ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » জাতীয় » বিস্তারিত

‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষাকে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় রাখেননি’

২০২৩ মার্চ ২০ ১৩:০০:২৫
‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষাকে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় রাখেননি’

স্টাফ রিপোর্টার : বঙ্গবন্ধু শিক্ষাকে কোনো আমলাতান্ত্রিক জটিলতার মধ্যে না রেখে সম্পূর্ণ স্বাধীন করে দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির। তিনি বলেন, শিক্ষা একটি রাষ্ট্রের ভিত রচনা করে। সে কারণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথমেই শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন। প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক ও অবৈতনিক করেছিলেন।

রবিবার (১৯ মার্চ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁও সরকারি শিশু পরিবারে আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ বাস্তবায়নাধীন ‘আইন প্রণয়নে সক্ষমতা বৃদ্ধি ও আইন বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি’ শীর্ষক প্রকল্প শিশু আইনে উল্লিখিত শিশু অধিকার সম্পর্কিত সচেতনতামূলক এ কর্মশালার আয়োজন করে।

মইনুল কবির বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের লক্ষ্যে The Primary Schools (Taking Over) Act, 1974 প্রণয়ন করেন। এরপর প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থায় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়। বঙ্গবন্ধুর সময়েই শিশুদের শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ্ব করতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিনামূল্যে বই, অন্যান্য শিক্ষা উপকরণ ও খাবার বিতরণ করা হতো। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রীদের বিনাবেতনে পড়ার সুযোগও দিয়েছিলেন তিনি। গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পোশাকও দেওয়া হতো।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুই সংবিধানে যুক্ত করেছেন, প্রাথমিক শিক্ষা হবে প্রজাতন্ত্রের সব শিশুর জন্য বাধ্যতামূলক। বহু বিত্তহীন ও দরিদ্র পরিবার আছে, যারা দুই বেলা খেতে পায় না, তারা শিশুদের স্কুলে পাঠাবে কিভাবে? তাদের তো অর্থ নেই। সেজন্যই তিনি সবার জন্য বাধ্যতামূলক ও অবৈতনিক শিক্ষাব্যবস্থা চালুকরণে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।

সভাপতির বক্তব্যে প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দীন বলেন, যার জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না, তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি দেশকে ভালোবাসতেন। ভালোবাসতেন দেশের মানুষকে। এমনকি শিশুদেরও ভালোবাসতেন তিনি। তার একাধিক নিদর্শন তিনি রেখেছেন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে, বিভিন্ন কার্যক্রমে। পাশাপাশি শিশুরাও বঙ্গবন্ধুকে আপন করে নিতো। তাই এ মহান নেতার জন্মদিনকে ‘জাতীয় শিশু দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়।

তিনি বলেন, শিশুরাই আগামী প্রজন্ম। তারা গড়ে উঠুক কল্যাণকামী ও সৌন্দর্যমূলক জীবনমুখী দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যদিয়ে। এ স্বপ্ন আমাদের চেতনায় জাগিয়ে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর কাছে তার শিশুপুত্র রাসেল ছিল বাংলাদেশের সব শিশুর প্রতীক। তিনি অনুধাবন করেছেন, শিশুর কাছে জাত-পাত, ধনী-গরিবের ভেদাভেদ নেই। স্বাধীন বাংলাদেশকে গড়তে হলে শিশুদেরও গড়তে হবে। ওদের ভেতরে দেশপ্রেম জাগাতে হবে।

অনুষ্ঠানে তেজগাঁও সরকারি শিশু পরিবারের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

(ওএস/এএস/মার্চ ২০, ২০২৩)