ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » বইবাজার » বিস্তারিত

গাজী মুনছুর আজিজের ভ্রমণ কাহিনি ‘অনন্য আরব’

২০১৭ ফেব্রুয়ারি ০৭ ১৫:৪৬:২৭
গাজী মুনছুর আজিজের ভ্রমণ কাহিনি ‘অনন্য আরব’

নিউজ ডেস্ক : গ্রন্থমেলায় এসেছে গাজী মুনছুর আজিজের ভ্রমণ কাহিনি অনন্য আরব। প্রকাশ করেছে প্রান্ত প্রকাশন। প্রচ্ছদ করেছেন দেওয়ান আতিকুর রহমান। বইটিতে লেখকের সম্প্রতি ভ্রমণ করা সৌদি আরবের মক্কা, মদিনা, জেদ্দা, তায়েফসহ বিভিন্ন ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থানের বর্ণনা ও রঙিন আলোকচিত্র রয়েছে। দাম ১২০ টাকা। প্রান্ত প্রকাশনের স্টল নম্বর ১১৫-১১৬।

বইটির ভূমিকায় কবি আসাদ চৌধুরী লিখেছেন- লেখক, সাংবাদিক, প্রীতিভাজন গাজী মুনছুর আজিজের পায়ের নিচে যে শর্ষে, এটা আমাদের অজানা নয়। প্রতিশ্রুতিশীল এ লেখক পেশায় সাংবাদিক হলেও নেশা তার ভ্রমণ। অহর্নিশ ছুটে চলেন কোলাহল থেকে নির্জনতায়, নির্জনতা থেকে কোলাহলে... পাহাড় থেকে সুমদ্রে, সুমদ্রে থেকে বনের গহিনে কিংবা হাওড়ের মৌনতায় খুঁজে নেন জীবনের রঙ। দেশ দেখছেন, দেশ জানছেন, ঋদ্ধ হচ্ছেন অবিমিশ্র অভিজ্ঞতায়। মাঝে মধ্যেই দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে পদচিহ্ন রাখছেন ভিনদেশের অজানা অচেনা লোকালয়ে। আর লিখে চলেছেন দু’হাতে।

গাজী মুনছুর আজিজ আমার কাছে আক্ষরিক অর্থেই এক বিরল প্রতিভা, পরিশ্রমী, প্রতিশ্রুতিশীল এক সংবাদ কর্মী; ভ্রমণ পাগল এক তারুণ্যের নাম। বহুমাত্রিক বৈচিত্র্যময় লেখনী দিয়ে ইতোমধ্যে তিনি পাঠকের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। প্রতিবছর বাড়ছে তার বইয়ের তালিকা... ভ্রমণ, ফিচার, মুক্তিযুদ্ধ... সব বিষয়েই দেখাচ্ছেন অসামান্য মুন্সিয়ানা। এরই ধারাবাহিকতায় এবারের উপহার তার আরেকটি ভ্রমণবৃত্তান্ত ‘অনন্য আরব।’ আমাদের মহানবি (সা.) এর স্মৃতিধন্য সৌদি আরব ভ্রমণ নিয়ে তার এ বই।

এর আগে তার প্রকাশিত গ্রন্থ : রূপসী বাংলার রূপের খোঁজে (ভ্রমণ); পজিটিভ বাংলাদেশ (প্রতিবেদন); ভ্রমণনে দিন (ভ্রমণ); ফাদার মারিনো রিগন (জীবনী); ভুটান দার্জিলিং ও অনান্য ভ্রমণ (ভ্রমণ); ৭১-এর খ-চিত্র (মুক্তিযুদ্ধ); সহলেখক বাংলাদেশ ভ্রমণসঙ্গী।

লেখক ও সাংবাদিক গাজী মুনছুর আজিজের জন্ম খুলনার দিঘলিয়ার চন্দনীমহল গ্রামে তার জন্ম। বেড়েওঠা ও পড়াশোনা সেখানেই। পৈতৃক বাড়ি চাঁদপুরের নানুপুর গ্রাম। বাবা মো. মুনছুর গাজী; মা মরিয়ম বেগম। তিন বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি চতুর্থ। পেশা সাংবাদিকতা হলেও লেখালেখি তার নেশা। পাখি দেখতে ঘুরে বেড়ান দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। পাখির কথা লেখেন নিয়মিত। এছাড়া ঘুরে বেড়ান দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির খোঁজে এবং তা তুলে ধরেন বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়। নিজের সম্পাদনায় প্রকাশ করেন ঈদের শুভেচ্ছাপত্র ‘ঈদ উৎসব।’ বর্তমানে কর্মরত আছেন দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকার সহ-সম্পাদক হিসেবে।

২০০১ সালে তিনি চাঁদপুরে প্রতিষ্ঠা করেন গাজী আবদুর রহমান পাঠাগার। এর উদ্যোগে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান, গাছেরচারা রোপণ, ইলিশ অড্ডাসহ বিভিন্ন সমাজকল্যাণ মূলক কাজ করা হয়।

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর আয়োজিত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাংবাদিকতার জন্য ‘বজলুর রহমান স্মৃতিপদক’ প্রতিযোগিতায় তার একাধিক প্রতিবেদন স্থান পেয়েছে ‘মুক্তিযুদ্ধের শ্রেষ্ঠ প্রতিবেদন’ বইয়ে। পেয়েছেন ডি. নেট, পিএসটিসি ও এমসিসি সংস্থা আয়োজিত নাগরিক সাংবাদিকতা বিষয়ক প্রতিযোগিতায় ‘রাইট থ্রি নাগরিক সাংবাদিকতা পুরস্কার।’

প্রশিক্ষণ নিয়েছেন বাংলা একাডেমির তরুণ লেখক প্রকল্প থেকে। বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের সদস্য হিসেবে-বাংলাদেশের পাখিশুমারিসহ পাখি বিষয়ক বিভিন্ন কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত। জড়িত আছেন বাংলা মাউন্টেইনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাব, ভ্রমণ বাংলাদেশ-এর সঙ্গেও। দেশের বাইরে ভ্রমণ করেছেন ভুটান, ভারত, সৌদি আরব ও নেপাল।


(জিএমএ/এএস/ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৭)