ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রচ্ছদ » ফিচার » বিস্তারিত

ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাঁচাতে আমাদের সচেতনতা প্রয়োজন 

২০২২ অক্টোবর ০৭ ১৭:৩৯:৫১
ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাঁচাতে আমাদের সচেতনতা প্রয়োজন 

কাজী হাসান : আমাদের সময়ে এটা স্কুলে যাবার বয়স না হলেও এখোন ওদের স্কুলে যাবার বয়স। আমাদের সময় তিন তল্লাটে স্কুল খুঁজে পাওয়া যেতোনা, ছেলে মেয়েরা একটু বড় হয়েই স্কুলে যেতো। দিন কাটতো ডাংগুলি, দাড়িয়া বাধা, গোল্লাছুট খেলে। জ্ঞান অর্জন পিছিয়ে গেলেও মনের অজান্তেই খেলাধুলার মাঝ দিয়েই হয়ে যেতো স্বাস্থ্য সুরক্ষা । এখোন হচ্ছেটা কি?

ছবির বাচ্চাটার বাড়ির পাশেই জিকে কিন্ডারগার্টেন স্কুল। বাড়ির সাথে আইডিয়াল মাদ্রাসা সহ হাফ ডজন মাদ্রাসা। সে বাড়ির বাইরে এসে মোবাইলে দিব্যি গেম খেলছে। বাচ্চাদের বিরক্তির হাত থেকে রক্ষা পেতে অনেক মা-ই এভাবে বাচ্চাদের মোবাইল দিয়ে ছেড়ে দেন। দিনে দিনে বাচ্চা মোবাইল গেমে আসক্ত হয়ে পড়ে। আবার অনেক ক্ষেত্রে মায়ের ভিন্ন আসক্তির কারণেও ইচ্ছে করে সন্তানকে মোবাইলে আসক্ত করেন। তারা ভেবে দেখেননা, নিজেদের নফ্সের কারণে তারা একটা জেনারেশনকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।

অনেক পিতা-মাতা নিজের নফ্সকে দমন করতে না পেরে নিজের সন্তানকে হত্যা করে। যে সমস্ত পিতা-মাতা এ কাজটা করেন, তাদের চেয়েও ভয়ানক খেলায় মেতে আছেন, যারা নিজের নফ্সের দাসত্ব করতে গিয়ে নিজের সন্তানের হাতে মোবাইল তুলে দেয়।

যে মা বা বাবা সন্তানের হাতে মোবাইল তুলে দিচ্ছেন, তারা কি জানেন, নিজের সন্তানের কত বড় ক্ষতি করছেন? প্রথমত আপনার সন্তান অন্য যে কোন ডিভাইস ব্যবহার না করা শিশুর তুলনায় মেধায় পিছিয়ে যাচ্ছে। গবেষণায় দেখা গেছে মোবাইলে আসক্ত ছেলে-মেয়েরা সাধারণ ছেলে-মেয়েদের চেয়ে হাবাগোবা। তাছাড়া মোবাইলের অপব্যবহার মানব দেহে নানা ধরনের বিরূপ প্রভাব ফেলে। অন্ধত্ব থেকে শুরু করে বন্ধ্যাত্ব পর্যন্ত হতে পারে। এছাড়াও কিডনি, হার্ট সহ শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।

আসুন আমরা যদি আগামী পৃথিবীটাকে বিকলাঙ্গ শিশুদের আবাসভূমি হিসাবে দেখতে না চাই, নিজের সন্তানের ক্ষতি নিজে করতে না চাই, তাহলে আজই সন্তানের হাত থেকে মোবাইল সরিয়ে ফেলি।

লেখক : গণমাধ্যমকর্মী।