ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » স্বাস্থ্য » বিস্তারিত

ডা. পদবি নিয়ে স্বাস্থ্যের চিঠি প্রত্যাহার চান হোমিও চিকিৎসকরা

২০২২ জানুয়ারি ১৭ ১৮:১২:২৪
ডা. পদবি নিয়ে স্বাস্থ্যের চিঠি প্রত্যাহার চান হোমিও চিকিৎসকরা

স্টাফ রিপোর্টার : হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকরা নামের আগে ডা. লিখতে পারবেন না এমন নির্দেশনা দিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে যে চিঠি দেয়া হয়েছে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার স্বার্থ সংরক্ষণ জাতীয় কমিটি। সোমবার (১৭ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক নেতারা এই দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সম্প্রতি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকদের নামের আগে ডা. পদবি ব্যবহার করা যাবে না এমন নির্দেশনা দিয়ে বিএমডিসির আইন ২০১০ এর বরাতে চিঠি দিয়ে যে নির্দেশনা জারি করেছেন তা সঠিক নয়। এটি অনভিপ্রেত ও দুঃখজনক।

তারা বলেন, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি প্র্যাকটিশনার্স অধ্যাদেশ ১৯৮৩, মাদক আইন ২০১৮, ভেটেরিনারি কাউন্সিল আইন ২০১৯ (২৩/২) সহ সরকারের বিভিন্ন সময়ে জারি করা আদেশ অনুসারে নিবন্ধিত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকরা তাদের নিজ নিজ নামের আগে ডা. পদবি ব্যবহারের অধিকার রাখেন।

বক্তারা বলেন, প্রায় ২০০ বছরের বেশি সময় থেকে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকরা এবং হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাবিজ্ঞান বিশ্বে ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতার সঙ্গে চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বিজ্ঞানের গ্রহণযোগ্যতা উপলব্ধি করে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড গঠন করেন এবং হোমিওপ্যাথি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে অবকাঠামো উন্নয়নে সাধ্যমতো আর্থিক সহযোগিতা করেন।

বাংলাদেশে বর্তমানে সরকার স্বীকৃত ও অনুমোদিত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পাস করা ব্যাচেলর অব হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি (বিএইচএমএস) নিবন্ধিত চিকিৎসকের সংখ্যা প্রায় ২ হাজার ৫০০ এবং ডিএইচএমএস নিবন্ধিত চিকিৎসকের সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার। যারা দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় তথা ইউনিয়ন পর্যায়ে সর্বসাধারণের চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত।

২০১৪ সালে আশা ইউনিভার্সিটির পাবলিক হেলথ বিভাগের এক মাঠ জরিপে দেখা যায় যে, দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নেন। যে কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের সরকারি হাসপাতালে চাকরিসহ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ও শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছেন।

বর্তমানে দেশে ৬৫টি বেসরকারি ডিএইচএমএস হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং একটি সরকারি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে হোমিওপ্যাথি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. দীলিপ কুমার রায়সহ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ১৭, ২০২২)