ঢাকা, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » পাঠকের লেখা » বিস্তারিত

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমরা ভালো নেই

২০২৪ এপ্রিল ০৩ ১৮:০৮:২৩
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমরা ভালো নেই

গোপাল নাথ বাবুল


৩১ মে, ২০২৩ ইংরেজি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের দ্বিতীয় তলার সেমিনার কক্ষে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত ‘জাতীয় নির্বাচন ২০২৪ ঃ ধর্মীয় জাতিগত সংখ্যালঘু জনগণের অধিকার’ শীর্ষক এক মত বিনিময় সভায় বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার বলেছিলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতা ১০ গুণ বেড়েছে। এই সাম্প্রদায়িকতা সবার সামনে নিরবেই হয়েছে। যা আমরা অনুভব করি না।’

তিনি আরও বলেছিলেন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের কথা আমরা বলি বটে কিন্তু তাতে দেশে সাম্প্রদায়িকতা বেড়েছে। তাই অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে ফিরে যাওয়া নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। আমি জীবদ্দশায় তা দেখতে পাবো বলে মনে করি না। তবে নতুন প্রজন্মের প্রতি আমি আস্থাশীল। তারা যদি সোচ্চার হয় তাহলে হয়তো তা সম্ভব। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারওয়ার আলী, বিগত কয়েক দশকে সমাজে একটা বড় পরিবর্তন ঘটেছে বলে মনে করেন। তিনি বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়ি আক্রান্ত হলে প্রশাসনের পাশাপাশি প্রতিবেশিও নীরব থাকে। আর রাজনীতিবিদরা হয় সমঝোতা করেন, না হয় সামলে চলেন। রাজনীতিবিদরা যখন সমঝোতা বা সামলে চলেন, তখন নীতির পরাজয় ঘটে।

উক্ত দু’জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের কথাগুলো যে একেবারে নিখাদ সত্যি, তা আমরা অতীতেও দেখেছি, বর্তমানেও দেখছি। এদেশে সাম্প্রদায়িকতার কত যে রঙ্গ চোখের সামনে ঘটে চলছে, তার কোনও হিসেব নেই। ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াত নেতা যুদ্ধাপরাধী দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড প্রদানের রায় ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে জামায়াতের সন্ত্রাসী বাহিনী নখ-দন্ত বের করে সারাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল-হিন্দুদের সাক্ষীর কারণে নাকি সাঈদীর ফাঁসির আদেশ হয়েছিল। অথচ সাঈদীর মামলায় সরকার পক্ষে ২৮ জন সাক্ষীর মধ্যে মাত্র ২ জন হিন্দু ছিলেন। আসলে হিন্দুদের ওপর হামলার জন্য জামায়াত ও সমগোত্রীয়দের অজুহাতের অভাব হয় না।

১২ অক্টোবর, ২০২১ সালে হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গাপুজার মহাষ্টমীর প্রাতে কুমিল্লা নানুয়ার দিঘির পাড়ের পুজামন্ডপে হনুমানের কোল থেকে কুরআন শরিফ উদ্ধারের পর পুজার আনন্দ ম্লান হয়ে গিয়েছিল মুহূর্তেই। সেদিন থেকে প্রায় তিনদিন যাবত দেশের বিভিন্ন স্থানের ৭০টি পুজামন্ডপে হামলা-ভাঙ্গচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে এবং অন্তত ৩০টি বাড়ি ও ৫০টি দোকান ভাঙ্গচুর আর লুটপাট হয়। এমন নারকীয় ঘটনা ঘটার পেছনে দায়ী ছিল এদেশের আব্বাসী-সহ বিভিন্ন মাওলানাদের ওয়াজ মাহফিলে বসে সাম্প্রদায়িক হামলার উস্কানি দেওয়া। এ ঘটনার মূল অভিযুক্ত গদা ইকবালের বিচার কতটুকু হয়েছে তাও আমরা দেখেছি। এছাড়াও যে লোকটি পূর্বপরিকল্পিতভাবে উস্কানির সঙ্গে ফেসবুকে লাইভ করে এ ঘটনাকে সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দিয়েছিল, সে লোকটিকে কী আদৌ গ্রেফতার করা হয়েছিল কিংবা তার কী কোনও বিচার হয়েছিল ? তা আমাদের মতো সাধারণ মানুষ জানে না। এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের যদি কঠোর বিচারের আওতায় আনা হতো, তাহলে আজও পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিমোক্ত সাম্প্রদায়িক ঘটনাগুলো ঘটতো না।

ঘটনা ১

গত ১৯ মার্চ চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বড়কুল ইউনিয়নের নাটেহারা গ্রামের প্রতিভা রানী নামের ৬৪ বছরের এক বৃদ্ধাকে ‘রমজান মাসে প্রকাশ্যে পান খাওয়ার অপরাধে’ পিটিয়ে মারাত্মক জখম করার অভিযোগ ওঠেছে নূরুল আমিন নামের এক স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এমনকি, চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের বিছানায় চরম ব্যাথায় কাতরানো এ বৃদ্ধা বারবার নুরুল আমিনের পা ধরে ক্ষমা চেয়েও ক্ষমা পাননি বলে জানান। এ বৃদ্ধাকে এমনভাবে পিটানো হয়েছে, স্বাভাবিবভাবে উঠা-বসা করতেও তার কষ্ট হচ্ছে। বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রিক মিডিয়ার খবরে জানা যায়- বৃদ্ধা প্রতিভা রানী অভিযুক্ত নুরুল আমিনের বাড়ির পাশে পাতা কুড়াতে গেলে নুরুল আমিনের স্ত্রী তাকে বাড়ির কাজ করে দেওয়ার জন্য ডেকে নেন। এ পর্যায়ে হিন্দু হিসেবে নুরুল আমিনের স্ত্রী তাকে এক খিলি পান খেতে দেন। এটা দেখে নুরুল আমিন প্রতিভা রানীকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকে, কেন তিনি রমজান মাসে পান খেয়েছেন ? রাগাম্বিত নুরুল আমিনের এমন অবস্থা দেখে বৃদ্ধা ভয়ে আড়ালে চলে যান। এ সময় নুরুল আমিন আড়াল থেকে বৃদ্ধাকে টেনে এনে হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিঠাতে থাকেন এবং গলায় পা দিয়ে চেপে ধরে শ^াসরোধ করে হত্যার চেষ্টা চালায়। শেষে পাশ^বর্তী বাসিন্দারা এসে নুরুল আমিনের হাত থেকে মরণাপন্ন বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে প্রথমে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয় এবং পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এ বিষয়ে কলিম উদ্দিন গাজীর ছেলে অভিযুক্ত নুরুল আমিনকে আসামি করে বৃদ্ধার ছেলে বিষ্ণু চন্দ্র দাস হাজীগঞ্জ থানায় মামলা করলে নুরুল আমিন মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বৃদ্ধার পরিবারকে বাজেভাবে হুমকি=ধমকি দিয়ে এবং হঁশিয়ারি দিয়ে বলে, মামলা তুলে না নিলে বাংলাদেশে থাকতে দিবে না। পুুরো পরিবারকে ভারতে পাঠিয়ে দেবে।
পুরো ঘটনা জেনে মনে হচ্ছে, স্বামী-স্ত্রী পরামর্শ করেই এ নারকীয় ঘটনা ঘটিয়েছে। অর্থাৎ তার স্ত্রী, প্রতিভা রানীকে পান খেতে দিবে, আর এ অপরাধে হিন্দু বৃদ্ধাকে পিটানো হবে। এখানে সাম্প্রদায়িক মনমানসিকতা বা হিংসা কাজ করেছে। অথবা প্রশ্ন করতে পারি, বাংলাদেশে কী ইসলাম রক্ষার দায় এখন হিন্দুদের ঘাড়ে ?

ঘটনা ২

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার ইরিন মন্ডল নামের ১৪ বছর ৩ মাস বয়সের এক কিশোরীকে তার মায়ের হাত থেকে কেড়ে নিয়ে অপহরণ করে এক মুসলিম তরুণ। জানা যায়-কিশোরীটি পার্শ্ববর্তী পাড়ায় প্রাইভেট পড়তে যেতো। প্রায় ৭/৮ মাস ধরে ওই পাড়ার এক বখাটে ছেলে কিশোরীটিকে বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করতো। সম্প্রতি ছেলেটির মামার নেতৃত্বে প্রায় ৫০/৬০ জন বখাটে গভীর রাতে ইরিন মন্ডলের বাড়ির ছাদ বেয়ে ওঠে সবাই বাড়িতে ঢুকে পড়ে। তারপর কিশোরীটিকে বখাটে ছেলেটি তার সাথে না গেলে তার মা-বাবাকে হত্যা করার ভয় দেখিয়ে মায়ের হাত থেকে জোরপুর্বক কেড়ে নিয়ে যায়। শেষে কোটালীপাড়া থানা ২ দিন পরে কিশোরীটিকে উদ্ধার করে বোরকা পরিয়ে পুলিশ হেফাজতে রেখে দেয়। এখন প্রশ্ন হলো-এ সমস্ত ঘটনায় নাবালিকাকে দেয়া হয় মা-বাবার হেফাজতে। পুলিশ হেফাজতে কেন ? তার মানে কিশোরীটিকে ব্রেইন ওয়াশ করা হবে। তাছাড়া, যেখানে বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী একজন কিশোরীর গায়ে হাত দেওয়্ওা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ, সেখানে কেন বখাটে ছেলেটি এবং তার সঙ্গে ওই অপরাধে যারা অংশ নিয়েছিল তাদের গ্রেফতার করা হয়নি ? আমরা জানিনা, এ ঘটনার ফলাফল পরবর্তীতে কী হয়েছে। অতীতে এমন অনেক ঘটনার উপযুক্ত বিচার হয়নি বলেই সামান্য এক বখাটে প্রকাশ্যে এমন অনৈতিক ঘটনা ঘটাতে সাহস করেছে। তাই বলা যায়, বিচারহীনতাই আজকের বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান সাম্প্রদায়িক সহিংসতার মূল কারণ।

ঘটনা ৩

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সম্ভবত এটা ঢাকার ঘটনা। একটা হিন্দু মহিলাকে বাস থেকে ড্রাইভার ও কন্ট্রাক্টর দু’জনে মিলে জোর পূর্বক নামিয়ে দিয়েছে। কারণ, রমজানের সময় বোরকা পরা ছাড়া কোনো মহিলাকে তারা গাড়িতে নেবে না। শত শত মানুষের সামনে এ ঘটনা ঘটলেও কেউ এটার প্রতিবাদ পর্যন্ত করেনি। গাড়িতে কয়েকজন পুরুষ মনের সুখে হাসছিলেন। এছাড়া গাড়িতে কয়েকজন মহিলা ছিলেন। কিছু একটা বলতে হবে, তাই তারাও বাসের জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়েছিলেন। গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়ার পর পাশ দিয়ে দেখেও না দেখার ভান করে মহিলারা হেঁটে যাচ্ছিলেন নীরবে। কারও কোনও প্রতিবাদ দেখলাম না। অথচ বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার এমন পর্যায় আমরা গত ১০/১১ বছর আগেও দেখিনি। এখন প্রশ্ন হলো-রমজান মাসে হিন্দু মহিলাদেরও যানবাহনে যাতায়াতের জন্য বোরকা পরতে হবে, এমন কোনও আইন সংবিধানে আছে কিনা ? যদি না থাকে, তাহলে মহিলাটির সাংবিধানিক অধিকার খর্ব হয়েছে, যা রীতিমতো দন্ডনীয় অপরাধ। এ ব্যাপারে রাষ্ট্রের কাছে বাস ড্রাইভার ও কন্ট্রাক্টরের গ্রেফতার কামনা করছি।

ঘটনা ৪

জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ভূয়া কাগজপত্র তৈরি করে দিনাজপুরের কাহারোলে পুরাকীর্তি সমৃদ্ধ ও ঐতিহ্যবাহী কান্তজী মন্দিরের জমিতে মসজিদ নির্মাণের জন্য ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন দিনাজপুর-১ এর সংসদ সদস্য জাকারিয়া জাকা। পরে জানাজানি হলে জাকারিয়া জাকা ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের আগ পর্যন্ত তিনি জায়গাটি কান্তজী মন্দিরের অংশ, তা জানতেন না বলে একদম ভালো মানুষটি বনে যান। এখন প্রশ্ন হলো-জায়গাটি যে মন্দিরের অংশ, তা কী তিনি চোখে দেখেননি ? তাছাড়া, এখানে জেলা পরিষদ, সংসদ সদস্য মিলে এবং জেনেশুনেই কাজটি করেছেন বলে মনে করি। তা নাহলে, জেলা প্রশাসকের সহযোগীতায় কীভাবে মসজিদের নামে নকল কাগজপত্র তৈরি করা হলো ?

এমন আরও কত শত শত ঘটনা অপ্রকাশিত রয়েছে সারা বাংলাদেশে, তার কোনো হিসেব নেই। বাংলাদেশে এখন নুরুল আমিনদের মতো আগাছায় ভরে গেছে। শিক্ষা দপ্তর বলুন আর স্বাস্থ্য দপ্তর বলুন কিংবা আইন দপ্তর বলুন, সকল দপ্তর আজ সাম্প্রদায়িক দোষে দুষ্ট। আগে মানুষের চোখে লজ্জা-শরম ছিল। এখন তার ছিঁটে-ফোটাও নেই। আরও অবাক হওয়ার মতো বিষয় যে, নুরুল আমিন নাকি একজন শিক্ষক অর্থাৎ মানুষ গড়ার কারিগর। এমন লোক যদি হয় মানুষ গড়ার কারিগর, তাহলে সে দেশে শিক্ষার হাল কেমন হবে তা অনুমেয়। তার প্রমাণ-বুয়েট, কুয়েট। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তো এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মাদ্রাসা হিসেবে বিবেচিত হয়। কারণ, নুরুল আমিনরা অন্য ধর্মের মানুষদের মানুষ বলে মনে করেন না। সুন্দর ও সচেতন মানুষ গড়ার জন্য অন্তত প্রয়োজন এ একটি জগৎ থেকে নুরুল আমিনদের বিদায় করা। কারণ, এ নুরুল আমিনদের মতো ধম্মার্ন্ধরাই দেশকে অস্থিতিশীল করতে সদা ব্যস্ত। এদের কারণেই আজ শিক্ষাজগৎ অন্ধকারে নিমজ্জিত হচ্ছে। সমাজ-রাষ্ট্র যাচ্ছে অন্ধকারের অতল গহ্বরে। আরও উদ্যোগের কারণ হলো- এসবের বিরুদ্ধে আজ আর আমাদের বুদ্ধিজীবীদেরও একটি শব্দ উচ্চারণ করতে দেখা যায় না। তাইতো বলি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী- আমরা ভালো নেই।

যে হারে দেশের উন্নয়নের চাকা সচল রয়েছে, এ নুরুল আমিনদের কারণেই সে হারে মানুষের মানসিকতার উন্নয়ন পিছিয়ে পড়ছে। অথচ দেশের উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের মানুষের মন-মানসিকতার উন্নয়নও দরকার। বর্তমানে রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তরে যেভাবে সাম্প্রদায়িকতার লালন হচ্ছে, শক্তি আর অস্ত্র দিয়ে সেই সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ী হওয়া সম্ভব নয়। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ী হতে হলে আগে মনের অন্ধকার দুর করা উচিত। আর মনের অন্ধকার দুর করাই হলো সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে জয়ী হওয়ার বড় হাতিয়ার। মনের সংকীর্ণতা, উগ্রতা, সাম্প্রদায়িকতা দুর করতে হলে আরও বেশি বেশি শিক্ষা ও মননের চর্চা দরকার।

পরিশেষে বলবো, এদেশের সংখ্যালঘুদের নির্যাতন হ্রাসে বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আর এ উদ্যোগ নিতে হবে মানুষের আশা-আকাঙ্খার শেষ ভরসাস্থল বিচার বিভাগকে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় সরকারের কাছে দাবি, জাতীয় সংসদে আইন পাশের মাধ্যমে-(১) সংখ্যালঘু সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন করা, (২) সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করা, (৩) ৭২ এর সংবিধানকে পুরোপুরি ফিরিয়ে আনা।

লেখক : শিক্ষক ও কলামিস্ট।