ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » দেশের বাইরে » বিস্তারিত

সমকামিতা নিয়ে রাশিয়ার নতুন আইন ‘অ্যানসার টু ব্লিঙ্কেন’

২০২২ নভেম্বর ২৫ ১৭:০০:২৪
সমকামিতা নিয়ে রাশিয়ার নতুন আইন ‘অ্যানসার টু ব্লিঙ্কেন’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রুশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ পরিষদ ডুমায় দেশে তথাকথিত সমকামী প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা বাড়ানোর পক্ষে সর্বসম্মতভাবে ভোট দিয়েছে। আইনের সর্বশেষ সংস্করণের আওতায় রাশিয়ায় সমকামিতার যেকোনো প্রচার, বই, চলচ্চিত্র ও অনলাইনে কোনো প্রচারণা চালানো বেআইনি উল্লেখ করা হয়েছে।

কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এ জাতীয় কোনো কাজে লিপ্ত হলে তাকে বা তাদের জরিমানার মুখোমুখি হতে হবে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়। খবরে বলা হয়েছে, সম্প্রতি সমকামিতার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন মন্তব্য করেন। তার ভাষ্য ছিল, সমকামিতায় ব্র্যাকেট টানা মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর আঘাত। পরে রুশ প্রশাসন তাদের জারিকৃত আইনকে ‘অ্যানসার টু ব্লিঙ্কেন’ নামকরণ করে।

অ্যাক্টিভিস্টরা বলছেন, এ আইন রাশিয়ার এলজিবিটি সম্প্রদায়কে দমন করার প্রচেষ্টা।

খবরে আরও বলা হয়, ডুমার ৪৫০ আসনের ৩৯৭টির ভোট পেয়ে বিলটি পাশ হয়। এখন সেটি যাবে উচ্চকক্ষে। সেখানে পাস হওয়ার পর বিলে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সই প্রয়োজন হবে।

রাশিয়ায় বিতর্কিত সমকামী প্রচার আইনের মূল সংস্করণটি ২০১৩ সালে করা হয়। এর মাধ্যমে শিশুদের মধ্যে অ-প্রথাগত যৌন সম্পর্কের প্রচার ও সমকামী সম্পর্ককে নিষিদ্ধ করা হয়।

আইনে বলা হয়েছে, সমকামিতা নিয়ে নতুন যে আইন প্রণয়ন করা হবে, সেটি কোনো ব্যক্তি ভঙ্গ করলে ৪ লাখ রুবল (৬৬০০ ডলার) জরিমানা করা হবে। কোনো প্রতিষ্ঠান আইন ভাঙলে ৫ মিলিয়ন রুবল (৮২১০০ ডলার) জরিমানা আদায় করা হয়।

বিদেশি বা রাষ্ট্রহীন কোনো ব্যক্তি অ্যানসার টু ব্লিঙ্কেন ভঙ্গ করলে তাকে রাশিয়া থেকে বহিষ্কার করা হবে।

মানবাধিকার প্রচারকারী কিছু সংস্থা ও এলজিবিটি গোষ্ঠীগুলো নতুন এ আইন নিয়ে মোটেও খুশি নয়। তাদের ভাষ্য, এ আইনের মাধ্যমে এলজিবিটি সম্প্রদায়ের কোনো কর্মকাণ্ড বা তাদের ব্যাপারে প্রকাশ্যে বলা- অপরাধ হিসেবে দেখা হবে।

রাশিয়াভিত্তিক এলজিবিটি সমর্থন গোষ্ঠী ভিখোডের সদস্য কেসেনিয়া মিখাইলোভা বলেছেন, নয় বছর আগে জারিকৃত আইনের মাধ্যমে সমকামী সম্প্রদায়ে আক্রমণ শুরু হয়। এ আগ্রাসন ভবিষ্যতে সুনামিতে পরিণত হবে।

গত বুধবার (২৩ নভেম্বর) সকলের মানবাধিকার ও মর্যাদাকে সম্মান রক্ষার্থে রাশিয়াকে বিলটি প্রত্যাহার নিতে অনুরোধ করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

সূত্র: বিবিসি

(ওএস/এসপি/নভেম্বর ২৫, ২০২২)