ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » ফিচার » বিস্তারিত

ভগবানের প্রতি ভক্তের ভালবাসার অপূর্ব নিদর্শন মহাপ্রভু স্বর্ণ মন্দির

২০২১ ফেব্রুয়ারি ২৩ ২১:৫৫:১২
ভগবানের প্রতি ভক্তের ভালবাসার অপূর্ব নিদর্শন মহাপ্রভু স্বর্ণ মন্দির

ইন্দ্রজিৎ কুমার সাহা, কালিয়াকৈর (গাজীপুর) : ভগবান যেমন ভক্তকে ভালবাসেন, বিপদে আপদে রক্ষা করেন, ঠিক তেমনি ভক্তও তার আরাধ্য দেবতা বা ভগবানকে ভালবাসে, শ্রদ্ধা জানায়। তার জন্য নির্মাণ করেন মন্দির, মঠ, আশ্রম। বহুমূল্যবান রত্ন অলংকার দিয়ে সাজিয়ে তোলে তার ইষ্ট দেবতাকে।

পৃথিবীতে বহু বিখ্যাত মন্দির রয়েছে সেগুলি যুগ যুগ ধরে মাথা তুলে স্বগর্বে দাড়িয়ে আছে। যুগে যুগে বহু মন্দির আবার ভাঙ্গাও হয়েছে যেমন গুজরাটের সোমনাথ মন্দির কাশির বিশ্বনাথ মন্দির। তবুও সনাতন ধর্মের এই মন্দির গুলো সগৌরবে এখনো টিকে আছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় মন্দির হল কম্বোডিয়ারঅ্যাংকার ভাট মন্দির যেটি নির্মাণ করেছিলেন রাজা সূর্য বর্মন।

গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার সেওড়াতলী গ্রামে প্রায় দুইশত বছর আগে জৈনেক রংলাল সাহা কর্তৃক বাগবাড়ীতে নির্মিত হয়েছিল শ্রী শ্রী মহাপ্রভু আশ্রম। কালের পরিক্রমায় বাগবাড়ী এলাকাটি হিন্দু শূন্য হয়ে পরে। ভক্তহীন ভগবান যেন অন্ধকারে পতিত হতে থাকে ঠিক তখনি মহাপ্রভুর লীলায় সেওড়াতলী গামবাসীর মিলিত প্রচেষ্টায় তৎকালীন পন্চাদী দূর্গা মন্দিরে পূনঃস্থাপন করা হয় মন্দিরটি। এর আরো কিছু দিন পর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জৈনেক পরম ভক্তের সার্বিক চেষ্টায় নির্মিত হয় বর্তমান দৃষ্টিনন্দন এই মন্দির।

মন চাইলে আপনিও ঘুরে আসতে পারেন মন্দির থেকে। ঢাকা গুলিস্তান থেকে প্রভাতি বনশ্রী পরিবহন ও গাবতলি বাসস্ট্যান্ড থেকে রাজধানী পরিবহনে কালিয়াকৈরে নেমে রিকসা বা অটোতে করে চলে আসুন সেওড়াতলী গ্রামের এই মহাপ্রভু আশ্রম ও মন্দিরে। প্রসাদ খেতে পারেন ইচ্ছে হলে। আশা করি মনে এক অনাবিল আনন্দের প্রশান্তি মিলবে।

(আই/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২১)