ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » প্রবাসের চিঠি » বিস্তারিত

আমিরাতের সর্বোচ্চ পর্বত জেবেল জাইস

২০২১ মে ১৬ ২২:৪৭:৩২
আমিরাতের সর্বোচ্চ পর্বত জেবেল জাইস

মতিউর রহমান মুন্না, আরব আমিরাত থেকে : সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিলাসবহুল জীবনযাপন, চোখ ধাঁধানো রঙিন আলোকরশ্মি, আকাশচুম্বি অট্টালিকা, বিলাসবহুল হোটেল, কৃত্রিম দ্বীপপুঞ্জসহ নানা কারণে জনপ্রিয় দুবাই, আবুধাবি। কিন্তু এই শহরগুলোর তুলনায় বেশ কোলাহল মুক্ত রাস আল খাইমাহ প্রদেশ।

ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ! এ কথা সবাই মানলেও, প্রবাস জীবনে এর বাস্তবতা খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। এখানে যেন ঈদের কোন আমেজ নেই। প্রবাসীদের ঈদ রয়ে যায় নিঃসঙ্গতায় ভরা। একা ঈদ উদযাপন করার যে বেদনা, তা লিখে প্রকাশ করার মতো না। প্রবাসে থাকা এলাকার ভাই-বন্ধুদের প্রবাস মনের বেদনা দূর করতে আনন্দ ভ্রমণের উদ্যোগ নেন ফয়েজ আমীন রাসেল ভাই। কিন্তু এরই মাঝে এবার করোনার কারণে এখানে নানা বিধি নিষেধ রয়েছে। তাই সীমিত পরিসরে এবারের ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে এলাকার ভাইরা এক সাথে ঘুরতে গেলাম রাস আল খাইমার জেবেল জাইসে।

যেখানে একদিকে পারস্য উপসাগর অন্যপাশে ইরান ও ওমানের সীমান্ত ঘেষে জেবেল জাইস পর্বত। রাস আল খাইমাহয়ে অবস্থিত পবর্তটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের সর্বোচ্চ উচ্চতম পর্বত। এর উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৯৩৪ মিটার বা ৬৩০০ ফুট।

আর এই পর্বতের বুক কেটে তৈরি করা হয়েছে চমৎকার রাস্তা। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শত শত গাড়ি জেবেল জাইস পর্বতে আসা যাওয়া করে। প্রথমে এমন ঘুরপাক রাস্তা দিয়ে পাহাড়ে উঠতে অনেকেই ভয় লাগে স্বাভাবিক। দীর্ঘ পাহাড়ী পথ পাড়ি দিয়ে উপরে উঠলেই দেখা যায় শুধু পাথর আর পাথর। আমাদের দেশে পাহাড়ে গাছ গাছালী থাকলেও এখানে শুধু পাথর। ধু ধু করছে চারদিক। এ যেন পাথরের রাজ্য।

শহরের ইট পাথরের যান্ত্রিক জীবন থেকে কোলাহল মুক্ত পরিবেশে যেতে কার না ভালো লাগে তাইতো রাস আল খাইমাহ প্রদেশে অবস্থিত পর্বতটি দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক ভীড় জমান পর্বতে।

২০১৫ সালে ভ্রমণ পিপাষুদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছিল পর্বতে উঠার রাস্তা। বিশেষ করে ঈদের সময়ে ছুটির দিনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পর্যটকের ভীড় ছিল চোখে পড়ার মতো।

পর্বতটি ইতোমধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম আকর্ষণীয় এবং রোমাঞ্চকর পর্যটন কেন্দ্র। আঁকা বাঁকা রাস্তায় পর্বতের চূড়ায় উঠার রোমাঞ্চ অন্যরকম। জেবেল জাইসে পৃথিবীর দীর্ঘতম জিপ লাইনের কার্যক্রমও চলমান রয়েছে। পর্বতের উপরে রয়েছে কয়েকটি হোটেল-দোকান পাট। অনেকেই সেখানে পিকনিক করেন। আমাদের সবার ঈদের আনন্দ উপভোগ হলো ভিন্নভাবে।

(এম/এসপি/মে ১৬, ২০২১)