ধি করেছেন বলেই মাদকের ব্যাপারের জিরো টলারেন্স দেখাতে প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন। মাদকের শাস্তি মৃত্যুদন্ডের কথা বলেছেন। কিন্তু কিছুতেই মাদক রোধ হয় না; বরং
মাদক বেঁচাবেচি বাড়ে। বাড়ে মাদক সহিংসতা। সরকার সংশ্লিষ্টদের বিষয়টি ভাবনায় নিয়ে আরও কঠোর হতে হবে। ব্যর্থতার কথা বললে চলবে না। মাদক নির্মূলে আমাদের সফল হতেই হবে। তা না হলে দেশটা যে রসাতলে যাবে। আমাদের যুবসমাজ নেশাগ্রস্ত হলে তারা ধ্বংস হয়ে গেলে দেশতো মেধাবী শূন্য হয়ে পড়বে।

মাদক শুধু একজন ব্যক্তি কিংবা একটি পরিবারের জন্যই অভিশাপ বয়ে আনে না, দেশ-জাতির জন্যও ভয়াবহ পরিণাম ডেকে আনছে। নানারকম প্রাণঘাতী রোগব্যাধি বিস্তারের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও খারাপ করে তুলছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় দেশের অভ্যন্তরে মাদকের বিকিকিনি এবং বিভিন্ন সীমান্ত পথে দেশের অভ্যন্তরে মাদকের অনুপ্রবেশ নিয়ে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সংশ্লিষ্টতার অভিযোগও দীর্ঘদিনের। দেশের প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় মাদকদ্রব্য বিকিকিনির বিষয়টি এ দেশে বলতে গেলে ওপেন সিক্রেট। বিভিন্ন সময়ে পুলিশি অভিযানে মাদকদ্রব্য আটক ও এর সঙ্গে জড়িতদের আটকের কথা শোনা গেলেও মাদক ব্যবসার নেপথ্যে থাকা 'গডফাদার'দের আটক করা হয়েছে কিংবা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে এমন কথা শোনা যায় না।

এ কথা সত্য যে, সামাজিক নিরাপত্তাহীনতার প্রকটরূপের পেছনে মাদক অন্যতম বড় একটি উপসর্গ হয়ে দেখা দিয়েছে। খোদ কারাগারে মাদক বিকিকিনি হয়। আর এর অর্থের বড় একটি অংশ যায় কারারক্ষীদের পকেটে। বাকি অংশ কয়েদি এবং মাদক ব্যবসায়ীরা ভাগবাটোয়ারা করে নেয়। কারাগার মাদক ব্যবসার নিরাপদ স্থান হলে এর মতো উদ্বেগজনক ঘটনা আর কী হতে পারে? বাংলাদেশে ইয়াবা আর ফেনসিডিলের বড় বাজার তৈরি হওয়ায় মায়ানমার এবং ভারত সীমান্তে অসংখ্য ইয়াবা আর ফেনসিডিলের কারখানা গড়ে উঠছে। আর এ নিয়ে এদেশের সংবাদপত্রে ব্যপক লেখালেখি হয়। এসব কারখানায় বাংলাদেশের যুবসমাজের জন্য মায়ানমার মরণ নেশা ইয়াবা এবং ভারত থেকে ফেনসিডিল উৎপাদন করে তা নির্বিঘ্নে সর্বরাহ করা হচ্ছে। বলতে দ্বিধা নেই যে, এসব দেশে মাদক তৈরি হচ্ছে আমাদের জন্যই। সম্প্রতি মিয়ানমার সফরের অভিজ্ঞতা আমাকে বেশ ব্যথিত করেছে।

বাংলাদেশ ঘেঁষা সীমান্তে মায়ানমারে অসংখ্য ইয়াবা কারখানা গড়ে উঠেছে। সেসব কারখানায় কোটি কোটি পিস ইয়াবা তৈরি হচ্ছে। অবাক করা কথা, মিয়ানমারের মানুষ, সেখানকার যুবসমাজ খুব একটা ইয়াবা আশক্ত নয়। কোনো কোনো এলাকায়তো ইয়াবা কি তা সেখানকার অধিবাসীরা জানেনই না। মূলত বাংলাদেশিদের জন্যই সেখানে ইয়াবা কারখানা গড়ে উঠেছে। যতদূর জানতে পারি, তাতে নাকি এ ব্যাপারে সে দেশের সরকারের মৌন সম্মতিও আছে। মিয়ানমার সীমান্তে ইয়াবা কারখানার কথা আমরা জানি, আমাদের সরকারও জানে, কিন্তু ইয়াবা চোরাচালান রোধ
হচ্ছে না। সারাবছরই অভিযান হয়। এদেশে মাদকের বিরুদ্ধে ক্রসফায়ারের অভিযান দেখেছি আমরা। তার পরও মাদক রোধ হয় না কেন?

মাদকবিরোধী অভিযানে আমরা কী দেখছি? এ অভিযানে টার্গেট করা হচ্ছে মূলত খুচরা মাদক বিক্রেতাদের। মাদকের গডফাদাররা রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়া পায়; গাঢাকা দেয়ার ফুরসত পায়। এ ক্ষেত্রে প্রশাসনকে আইনি সমস্যায় পড়তে হয়। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন গডফাদারদের টার্গেট করলেও থমকে যায় রাজনৈতিক হুঙ্কারে। গডফাদারদের কথা সবাই জানে, সরকার জানে। নানা ফোঁকড়ে তারা অন্তরালেই থেকে যায়। তাহলে মাদক ব্যবসা রোধ হবে কী করে? আগে ঐসব গডফাদারদের শাস্তি দিতে হবে, নয়তো তাদের দলীয় কিংবা প্রশাসনিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এ কাজটা সরকারকেই করতে হবে। এদেশে মাদকের গডফাদারদের নিয়ন্ত্রণ এত সহজ নয়। এরা অনেক শক্তিশালী, ক্ষেত্র বিশেষ মন্ত্রীর চেয়েও বেশি। মাদকের গডফাদারদের নিয়ন্ত্রণ করতে হলে রাজনৈতিক কপটাচার বন্ধ করতে হবে। তা নাহলে এভাবে অভিযান চালিয়ে এ সমস্যার মোকাবিলা করা যাবে না। নিষিদ্ধ জগতে অস্ত্রের পর মাদকই সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা। বিশেষ করে ফেনসিডিল ও ইয়াবা সহজলভ্য ও বহনযোগ্য বলে এর বিস্তার দেশজুড়ে। দেশের এমন কোনো উপজেলা খুঁজে পাওয়া যাবে না যেখানে মাদকের থাবা নেই। দেশজুড়ে এক বিশাল জাল বিস্তার করে আছে এই মরণ নেশার ভয়াবহ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট।

আন্তর্জাতিক অপরাধী চক্র মাফিয়াদের সঙ্গে রয়েছে এদের শক্ত ও গভীর যোগাযোগ। গত শতকের আশি ও নব্বইয়ের দশক জুড়ে ‘হেরোইন’ নামক মরণ নেশা ব্যাপক বিস্তার লাভ করেছিল। এটি মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ক্রমান্বয়ে নিঃশেষ করে অবধারিত মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়। খুব দামি বলে পরবর্তী সময়ে এর স্থান দখল করে নেয় ফেনসিডিল ও ইয়াবা। বর্তমান নেশাসক্ত তরুণ-তরুণীদের মধ্যে এ দুটি নেশাদ্রব্য বেশি জনপ্রিয়। একে ঘিরে দেশব্যাপী
গড়ে উঠেছে বিশাল নেটওয়ার্ক। ফেনসিডিলের চেয়ে ইয়াবাই বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। নেশাসক্ত তরুণ-তরুণীর সংখ্যা কত, তা আদৌ জানা সম্ভব নয়।

তবে বিভিন্ন সূত্র মতে, এর আনুমানিক সংখ্যা ৫০ লাখের মতো। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ এবং মাদকাসক্তদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনকল্পে ১৯৯০ সানে ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন’ প্রণয়ন করা হয়। ১৯৯০ সানের ২ জানুয়ারি তারিখ থেকে এ আইন কার্যকর হয়। কিন্তু প্রায় ৩ যুগ কালেও পথপরিক্রমায় মাদকদ্রব্য ব্যাপকভাবে নিযন্ত্রিত হয়নি। এর ব্যবহার এবং প্রসার বেড়েই চলেছে। অভিভাবকরা আজ চিন্তিত তাদের সন্তানদের মাদকাসক্তি নিয়ে। মাদকের হিংস্র ছোবল থেকে সারা জাতি চায় আত্মরক্ষা করতে। আইনের কার্যকর প্রয়োগ হয়নি বলেই আজ মাদক নিয়ে এত সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। বেড়েছে উৎকণ্ঠা, উদ্বেগ। মাদক সেবনের কুফল সম্পর্কে মহাসমারোহে আলোচনা, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম হয়। রাষ্ট্রীয়ভাবে বিপুল অর্থ ব্যয় করা হয়। বিভিন্ন এনজিও মাদক সেবন নিরুৎসাহিত করতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে। মাদক পাচার, বহন ও ব্যবহারের বিভিন্ন শাস্তি রয়েছে। তবু মাদক ব্যবহার কমেনি। ফেনসিডিল, গাঁজা, হিরোইন, ইয়াবা, প্যাথেডিনের ব্যবসা রমরমা। নারী, পুরুষ উভয় শ্রেণির মধ্যে মাদক সেবন প্রবণতা বাড়ছে। সাধারণ কৌতূহল থেকে শুরু হয়। পরে আসক্তি তীব্র হয়ে সাধারণ জীবনযাপন বিপন্ন হয়। নিঃসঙ্গতা ও বেকারত্ব থেকেও মাদক সেবনে আসক্তি জন্মে। ডিশ এ্যান্টেনার যুগে বিদেশি সংস্কৃতির আগ্রাসন এদেশের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীকে সমকামী, নেশাগ্রস্ত ও পশুপাখি সহযোগে বাস করার মানসিকতা তৈরি করছে। এগুলোকে ঘিরে পারিবারিকও সামাজিক শান্তি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ঘটছে সহিংস ঘটনা। বেড়েছে চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি।

মাদকের ভয়াবহতা থেকে আমরা নিস্তার চাই। আগে মাদকের অনুপ্রবেশ রোধ করতে হবে। সীমান্ত পথে কড়াকড়ি আরোপের মাধ্যমে শুরু করা যেতে পারে। শিকড় পর্যায় থেকে সমাজের সব স্তরে এর ভয়াবহতা তুলে ধরে ব্যাপক প্রচারণা প্রয়োজন। শুধু বিশেষ দিবসে নয়, সারা বছর ধরেই এর কুফল জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে। মাদক
প্রতিরোধে প্রশাসনে প্রয়োজন সৎ ও যোগ্য ব্যক্তি। সতর্ক ও সচেষ্ট থাকতে হবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও। এ কথা অনস্বিকার্য যে, মাদকদ্রব্যের ব্যবসা ও ব্যবহার উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। মাদকের ব্যবহার থাকতে হলে এর সরবরাহও থাকতে হয়। সরবরাহের প্রায় পুরোটাই চোরাচালানের মাধ্যমে আসে।

বাংলাদেশ যে আন্তর্জাতিক মাদক পাচারের একটি রুট, সে কথা গণমাধ্যমে বহুবার উল্লিখিত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোও এ ব্যাপারে অবহিত। তাহলে এসব রুট বন্ধ হয় না কেন? মাদক সমস্যার সমাধানে সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক সব ধরনের ব্যবস্থাই নেয়া দরকার। জনসচেতনতার বিকল্প নেই। জনসচেতনতা বাড়াতে সরকারি-বেসরকারি উভয় ধরনের প্রতিষ্ঠান ভূমিকা পালন করতে পারে। আমরা মনে করি, মাদকসংশ্লিষ্ট প্রত্যেকের ব্যাপারেই আইন প্রয়োগে সরকারকে কঠোরতা দেখাতে হবে। কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। সর্বোপরি আইনের কঠোর প্রয়োগই মাদকের ভয়াবহতা রোধে সহায়ক হতে পারে।

লেখক : মীর আব্দুল আলীম, সাংবাদিক, কলামিস্ট ও সমাজ গবেষক।