ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » দেশের বাইরে » বিস্তারিত

উত্তর কোরিয়ার মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ দূত নিয়োগ বাইডেনের

২০২৩ জানুয়ারি ২৪ ১৩:৫৫:২৭
উত্তর কোরিয়ার মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ দূত নিয়োগ বাইডেনের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন উত্তর কোরিয়ার মানবাধিকারবিষয়ক একজন বিশেষ দূত নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময় পদটি শূন্য ছিল। কোরিয়ান-ভাষী কূটনীতিক জুলি টার্নার ২০১৭ সাল থেকে শূন্য হওয়া পদের দায়িত্ব পালন করবেন।

হোয়াইট হাউজ স্থানীয় সময় সোমবার এক বিবৃতিতে জানায়, বাইডেন কোরিয়ান-ভাষী কূটনীতিক জুলি টার্নারকে মনোনীত করেছেন, যিনি এখন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মানবাধিকার ব্যুরোর এশিয়া বিভাগের প্রধান।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, টার্নার পূর্বে উত্তর কোরিয়ার মানবাধিকার বিষয়ে রাষ্ট্রদূতের অফিসে বিশেষ সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন।

তবে তার নিয়োগের জন্য সিনেট থেকে অনুমোদন প্রয়োজন। তার এ নিয়োগের বিরোধিতাও করতে পারেন কেউ কেউ।

২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে পদটি শূন্য ছিল। সে সময় বারাক ওবামার অধীনে দূত, রবার্ট কিং পদত্যাগ করেছিলেন।

ট্রাম্পের প্রথম সেক্রেটারি অব স্টেট, রেক্স টিলারসন, কর্পোরেট-স্টাইল পুনর্গঠনের অংশ হিসাবে এই পদ থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন। ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রাখলেও উত্তরসূরি মাইক পম্পেও পদটি পূরণ করেননি।

মানবাধিকারকর্মীদের অনেকে বলেছেন, আমেরিকা যখন পিয়ংইয়ংকে তার নিষিদ্ধ পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার টেবিলে আনার চেষ্টা করেছিল, মানবাধিকারের বিষয়টিকে তখন একপাশে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

২০২১ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বাইডেন বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছেন, মানবাধিকার বিষয়টি তার বিদেশ নীতির কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে। কিন্তু কাউকে এ পদে নিয়োগ করতে ব্যর্থ হন তিনি।

উত্তর কোরিয়া বারবার মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে। একই সঙ্গে দেশের ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতির জন্য তার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে যুক্তরাষ্ট্রের ২০০৬ সালে আরোপ করা নিষেধাজ্ঞাকে দায়ী করছে। এ ঘটনায় কিম জং উনের সরকার ওয়াশিংটন ও সিউলকে তার সুনাম নষ্ট করার জন্য একটি রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করার অভিযোগ করছে।

পরমাণু ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির কারণে ২০০৬ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে উত্তর কোরিয়া। এসব কর্মসূচিতে অর্থায়ন বন্ধ করতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদও ধারাবাহিকভাবে বিধিনিষেধ বাড়িয়েছে দেশটির ওপর।

তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা

(ওএস/এএস/জানুয়ারি ২৪, ২০২৩)