প্রচ্ছদ » আইন আদালত » বিস্তারিত
চাঞ্চল্যকর রাজিব হত্যা মামলায় ২৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৬ জনের যাবজ্জীবন
২০২৩ মার্চ ২১ ২০:০৩:৩২![চাঞ্চল্যকর রাজিব হত্যা মামলায় ২৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৬ জনের যাবজ্জীবন](http://www.u71news.com/article_images/2023/03/21/madaripur-news-21-03-2023.jpg)
বিশেষ প্রতিনিধি, মাদারীপুর : মাদারীপুরে চাঞ্চল্যকর রাজিব সরদার (২৫) হত্যা মামলার ১১ বছর পর মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বিকেলে রায় ঘোষণা হয়। রায়ে ২৩ জনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও ৬ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ লায়লাতুল ফেরদৌস এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।
নিহত রাজিব সরদার মাদারীপুর কালকিনির চরঝাউতলা গ্রামের এনামুল হক সরদারের ছেলে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জসিম হাওলাদার, মনির হাওলাদার, সুমন শরীফ, সাগর শরীফ, হাফিজুল কাজী, কালু কাজী, আলাউদ্দিন কাজী, তুষার শরীফ, ইউসুফ হাওলাদার, আজিজুল হাওলাদার, আব্দুল হাই হাওলাদার, আব্দুল হক হাওলাদার, জহিরুল হাওলাদার, রাসেল হাওলাদার, রাজা হাওলাদার, কালু হাওলাদার, সোবহান হাওলাদার, রহিম হাওলাদার, রেজাউল হাওলাদার, শামিম হাওলাদার, আহাদ হাওলাদার, দলিলউদ্দিন হাওলাদার, অলিলউদ্দিন হাওলাদার।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, সেকেন হাওলাদার, উজ্জ্বল হাওলাদার, নুরুল আমিন হাওলাদার, বাকিবিল্লা হাওলাদার, জামাল হাওলাদার, রুবেল হাওলাদার।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ২০১২ সালের ১ সেপ্টেম্বর সকালে রাজিব সরদার তার মামা আলী হাওলাদারের নার্সারিতে কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় মাদারীপুর শহরের হরিকুমারিয়া এলাকায় আসলে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রাজিবকে গুরুতর জখম করে। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়।
এ ঘটনায় নিহতের মামা আলী হাওলাদার বাদী হয়ে ঘটনার তিনদিন পর জামাল হাওলাদার, রহিম হাওলাদার, আছাদ হাওলাদারসহ ৪৭ জনকে আসামি করে মাদারীপুর সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার পর সদর থানার তৎকালীন পুলিশের উপ-পরিদর্শক রাজিব হোসেন তদন্ত করেন। ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর ৩৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তিনি। এরপর আদালত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ১৩ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন। দীর্ঘ ১১ বছর যুক্তিতর্ক শেষে স্বাক্ষী প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে ২৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৬ জনকে যাবজ্জীবনসহ প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় ২২ জন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মাদারীপুর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. সিদ্দিকুর রহমান সিং বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক রায়। দীর্ঘ ১১ বছর যুক্তিতর্ক শেষে আদালত এই মামলার ২৩ জন আসামীকে ফাসির আদেশ দেন। আমরা রাষ্ট্রপক্ষ এই রায়ে সন্তুষ্ট।
(এসএসএ/এএস/মার্চ ২১, ২০২৩)