ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » জাতীয় » বিস্তারিত

‘বঙ্গবন্ধুর গৌরবে গৌরবান্বিত বোধ করতেন বঙ্গমাতা’

২০২২ আগস্ট ০৯ ০১:১৮:০৭
‘বঙ্গবন্ধুর গৌরবে গৌরবান্বিত বোধ করতেন বঙ্গমাতা’

স্টাফ রিপোর্টার : বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জীবন আলোচনা করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, বেগম মুজিব বঙ্গবন্ধুর গৌরবে গৌরবান্বিত বোধ করতেন এবং বঙ্গবন্ধুকে তার জীবনের ধ্রুবতারা হিসেবে গ্রহণ করে সব কষ্ট পরিহার করে গেছেন।

সোমবার (৮ আগস্ট) ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) অডিটোরিয়ামে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, ওয়ার্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য প্রফেসর ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া এবং কোনো পিছুটান তাকে ধরতে না পারার পেছনে যিনি নিজেকে তিল তিল করে উৎসর্গ করেছেন তার নাম বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী থেকে দেখা যায়- একজন বালিকাবধূ কীভাবে বঙ্গবন্ধুর প্রেরণাদায়িত্রী এবং শুধু সুখ-দুঃখের নয় মরণেও সহযাত্রী হয়েছেন। বেগম মুজিবের জীবনটা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় সুখ কোথায় ছিল? ছিল তো শুধু কারাগার আর কারাগারের শিক ধরে বেগম মুজিবের নীরব অশ্রুপাত। বেগম মুজিব বঙ্গবন্ধুর গৌরবে গৌরবান্বিত বোধ করতেন এবং বঙ্গবন্ধুকে তার জীবনের ধ্রুবতারা হিসেবে গ্রহণ করে সকল কষ্টকে পরিহার করে গেছেন।

তিনি বলেন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধুকে যখন কারাবন্দি করা হলো তখন অনেকদিন কেউ জানতো না বঙ্গবন্ধুকে কোথায় রাখা হয়েছে। তখনও বঙ্গমাতা তার সন্তানদের সাহসের সঙ্গে বলতেন তোমার বাবার মুক্তি হবে, মাথাউঁচু করেই মুক্তি হবে। বঙ্গমাতা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আজীবন সহযাত্রী, ’৭৫-এর ১৫ আগস্টে নিজের জীবন দিয়েই তা প্রমাণ করেছেন বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব।

এর আগে শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল করে যুবলীগ।

(ওএস/এএস/আগস্ট ০৯, ২০২২)