ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » কৃষি » বিস্তারিত

গৌরীপুরে শসা ২ টাকা কেজি, লোকসানের মুখে চাষিরা

২০২৪ এপ্রিল ২০ ১৭:৪৯:৫৪
গৌরীপুরে শসা ২ টাকা কেজি, লোকসানের মুখে চাষিরা

গৌরীপুর প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের গৌরীপুরে প্রতি মণ শসা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে। শসার ন্যায্য দাম না পাওয়ায় লোকসানের মুখে পড়ছে চাষীরা। অনেকেই হতাশ হয়ে পড়েছেন আবার অনেক কৃষকই লোকসানের ভয়ে খেতের শসা খেতেই রেখে দিচ্ছেন।

আজ শনিবার দুপুরে উপজেলার কয়েকটি গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, খেত থেকে শসা তুলছেন কৃষকেরা। কেউ পাইকারি দরে প্রতি কেজি শসা দুই টাকা আড়াই টাকা দামে বিক্রি করছেন। কেউ শসা তুলে খেতেই ফেলে দিচ্ছেন কেউবা খেত থেকে শসা তুলছেনই না।

উপজেলার অচিন্তপুর গ্রামের শসাচাষি আমিনুল হক শাহীন বলেন, ‘এবার ৪০ শতাংশ জমিতে শসার আবাদ করেছি। ফলন ভালো হয়েছে, প্রথম দিকে ৮০-৯০ মন বিক্রি করলেও এখন খেতেই যাইনা। বর্তমানে ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। শসা বিক্রি করে ন্যায্য দাম না পাওয়ায় শ্রমিকদের মজুরি দিয়ে শসা উত্তোলন করে কোন লাভ নাই। খেতের মধ্যেই শসা লাউয়ের মতো বড়ো হচ্ছে, পঁচতেছে।’

মোবারকপুর গ্রামের চাষি আলী বলেন, ‘৩০ শতাংশ জমিতে শসা চাষ করেছি। ফলন দেখে খুশি হয়েছিলাম কিন্তু বর্তমানে শসা তুলে বাজারে নিয়ে গেলে বিক্রি হচ্ছে না। পরে ২ টাকা দরে এক পরিচিত পাইকারের কাছে ৯০-১০০ মণ বিক্রি করেছি। বাজারদরে হতাশ হয়ে পড়েছি। লাভ তো দূরের কথা খরচ তোলাই দায় হয়ে পড়েছে।’

ব্যবসায়ী মিন্টু মিয়া বলেন, আমরা বিভিন্ন কৃষকের কাছ থেকে শসা ১শ টাকা মন কিনে সিলেটে বিক্রি করি ২শ টাকা মন। বর্তমানে এক ট্রাক শসা পাঠাতে মন প্রতি আড়তদারকে দিতে হয় ২০ টাকা লেবার খরচ হয় ১৫ টাকা বস্তা ক্রয় করতে হয় ২০ টাকায় এবং পাঠাতে ভাড়া লাগে ২২ হাজার টাকা। এই টাকা খরচ করে সিলেটে শসা পাঠালে এখন আর আমাদের লাভ হয় না, লোকসান গুণতে হচ্ছে।
ইছুলিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলাম আশরাফ বলেন, এখন শসার ব্যবসা করে আমরা লোকসানের মধ্যে আছি। আমাদের ২/৩ লাখ করে লস হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন জলি বলেন, ‘রমজান মাসকে সামনে রেখে গৌরীপুরে কৃষকরা অধিক পরিমাণে শসা উৎপাদন করেছে এবং এ উপজেলায় চলতি বছর বাম্পার ফলনও হয়েছে। এক সাথে ফলন ভালো হওয়ায় বাজারে আমদানিও বেশি। তাই দাম দ্রুত কমে যাচ্ছে। দাম কমে যাওয়ায় কৃষকদের লাভ কম হচ্ছে।’

(এসআই/এসপি/এপ্রিল ২০, ২০২৪)