ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রচ্ছদ » বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি » বিস্তারিত

চাঁদে বাড়ি বানাতে ‘স্পেস ব্রিক্‌স’

২০২০ আগস্ট ২৮ ১১:২৪:১৪
চাঁদে বাড়ি বানাতে ‘স্পেস ব্রিক্‌স’

বিজ্ঞান ডেস্ক : চাঁদের আর আমাদের নাগালের বাইরে নেই। চাঁদের মাটিতে আমাদের থাকার জন্য আর চার বছর পরেই পাড়ি জমাচ্ছে নাসা।

কিন্তু বাড়ি বানাতে গেলে লাগে ইট, সিমেন্ট, বালি, চুন, সুরকি। সেই ‘চাঁদের বাড়ি’র জন্য এ বার ইট বানিছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (‘ইসরো’) ও ‘ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স (আইআইএসসি)’। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্পেস ব্রিক্‌স’ বা মহাকাশের ইট।

এই সাড়াজাগানো উদ্ভাবনের দু’টি গবেষণাপত্র সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে দু’টি আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নালে। একটি, ‘সেরামিক্স ইন্টারন্যাশনাল’। অন্যটি- ‘প্লস ওয়ান’।

আইআইএসসি-র মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর অলক কুমার বলেছেন, মূলত চাঁদ থেকে তুলে আনা মাটি দিয়েই বানানো হয়েছে এই মহাকাশের ইট। ওই মাটিই কাঁচামাল। তবে সেই ইটকে খুব শক্তপোক্ত করে তুলতে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া আর গুয়ার মটরশুটি ব্যবহার করা হয়েছে। আর ব্যবহার করা হয়েছে আমাদের মূত্র থেকে পাওয়া ইউরিয়া। এই ইউরিয়া ব্যবহার করার জন্যই খুব কম খরচে মহাকাশের ইট বানানো সম্ভব হয়েছে। এক পাউন্ড ওজনের এই ইট চাঁদে নিয়ে যেতে খরচ পড়বে প্রায় ১০ লাখ টাকা।

এই কাজটির সবচেয়ে অভিনবত্ব হল, জীববিজ্ঞান ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির এই দু’টি শাখার মেলবন্ধনেই মহাকাশের ইট বানানো সম্ভব হয়েছে।

কিন্তু শুধু ইটের উপর ইট বসালেই তো আর বাড়ি বানানো যায় না। সেই ইটগুলিকে শক্তপোক্ত ভাবে বেঁধে রাখা, সাজিয়ে রাখার জন্য লাগে সিমেন্ট।

অলোক বলছেন, আমাদের বানানো মহাকাশের ইটের ক্ষেত্রে সেই সিমেন্টের কাজটা করবে গুয়ার মটরশুটি। একটি বিশেষ প্রজাতির মটরশুটি। যার ক্ষমতা রয়েছে একবারে গদের আঠার মতো। বা তার চেয়েও অনেক গুণ বেশি। এমন ধরনের ইট পৃথিবীতেও ব্যবহার করা যাবে।

(ওএস/এসপি/আগস্ট ২৮, ২০২০)