প্রচ্ছদ » দেশের খবর » বিস্তারিত
ইয়াবা সেবীরা এখন টাপেন্টা ট্যাবলেটে আসক্ত
২০১৯ জানুয়ারি ০৬ ১৫:৫৪:৩৩
প্রহলাদ মন্ডল সৈকত, রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) : কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ইয়াবাসেবীদের কাছে এখন এসকেএফ ওষুধ কোম্পানীর টাপেন্টা ট্যাবলেটের ব্যাপক চাহিদা দেখা দিয়েছে। বাজারে এ ট্যাবলেটটির দাম হু হু করে বেড়ে উঠেছে।
বর্তমানে ৫০ মি.গ্রা একটি ট্যবলেটের মূল্য ৫০ থেকে ৭০ টাকা এবং ১০০ মি.গ্রা একটি ট্যাবলেটের মূল্য ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। যা কোম্পনী মূল্য ৫০ মি.গ্রা প্রতি ট্যাবলেট এর দাম ১২ টাকা এবং ১০০মি.গ্রা প্রতিটি ট্যাবলেটের দাম ২২টাকা হিসেবে বিক্রি হত। বর্তমানে তা কয়েক গুণ বেশী দরে বিক্রি হচ্ছে।
দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবাসেবনকারীরা ইয়াবা ট্যাবলেট চোরাই পথে নিয়ে এসে নেশা হিসেবে ব্যবহার করত। কিন্তু বাজারে এর চাহিদা কয়েক গুন বেড়ে যাওয়ায় এবং প্রশাসনের নজরদারী বেশী হওয়ায় ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে আসা কঠিন হয়ে পড়েছে। ফলে সেবনকারীদের নেশার মাত্রা বেড়ে যায়। এরই সুযোগে এক ধরনের নেশায় আসক্তরা ওষুধ কোম্পানী এসকেএফ বাংলাদেশ লিমিটেডের টাপেন্টা ট্যাবলেটটি নেশা হিসেবে ব্যবহারের আবিষ্কার করে। তারা ইয়াবার বিকল্প হিসেবে এখন এ ট্যাবলেট সেবন করছেন।
রবিবার (৬ জানুয়ারি)সরেজমিনে অনুসন্ধানে গেলে- নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক সেবনকারী বলেন, টাপেন্টা ট্যাবলেট সেবন করলে ইয়াবা ট্যাবলেটের মতোই নেশা হয়। ট্যাবলেটটি গুড়া করে আংপাতে পুড়িয়ে সেবন করতে হয়। তবে ৫০মি.গ্রার চেয়ে ১০০ মি.গ্রায় নেশা ভাল হয়। বাজারে এর চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এক ধরনের অসাধু ব্যবসায়ী এ সুযোগ গ্রহণ করে। তারা ৫০মি.গ্রার প্রতি ট্যাবলেট ১২টাকার বিপরীতে ৫০ টাকা থেকে ৭০ টাকা এবং ১০০ মি.গ্রার প্রতি ট্যাবলেট ২২টাকার বিপরীতে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বিক্রি করছে। অনেকে এ ব্যবসা করে রাতারাতি ধনী হওয়ার স্বপ্ন বুনছে।
নেশায় আসক্তকারীরা আরো বলেন, টাপেন্টার মূল্য কত বেশী হয় হোক তবু তো ওষুধের দোকান গুলোতে হরহামেশায় পাওয়া যায়। এটি নিরাপদ। পুলিশ প্রশাসনের ভয় নেই। যেখানে-সেখানে বসেও সেবন করা যায়।
রাজারহাট বাজারের বেশকিছু ওষুধের দোকান ব্যবসায়ীরা জানান, টাপেন্টা এক সময় অহরহ পাওয়া যেত। কিন্তু এখন এটি নেশা হিসেবে ব্যবহার করায় আগের মতো পাওয়া যায় না। এখন ওই কোম্পানীতে ৫ হাজার টাকার ওষুধের অর্ডার দিলে এক প্যাকেট টাপেন্টা পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে ওই কোম্পানীর রিপ্রেজেনটিভ জানান, ট্যাবলেটির সাপ্লাই খুবই কম। ৩ মাস পর পর কিছু ট্যাবলেট পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ ফারুক হাসান বসুনিয়া বলেন, টাপেন্টা ব্যথা নাশক ট্যাবলেট। এটি নেশা হিসেবে সেবন করলে কিডনী-লিভার ড্যামেজ, ব্রেন স্টোক ও হার্ট এ্যাটাক হয়ে মারা যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
(পিএমএস/এসপি/জানুয়ারি ০৬, ২০১৯)