ঢাকা, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২

প্রচ্ছদ » পাঠকের লেখা » বিস্তারিত

মশা নিধনে চাই জনসচেতনতা 

২০২২ মার্চ ১৩ ১৮:৪৪:১৮
মশা নিধনে চাই জনসচেতনতা 

ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ


কি শীত, কি গরম সারা বছরই শুধু রাজধানীতে নয়,দেশের সর্বত্রই মশার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। মশার ভনভন শব্দ আর কামড়ে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। মশার কামড় খেতে হয়। শহরের এখানে-ওখানে খানাখন্দ, খোলা ম্যানহোল, পয়োনালা, অর্ধনির্মিত দালান, আবর্জনায় ভরা। এসব জায়গায় মশা বংশ বিস্তার করে চলেছে। আর বাসাবাড়ি, অফিস-আদালত, রেস্টুরেন্ট, গণপরিবহণসহ সর্বত্র মশার উৎপাত সহ্য করতে হচ্ছে নাগরিকদের।আর মশার হাত থেকে রক্ষা পেতে মানুষ সাধারণত কয়েল ও স্প্রে ব্যবহার করে থাকে, যা স্বাস্থ্যসম্মত নয়। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের জন্য অত্যন্ত স্বাস্থ্যঝুঁকিপূর্ণ। মশারি খাটিয়েও গরমের সময় স্বস্তিতে ঘুমানো যায় না। সাময়িক ব্যবস্থা দিয়ে জনগণের ভোগান্তি কমবে না, বরং দিন দিন বেড়ে যাবে। তাই প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদি সমাধান।

আমাদের দেশে মশাবাহিত রোগগুলো বিস্তারের সম্ভাব্য কারণ হিসেবে অধিক জনসংখ্যা, ঘনবসতি ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, অপরিকল্পিত অবকাঠামো ও অব্যবস্থাপনা, জলাবদ্ধতা এবং ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার ও পয়োনিষ্কাশনের অভাব উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়া বিশ্বায়নের ফলে মানুষ ও দ্রব্যাদির দ্রুত স্থানান্তর, অনিয়ন্ত্রিত সীমান্ত, জলবায়ুর পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণায়নে মশার প্রজনন বেড়ে যাওয়া এবং পোকামাকড় দমনে অপরিমিত কীটনাশকের ব্যবহারে মশার প্রতিরোধক্ষমতা বেড়ে যাওয়ায় মশার সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বেড়ে গেছে।

তাপমাত্রার ওপর মশার প্রজনন ও বিস্তারের বিষয়টি অনেকাংশে নির্ভর করে। শীতপ্রধান দেশে মশা নেই বললেই চলে। কারণ তীব্র শীতে মশা বাঁচতে পারে না। অধিক গরমেও মশার প্রজনন কমে যায়। ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার বাহক এডিস মশা অন্যান্য মশার তুলনায় বেশি দ্রুত বংশ বৃদ্ধি করতে পারে। সাধারণত ২৮ থেকে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা মশার প্রজননের জন্য উপযুক্ত, কিন্তু তাপমাত্রা ৩৩-এর ওপরে হলেই মশার প্রজনন ব্যাহত হয়। শীতকালে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে চলে গেলে মশা সুবিধাজনক স্থানে লুকিয়ে থাকে এবং উষ্ণ আবহাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। এভাবে শীতকাল অতিক্রম করতে পারলে তাদের আয়ুষ্কাল ছয় থেকে আট মাস পর্যন্ত বেড়ে যায়।

তাপমাত্রা বেড়ে গেলে মশার আধিক্য কমে যায়, কিন্তু তার শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে জীবাণু থেকে যায়। সুবিধাজনক তাপমাত্রা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের দৌরাত্ম্য বেড়ে যায় এবং রোগ বিস্তার প্রকটভাবে শুরু করে। মশা বাহক হিসেবে আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে রোগের জীবাণু বহন করে সুস্থ দেহে সংক্রমণ করতে পারে। আক্রান্ত মশায় একটি ভাইরাস থেকে চার ঘণ্টায় প্রায় ১০০ থেকে এক হাজারটি ভাইরাস জন্ম নেয়। একটি স্ত্রী মশা ছয় থেকে আট সপ্তাহ পর্যন্ত বাঁচে, এই সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনবার পর্যন্ত প্রজননে সক্ষম ও প্রতিবার ১.৫ সপ্তাহ প্রজনন সময়ে সর্বোচ্চ এক হাজারটি মশার জন্ম দিতে পারে। এদের ডিমগুলো পানিতে এক বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে। অল্প পরিমাণ জমে থাকা পানিও ডিম পরস্ফুিটনের জন্য যথেষ্ট।

আজকের বিষয় নিয়ে কলাম লিখেছেন জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ডা.এম এম মাজেদ তাঁর কলামে লিখেন এই দুই মাসে দেখলাম মশার কাছে আমরা কতটা অসহায়। মশা আমাদের জন্য এখন একটি আতঙ্কের নাম।আর মশার কাছে আমরা এক ধরনের পরাজিত হয়েছি বলা যায়। মশা থেকে পরিত্রাণ পেতে ব্যক্তিগত সচেতনতা ও প্রোটেকশন যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল একটি সফল ও টেকসই মশা নিধন ব্যবস্থাপনা।এই জন্য মশা নিয়ন্ত্রণে সমাজ ও রাষ্ট্রের গুরুত্ব অপরিসীম। কমিউনিটি বা এলাকাভিত্তিক মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে একের অধিক পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজন। শুধু রাসায়নিক পদার্থ বা কীটনাশকের ব্যবহার না করে সমন্বিত পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে। আমরা অনেকেই ভাবি, মশা নিয়ন্ত্রণ মানে মূলত স্প্রে করা কিন্তু মনে রাখতে হবে স্প্রে করা হলো সমন্বিত মশা নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ছোট একটি অংশমাত্র।

মশার কার্যকর নিয়ন্ত্রণের জন্য আমাদের একটি সুন্দর ও সুপরিকল্পিত নমুনা সংগ্রহ, শনাক্তকরণ ও সার্ভেইলেন্স বা নজরদারি কার্যক্রম থাকা দরকার, যার মাধ্যমে দেশে মশার বিস্তারের প্রকৃত চিত্র পাওয়া সম্ভব হবে। কোন এলাকায় কোন মশা আছে এবং তা জনস্বাস্থ্যের জন্য কতটুকু হুমকি এবং মশার ধরন অনুযায়ী তাদের প্রজনন স্থান চিহ্নিত করতে না পারলে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ সম্ভব নয়। এ ছাড়া মশার জনসংখ্যার পরিবর্তন পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি বন্য পশু ও পাখির মধ্যে মানুষের জন্য স্বাস্থ্য হুমকিস্বরূপ ভাইরাস বা অন্যান্য কীটপতঙ্গবাহী জীবাণুু পর্যবেক্ষণও প্রয়োজন। সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ, সচেতনতা, স্বাস্থ্য সতর্কতা বা পূর্বাভাস প্রদানের জন্য এসব তথ্য অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ।

মশা যেহেতু মানুষকে কামড়ায়, তাই সবাই সাধারণত মশা নিধনেই বেশি নজর রাখে। কিন্তু এই মশার চেয়ে যে লার্ভা (বাচ্চা) নিধন বেশি জরুরি, তা মানুষ অনুধাবন করতে পারে না। লার্ভা হয়তো কামড়াতে পারে না বলেই এমন ধারণা হতে পারে। কিন্তু মশা মারার চেয়ে মশার প্রজনন রোধ জরুরি। মশা তার জীবনচক্রের প্রথম ১০ দিন পানিতে কাটায়, তারপর যখন প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে ওঠে তখন তাদের মারা কঠিন হয়ে পড়ে। তবে মাথা মোটা ও গায়ে লোমবিশিষ্ট পাখাবিহীন ঘাসফড়িঙের শরীরের মতো দেখতে ছোট ছোট এই বাচ্চা সহজেই মারা যায়। তাই পানিতে থাকা অবস্থায় মশার প্রজনন স্থান নির্ণয় ও নির্মূল করা মশা নিয়ন্ত্রণের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর অংশ। জমে থাকা পানি পরীক্ষা করে সেখানকার মশার লার্ভা নষ্ট করতে হবে এবং এসব জায়গায় যাতে পানি জমে থাকতে না পারে বা মশার প্রজনন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

মশার বাসস্থানের পানিতে কেরোসিন বা মবিল ঢেলে মশার প্রজনন রোধ করা যায়। পানিতে কেরোসিন বা মবিল ব্যবহার পরিবেশবান্ধব নয়। এসবের পরিবর্তে সয়াবিন, নিম বা অন্য যেকোনো সহজলভ্য তেলজাতীয় পরিবেশবান্ধব পদার্থ ব্যবহার করে মশার প্রজনন রোধ করা যায়। এ ক্ষেত্রে এসব পদার্থ পানির ওপরে একটি স্তর তৈরি করে মশার লার্ভাকে অক্সিজেন নিতে বাধা সৃষ্টি করে। ফলে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে লার্ভাগুলো সহজেই মারা যায়। ১০০ বর্গফুটে এক চা চামচ ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু মাছ চাষের জায়গায় তেলজাতীয় পদার্থ ব্যবহার করা যাবে না, এতে মাছও শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যাবে। এভাবে বাড়ির আশপাশে, বস্তিতে, পরিত্যক্ত জায়গায় বা ড্রেনের জমে থাকা পানিতে তেল ব্যবহার করে সহজেই মশার প্রজনন রোধ করা সম্ভব। ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করেও মশার লার্ভা মারা যায়।
আর এসব মশা থেকেই প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে চলেছে। এসব রোগে মৃত্যুর হারও কম নয়।

ম্যালেরিয়া: বাংলাদেশের পার্বত্য এলাকায় ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বেশি। তাই বলে ঢাকা বা অন্যান্য শহরেও যে হয় না, তা নয়। তা ছাড়া প্রতিদিনই অনেক পর্যটক বেড়াতে বা কাজে চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ইত্যাদি এলাকায় যাচ্ছেন। তাই যে কেউ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হতে পারেন। অনেক জ্বর, কাঁপুনি দিয়ে জ্বর, প্লীহা ও যকৃতের আকৃতি বৃদ্ধি ইত্যাদি এই রোগের লক্ষণ। কখনো কখনো ম্যালেরিয়া প্রাণনাশী হয়ে উঠতে পারে, মস্তিষ্ককে আক্রমণ করতে পারে, অস্বাভাবিক রক্তপাত, জন্ডিস ইত্যাদিও ঘটাতে পারে।

ডেঙ্গু : জুন-জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর পর্যন্ত এ দেশে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ থাকে। ডেঙ্গুবাহী মশা অ্যাডিস বদ্ধ পানিতে জন্মায় এবং দিনের বেলায় বেশি কামড়ায়। তাই শহরেই এর আক্রমণ বেশি। জ্বর, প্রচণ্ড মাথাব্যথা ও চোখব্যথা, গায়ে ফুসকুড়ি বা র্যা শ এই রোগের লক্ষণ। এতে রক্তে অণুচক্রিকা কমে যেতে পারে এবং অস্বাভাবিক রক্তপাত হতে পারে। এমনিতে ডেঙ্গু জ্বরে মৃত্যুর আশঙ্কা তেমন নেই, তবে ডেঙ্গু শক সিনড্রোম হয়ে গেলে ব্যাপারটা জটিল রূপ নিতে পারে।

চিকুনগুনিয়া :নতুন করে দেখা দিয়েছে চিকুনগুনিয়া ভাইরাস। এটিও মশার মাধ্যমেই ছড়ায়। এই রোগে জ্বরের পাশাপাশি হাড়ের জোড়া বা অস্থিসন্ধিতে ব্যথা হয়। ব্যথা, জ্বর সেরে যাওয়ার পরও অনেক দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।

এনকেফেলাইটিস : এটিও মশাবাহিত ভাইরাস। মস্তিষ্কে প্রদাহ ঘটায়। সাধারণ ফ্লুর মতো উপসর্গ। এশিয়া মহাদেশে এই সমস্যা জাপানিজ এনকেফেলাইটিস নামে পরিচিত। এর প্রভাবে জ্বর, গলাব্যথা থেকে শুরু করে খিঁচুনি, মাংসপেশির দুর্বলতা ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে।

জিকা : বেশ কয়েকটি দেশে জিকা ভাইরাসজনিত যে সমস্যার দেখা মিলেছে, সেটাও মশাবাহিত। বাংলাদেশে ততটা না দেখা গেলেও মনে রাখতে হবে যে ভাইরাসবাহী মশা বিমানে করে আসতে পারে। গর্ভবতী মা এতে সংক্রমিত হলে গর্ভস্থ শিশু আক্রান্ত হতে পারে।

তাই মশা থেকে সাবধান

মশার কামড় থেকে আত্মরক্ষাই সবচেয়ে বড় সমাধান। বসন্তকাল থেকে শুরু হয় মশাবাহিত অসুখ-বিসুখের প্রকোপ, বর্ষাকালে সবচেয়ে বাড়ে। মশা থেকে বাঁচতে হালকা রঙের কাপড় পরবেন, ফুলস্লিভ হলে ভালো। বাড়িতে নেট ব্যবহার করতে পারেন।আর রসুনের নির্যাসের মধ্যে মশা মারার কার্যক্ষমতা আছে। রসুনের কয়েকটি কোয়া নিয়ে পানিতে সিদ্ধ করে রুমে স্প্রে করলে মশা থেকে নিস্তার পাওয়া যায়। তা ছাড়া নিয়মিত রসুন খেলে বা শরীরে রসুনের কোয়া ঘষে নিলে মশার কামড় থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এ ছাড়া শুকনা বরফ (ড্রাই আইস) ব্যবহার করেও মশা থেকে প্রতিকার পাওয়া যায়। শুকনা বরফ কোনো একটি পাত্রে রাখলে সেখান থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ হবে, যা মশাকে আকর্ষণ করবে। পরে ঢাকনা বন্ধ করে দিয়ে সব মশা মারা যাবে।

পরিশেষে, রাতে অবশ্যই মশারি ব্যবহার করবেন। শিশুরা ঘুমালে দিনেও তাই। পাহাড়ি এলাকায় ঘুরতে গেলে অবশ্যই সাবধান থাকবেন, সঙ্গে ফুলহাতা জামা ও মশা তাড়ানোর ওষুধ নেবেন। বাড়িঘরের আশপাশে বদ্ধ পানি নিয়মিত সাফ করবেন। টবের নিচে, এসির নিচে জমে থাকা পানি পরিষ্কার রাখবেন। আর এডিস মশা স্থির পানিতে ডিম পাড়ে, তাই বালতি, ফুলের টব, গাড়ির টায়ার, বাড়ির আশপাশ প্রভৃতি স্থানে যেন পানি জমতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। শুষ্ক ও আর্দ্র উভয় মৌসুমে এডিস মশা সক্রিয় থাকে, তবে বর্ষার সময় এদের আধিক্য দেখা যায়। তাই বর্ষার আগে জনসচেতনতা তৈরি করা, প্রয়োজনীয় তথ্য ও উপাত্ত দিয়ে মশা নিধনে পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। মশা নিয়ন্ত্রণে মোট বাজেটের সিংহভাগ মশার প্রজনন নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করতে হবে। মশা ও অন্য রোগবাহী কীট নিয়ন্ত্রণে প্রতিটি জেলায় স্থানীয় ইউনিট তৈরি করে সমন্বয়ের মাধ্যমে সারা বছর কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। বৈশ্বিক উষ্ণায়নে কীটপতঙ্গের প্রজনন বেড়ে যেতে পারে।

জলবায়ুর পরিবর্তন ও কালের আবর্তে পরিবর্তিত হতে পারে চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গু সংক্রমণের ধরন। তাই বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে মশার প্রজননে যেসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বা উপাদান কাজ করছে তা খুঁজে বের করতে হবে।আবহাওয়ার পূর্বাভাস ও জলাবায়ুর পরিবর্তন সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।আর মশা ও মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে পত্রপত্রিকা, রেডিও, টেলিভিশন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। মশার আবাসস্থল কিভাবে চেনা যায়, প্রজনন স্থান কিভাবে বোঝা যায়, মশার লার্ভা কিভাবে চেনা যায়, কিভাবে মশা থেকে দূরে থাকা যায়, মশাবাহিত কী কী রোগ হতে পারে এবং প্রতিকারের কী উপায় এসব সম্পর্কে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে।

লেখক : প্রতিষ্ঠাতা,জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি।