ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রচ্ছদ » শিল্প-সাহিত্য » বিস্তারিত

বদরুল হায়দার’র ৫টি কবিতা

২০২১ জুলাই ১৭ ১৫:৪৭:৪৯
বদরুল হায়দার’র ৫টি কবিতা







হাইব্রিড ভাবের সাগরে

হৃদয়ের স্মৃতির পাতার বুকে জেগে থাকি সারারাত। চাঁদ
কপালে আঁতাত করি বেদনার খরার প্রভাত।

মুছে ফেলা অপেক্ষার আলৌকিক বসন্তের খেলা
দীর্ঘশ্বাসে অবেলা দুপুরে দিলখোলা স্বপ্নের সিঁড়িতে
হাতছানি দেয় তোমার আঘাত।

বীনাপানির তরীর কিনারে বাসা বাঁধে মন। তুমি
স্বপ্ন পূরণে পরীর অপবাধে মোহনীয় হাসিবন থেকে
নির্বাসিত করো প্রয়োজন।

বাকির নামই ফাঁকি। তুমি আন্তরিক মাখামাখিতেও
নগদ বাকিতে মিনাক্ষীর হাসি মেখে বাক্যবান চোখে
খোঁজো দরশন।

হাইব্রিড ভাবের সাগরে কল্পনার পারা পারে
মনেরা উদাও হতে চায় সাধনার পরম আঁধারে।
তোমাদের কুটছালে হই অমূল্য সম্পদ।

বখে যাওয়ার বিবাদী মোড়কে শত সংঘাত
বাদ অপবাদ হয়ে দুঃখের মানে বাতিল ও হরিলুটে
করে আবেগের রদ।

বড় প্রয়োজন স্বপ্নকে হৃদয় দিয়ে দেখা। রেখা টেনে
প্রেমায়োজনে সুজনে প্রতীক্ষার কাছে বাখ্যার অতিতে
রক্ষা করা দরকার মনের দূর্ভোগ।

তুমি অবেলার দিলখোলা আমি গড়িয়া মেলায়
রঙের অবহেলায় ভুলে থাকি নববর্ষ উপভোগ
হৃদয়ের অভিযোগে।

কারণ দর্শানো অনুভূতি

রেড অ্যালার্টের আওতায় রেখেছি তোমার ডিগবাজি। তুমি
সাশ্রয়ী সুযোগে বিস্তারিত আবেগে লগোর বিপরীতে
সিলেক্ট আউট লেটে করো কারসাজি।

চিয়ার্স গার্লের রিভার্স নোটিশে হৃদয় বিদারক
দুঃখের সাথে আমি খলনায়কের দোষে
পেয়েছি তোমার নিমরাজি।

হ্যাপি ওয়াচের আন্তঃডটকমে তুমি মন বেচাকেনা করো।
অবিশ্বাস্য দুঃসাহসে পাইরেটের শীর্ষে হৃদয়ারণ্যের দেশে
করো মনের দস্যুতা। আমি একতরফা প্রেমের সৌজন্য স্বাক্ষাতে
মিথ্যা বক্তবের কাছে মাতকরা দৃষ্টি ভঙ্গীর রক্ষার্থে
ভুলতে বসেছি তোমার স্বার্থপরতা।

বিরহের চার্জশিটে বাধ্যতামূলক আস্থার সংকটে তুমি
ডাক সাইটে রঙ্গিন ভেলকি বাজিতে কাপলইয়ারে যোগদাও।
আমি ধন ধন্যের সবুজে শান্তির বিহারে টানি
অভিন্নের নীরবতা।

আন্ত বর্হিভূত পরিকল্পনা শুমারী শেষে বিকল্প বৈরীতে
চালু করো কারণ দর্শানো অনুভূতি।

হেমন্তের গান

অব্যাহত মনের লোড শেডিঙে তোমাকে আলাদা করা
কষ্টকর। সচারাচর স্বাভাবিকতায় পালাক্রমে আত্মহারা
হেমন্তের গানে গড়ো হৃদয় নগর।

শুল্কমুক্ত প্রেমের দাবিতে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে প্রেম
সহায়তার জীবন দেবতার কাছে নত হয় অভিমান।

দ্বৈত নীতিতে অবগতির মনগড়া রীতির অনুশীলনে
চুড়ান্ত মাকাল ফলে সবুরে মেওয়া ভুলে
ঐতিহ্য ঐশ্বর্য মিলে ভাগকরে গোলাজল।

আক্কেল ভুলের মক্কেলের মাসুলে আবেগে
কাঁদে দুঃখের বলা আগুন।

নদী মাতৃকতাধ্যানে কার্তিক অগ্রহায়নে মনে জাগে
শিহরণ। অরক্ষিত প্রেমের সড়কে হৃদয়ের পর্যবেক্ষণে
উজাড় হচ্ছে-পন।

সম্পর্কে উন্নয়নের ধারাবাহিকতার বিকল্প নেই।

মনের অববাহিকায় তুমি বাস করো। আমি
দায় স্বীকারের সত্য হাওয়ায় হেমন্তের
ঋতু বদলের মনে নিজেকে ভুলতে থাকি।

হেমন্তের সুখ

হেমন্তের দুপুর পেরিয়ে এলো বৃষ্টি। অগোছালো
ভেতরে নুপুর পায়ে নৃত্য করে সৃষ্টি।

ঐশ্বর্যের আতিশয্যায় মনের দরিয়ায় ভাসাই দুঃখ।
আমন ধানের ঘ্রাণে মাতোয়ার টানে হালধরি
সোনালী দিনের।

প্রতিদিন বাড়তি আবেগে মুখ খোলে ঋণ।
ডানা ঝাপটানো রঙিন উল্লাসে প্রিয়মন শতভাগ গোপনীতায়
রাখে অপমান। যুগল বন্দির অনুরাগে ইসকা বিবির দোষে
সন্ধিকরে মন।

দিলখোলা দূরে আরোগ্য ভেলায় ভাসে প্রহসন।
অশোভন তোপের মুখোশে বাস করে হৃদয়ের
ডানবাম। অবিরাম ভালোবাসার আবেগে খোঁজে মূলধন।

নদী শান্ত হতে থাকে হেমন্তে। পরম যন্ত্রণায়
প্রাপ্তির আশ্বাসে বিভ্রান্তিতে টানে জীবনের গুনাগুন।
সতর্কে সমতা মেখে প্রকৃতির কন্যা জাফলঙে
আলিঙ্গনে ঘর বাঁধে ধরাশায়ী প্রাণ।

সহস্র দিনের কান্না জড়ো হয় ভাসমান মেঘে
আশা পরাহত জেনে মনের শাসনে খুঁজি বস্তাবন্দি প্রেম।

চক্রবৃদ্ধির অফারে হিতে বিপরীতে সিলগালা
আত্মঘাতিতে ভালোবাসা বাঁচানোর দাবী উঠে।

গোলাভরা যৌবনের অপেরায় মনের খরায় নামে
হেমন্তের মুশলধারার অভিমান।

দুঃখ সুখের মানে শুধু দু’হৃদয়ে জানে।

দফারফার অফারে

অকৃতজ্ঞতায় বাড়ছে ক্ষমতা পাশবিকতার। দাতা গ্রহিতার
সঞ্চয় খাতায় লেখা থাকে মেয়াদি মুনাফা।

দফারফার অফারে হৃদয়ের অভিযোগে বাসকরে
গুনভাগ। ধারাবাহিক নির বিচ্ছিন্ন মন বৈতরণী পার করে
শাহবাগ। হতবাক হৃদয়ে ঘুমিয়ে থাকে ক্ষোভরাগ।

ভাব গুরুর বিলাসে শুরু হয় হৃদয় বিরাগ। শীতের আপোষে
মন ভাসে পরবাসে। ধ্বসে পড়ে অবশেষে আবেগের সেতু।
ঋতুমেঘে দূরত্বের মহাকাশে ভাসে অনুরাগ।

ভালোবাসার অবাধ লেনদেনে দৃর্বৃত্তায়নে বেসে যায়
আত্মভূক অভিযান। সরেজমিনে ভুল সংশোধনের
দ্বিধাহীন অজানার মনে বাস করে মহাপ্রাণ।

প্রিয়টানে বল প্রয়োগের জল টলমলে হিসাবের কোলাহলে
আপোষের নতুন সংযোজনে প্রিয়মন ধরাশারী হয়।

বস্ মন্তর সু-আন্তরিক সংহিসতায় ধেয়ে আসছে সোনিয়া।

মান ভাঙতে কেরিকেচার চলে বিভ্রান্তিতে। শান্তিতে শষ্কার চাপ
মৃত্যুর পাঞ্জালড়ে যায় দিশেহারা। সঞ্চয়ে ঝুঁকেছে আমরণ আলোহীন।

সুদিন আসবে বলে মানুষেরা দিয়ে গেছে দীনতার ঋণ।

অন্তরের যোগ বিয়োগের ঘোষনায় অসহযোগের
বহুল প্রচারে শরিকের অগোচরে না ভীড়া বন্দরে
তীরভাঙা ঢেউ তোলে।

চিরদিন অবেলায় দিন যায়। দূরের আকাশ
ভুলে থাকে রাত। স্বপ্ন দূরাকাশে ডোরাকাটা ফ্যাশনের
ইস্টিমারে সময় বেঝোই করে নিরাশায় চলে এলে মেলো।