ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » কৃষি » বিস্তারিত

গৌরীপুর বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রহমত-৩ জাতের ধান, ক্ষতিগ্রস্ত অর্ধশত কৃষক 

২০২৪ এপ্রিল ১৬ ১৮:০১:২৬
গৌরীপুর বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রহমত-৩ জাতের ধান, ক্ষতিগ্রস্ত অর্ধশত কৃষক 

গৌরীপুর প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার মইলাকান্দা ইউনিয়নের অর্ধশত কৃষকের রোপিত ইরিবোরো ধানক্ষেতে ব্যাকটেরিয়াজনিত পাতা পোড়া রোগ, ব্লাস্ট, সীতব্লাইটসহ বিভিন্নরোগে আক্রান্ত হয়েছে। তাঁরা সকলেই রহমত-৩ জাতের ধান রোপন করেছিলো। এতে ক্ষেতের ফসল ব্যাপর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ ধানের চারা দেখে উপজেলা কৃষি অফিসার নিলুফার ইয়াসমিন জলি জানান, জিংকের অভাব রয়েছে, ব্যাকটেরিয়াজনিত পাতা পোড়া রোগ, ব্লাস্ট-সীতব্লাইট রোগের কারণে এসব ধানখেত ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পরবর্তীতে এ জাত যেন কৃষক আর না করে সে জন্য পরামর্শ দেয়া হবে।

মইলাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার ফজলুল হক জানান, ধানের সবুজ চারাগুলোতে যখন ধানের শীষ আসা শুরু করবে, ঠিক সেই মূহুর্তে ধানের পাতাগুলো কালচে রঙ ধারণ করে মরে গেছে। শীষটা আর বের হতে পারছে না, আটকে যায়। উঁচু ধানগাছ গুলো রোগাক্রান্ত হয়ে আস্তে আস্তে ছোট হয়ে যাচ্ছে। নিজের ফসলের খেত দেখে অসুষ্থ হয়ে পড়েন কৃষক শাহেদ আলী। এরপরে প্রায় ১৯ দিন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরছেন গত ৭ এপ্রিল। তিনি শৌলঘাই গ্রামের মফিজ উদ্দিনের পুত্র।

তিনি জানান, গত বোরো মৌসুমে পোকার আক্রমণে ফসল নষ্ট হয়। আমনের ধান অতিবৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায়। এবারও নানারোগে ধানের খেত মরে যাচ্ছে। আমি বেঁচে থাকবো কিভাবে? তিনি জানান, উপজেলা কৃষি বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর ব্যবস্থাপত্র দেন। সেই ব্যবস্থা অনুযায়ী ওষুধ দিলেও ধানখেত বাঁচানো যায়নি। ধান না হলো খাবো কি? ধানের খেতে মড়ক এসেছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। কথাগুলো বলছিলেন কৃষক আব্দুস সালাম। তিনি শৌলঘাই গ্রামের আব্দুল আজিজের পুত্র।

এ গ্রামের ইয়ার হোসেনের পুত্র কবির উদ্দিন জানান, ধানখেত গলা সমান উঁচু ছিলো, এখন নিচু হয়ে যাচ্ছে। ৪০শতাংশ জমিতে ব্লাস্ট-বিএলবি’ আক্রমণ করেছে। আসন আলীর পুত্র আব্দুল হেকিম জানান, তার ৩৬শতাংশ জমির পুরো ধান নষ্ট হয়ে গেছে।

কৃষক ফজলুল হক জানান, মইলাকান্দা ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক কৃষক রহমত-৩ উচ্চফলনশীল জাতের ধানের চারা রোপন করেছিলেন। সবার খেতে পোকামাকড় ও রোগবালাইয়ের আক্রমণে ধ্বংস হয়ে গেছে। কৃষি বিভাগকে জানানোর পরও কৃষকের পাশে কেউ আসে নাই।

এ প্রসঙ্গে উপসহকারী কৃষি অফিসার খাবিরুল ইসলাম জানান, আমাকে কেউ আগে অবহিত করে নাই। খবর পেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ খেতগুলো দেখেছি। আশপাশের অন্যান্য জমির ফসল রক্ষায় কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

(এসআই/এসপি/এপ্রিল ১৬, ২০২৪)