ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রচ্ছদ » মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিন » বিস্তারিত

২০ জুলাই, ১৯৭১

বগুড়ায় মুক্তিযোদ্ধারা পাকবাহিনীর ওপর বোমা হামলা চালায়

২০২১ জুলাই ২০ ০০:১০:১০
বগুড়ায় মুক্তিযোদ্ধারা পাকবাহিনীর ওপর বোমা হামলা চালায়

উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক :ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরদার শরণ সিং রাজ্যসভায় বক্তৃতাকালে বাংলাদেশের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য পাকিস্তান সরকারের প্রাত আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমান সাড়ে ৭ কোটি মানুষের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নেতা। তিনি বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি। একটি দেশের রাষ্ট্রপতি ও সরকার প্রধানের বিচার করার অধিকার অপর কোনো রাষ্ট্রের নেই।

সকাল ৯টায় এক প্লাটুন মুক্তিযোদ্ধা পাকবাহিনীর ইয়াকুবপুর, চন্দ্রপুর ও ওবাগাবাড়ী অবস্থানের ওপর অতর্কিতে আক্রমণ চালায়। এতে ১৩ জন পাকসেনা নিহত ও ১০ জন আহত হয়। আক্রমণ শেষে মুক্তিযোদ্ধারা নিরাপদে নিজ অবস্থানে ফিরে আসে।

সকাল সাড়ে ১০টায় মুক্তিবাহিনীর গেরিলা দল কুমিল্লা শহরে পাকসেনাদের বিভিন্ন অবস্থানের ওপর মর্টার আক্রমণ চালায়। একটি গোলা আজাদ স্কুলে, একটি গোলা সাধনা ঔষাধালয়ের কাছে, একটি গোলা গোয়ালপট্টিতে, একটি গোলা কালীবাড়ীর কাছে ও একটি গোলা এস-ডি-ও অফিসের কাছে বিস্ফোরিত হয়। গোলাগুলি বিস্ফোরণে পাকসেনাদের মনোবল ভেঙ্গে যায় এবং ভীত সন্ত্রাস্ত হয়ে কুমিল্লা সেনানিবাসের দিকে ছুটাছুটি শুরু করে।

বগুড়ায় মুক্তিযোদ্ধারা পাকবাহিনীর সার্কিট হাউস ক্যাম্পের ওপর বোমা হামলা চালায়। এতে একজন পাক প্রহরী নিহত হয়।

রাজশাহী শহরে মুক্তিবাহিনীর এ্যামবুশ দল পাকবাহিনীর একটি টহলদার দলকে ফুদকিপাড়ায় এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে ৪ জন পাকসেনা নিহত হয়।

মেজর গিয়াসউদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা দল লালপুর থানা রেইড করে। এতে ৭ জন অবাঙ্গালী পুলিশ নিহত হয়।

সিলেটে ক্যাপ্টেন হকের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদল পাকবাহিনীর দিলখুশা চা বাগান ঘাঁটি আক্রমণ করে। এ যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের একজন পথ প্রদর্শক শহীদ হন এবং ক্যাপ্টেন হক ও মুক্তিযোদ্ধা বাবু আহত হন।

লাহোরে পিপলস পার্টি প্রধান জুলফিকার আলী ভুট্টো সাংবাদিকদের বলেন, পুর্ব পাকিস্তানে এখানে-সেখানে কিছু বিস্ফোরণ ঘটছে কিংবা সীমান্ত এলাকায় গোলাগুলি চলছে যা মোটেই সহনীয় নয়। কিন্তু তাই বলে পুরোপুরি স্বাভাবিকতা ক্ষমতা হস্তান্তরের পূর্ব শর্ত হতে পারে না। তাঁর দল ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য আর তিন মাস ধৈর্য ধরবে, এর বেশি নয়।

কাউন্সিল মুসলিম লীগ সভাপতি মিয়া দৌলতানা বলেন, তাঁর দল পাকিস্তানের অস্তিত্বের বিনিময়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পক্ষপাতি নয়। তাঁর দল দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার ব্যাপারে সরকারের যে কোনো পদক্ষেপকে স্বাগত জানাবে।

ইসলামী সেক্রেটারিয়েটের মহাসচিব টুঙ্কু আবদুর রহমান প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খানের সাথে ইসলামাবাদে সাক্ষাৎ করেন।

তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।

(ওএস/এএস/জুলাই ২০, ২০২১)