ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রচ্ছদ » পাশে দাঁড়াই » বিস্তারিত

ভ্যান চালক যুবায়ের বাঁচতে চায় 

২০২২ মার্চ ০৬ ১৮:৩৭:২০
ভ্যান চালক যুবায়ের বাঁচতে চায় 

দিলীপ চন্দ, ফরিদপুর : আসমানীদের বাড়ির ধারে পদ্ম-পুকুর ভরে ব্যাঙের ছানা শ্যাওলা-পানা কিল-বিল-বিল করে।ম্যালেরিয়ার মশক সেথা বিষ গুলিছে জলে, সেই জলেতে রান্না খাওয়া আসমানীদের চলে। পেটটি তাহার দুলছে পিলেয়, নিতুই যে জ্বর তার, বৈদ্য ডেকে ওষুধ করে পয়সা নাহি আর। পল্লী কবি জসীম উদ্‌দীন তার আসমানী কবিতায় পংক্তি গুলো লিখছেন।

ঠিক তেমনি এক আসমানীদের পরিবার ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার চৌকিঘাটা গ্রামে। ৫ বোন ১ ভাইয়ের বড় একটি পরিবার ভ্যান চালক যুবায়ের মুন্সীর (১৬)। অটো ভ্যান চালিয়ে বেস ভালো ই ছিলেন যুবায়ের এর সংসার কিন্তু বিধাতার লিখন যায় না খন্ডন তাই তো দুঃখ যেন শেষ হবার নয়। স্থূলকায় দেহে বাসা বেধেছে কয়েকটি বড় রোগ যার মধ্যে পিত্তথলিতে পাথর, ফুসফুসের ভিতর চর্বি, অ্যাপেন্ডিক্স, এবং ডায়াবেটিস। এখন ভ্যান চালাতে না পারায় থাকতে হয় অধ্যহার অনাহারে। আর ডাক্তার দেখবার টাকা পয়সা তো বিরাট ব্যাপার।

এই বিষয়ে যুবায়ের মুন্সীর সঙ্গে কথা বলে তিনি বলেন, আমার বাবা অনেক বয়স তাই কাম করতে পারে না। তাই তিন চার বছর ধরে আমাকে ভ্যান চালাতে হয়। দশ বারো দিন আগে অসুস্থ হলে ফরিদপুরে গিয়ে ডাক্তার দেখালে ধরা পরে বড় বড় চারটা রোগ। অসুস্থতার জন্য গাড়ি চালাবার পারি না। ডাক্তার কয়ছে অপারেশন করা লাগবো।

প্রসঙ্গত, যুবায়ের মুন্সীর ৪ বোন বড় তার পর যুবায়ের এছাড়া যুবায়ের মুন্সীর ছোট আরো এক বোন রয়ছে। বড় চার বোনের বিবাহ হয়েছে। তারা যে যার মতো সংসার করছেন শশুড় বাড়ি।

এই বিষয়ে যুবায়ের মুন্সীর মা রানী বেগম (৪৮) বলেন, আমার পাঁচ টা মেয়ে ১ টা ছেলে জমি জমা কিছু নেই তাই বাধ্য হয়েই ছেলেটার কিস্তি করে ভ্যান কিনে দিছি। এহন পোলাডার রোগে ধরছে বাহে। আপনার কাকা বড়া মানুষ কাম করবার পারে না। এই পোলাডাই একমাত্র সম্বল। এহেন যে কি করবো দুই চোখে অন্ধকার দেখতেছি। ছেলেটার অপারেশনের জন্য মেলা টাহার কাম।

(ডিসি/এসপি/মার্চ ০৬, ২০২২)