ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » দেশের খবর » বিস্তারিত

ভাকুট্টায় পরিবেশ দূষণ করেই চলছে টায়ার পোড়ানোর কারখানা

২০২৩ জানুয়ারি ২৬ ১৮:৫৭:৫৫
ভাকুট্টায় পরিবেশ দূষণ করেই চলছে টায়ার পোড়ানোর কারখানা

কাজী দেলোয়ার হোসেন : সাভারের ভাকুট্টা এলাকার হিন্দু পাড়ায় পরিবেশ দূষণ করেই অপরিকল্পিত ভাবে পরিত্যক্ত টায়ার পুড়িয়ে বানানো হচ্ছে তেল। যার ফলে নষ্ট হচ্ছে কৃষকের আবাদি ফসল। আর অপরিকল্পিত ভাবে টায়ার পোড়ানোয় সৃষ্ট কালো জন্ম দিচ্ছে এ এলাকার বসবাসরত বাসিন্দাদের। স্থানীয় বাসিন্দাসহ কৃষকরা এর থেকে মুক্তি চান।

সরেজমিনে দেখা যায়, ভাকুট্টা এলাকার হিন্দু পাড়ায় অপরিকল্পিত ভাবে গড়ে উঠেছে নামে-বেনামে বেশ কিছু টায়ার পুড়িয়ে তেল তৈরির কারখানা। যাদের কারো কাছে নেই কোনো প্রশাসনিক নিবন্ধন পত্র সহ পরিবেশের ছাড়পত্র। তবুও তাদের কারখানা চলছে জমবেশ। কিছু দিন আগেও যেখানে স্থানীয় কৃষকরা র্নিরদ্বিধায় শাক-সবজি উৎপাদন করতেন সেখানে এখন শাক-সবজি ফলানো তো দুরের কথা প্রাকৃতিক ঘাস হওয়াটাই এখন দুষ্কর হয়ে গেছে বলে দাবি করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এছাড়া টায়ার পোড়ানো সৃষ্টি কালো ধোঁয়া রুপ নিয়েছে এক অভিশাপে। যার ফলে এ এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যেও দেখা দিয়েছে বিভিন্ন রোগ। এই কারখানায় যারা কাজ করেন তাদেরও কোন প্রকার স্বাস্থ্য সচেতনতা নেই বলেই চলে। ময়লা পানি, টায়ারের গন্ধ সহ কালো ধোঁয়ার কারনে তাদের অজান্তেই আক্রান্ত হচ্ছে নানান জটিল রোগে। এছাড়া আরো দেখা যায় কাঠ দিয়েই এই টায়ার পোড়ানো হয় এবং তৈরি করা হয় তেল।

বেশ কয়েকজন কৃষক বাংলা ৭১ ও উত্তরাধিকার ৭১ নিউজকে জানান, বেশ কিছু দিন আগের কথা এখানে আমরা বিভিন্ন রকমের ফসল চাষ করতাম। কিন্তু হটাৎ করেই এই ৬-৭ টি টায়ার পোড়ানোর কারখানার ময়লা পানির কারনে ফসল চাষ করা তো দুরের কথা কোন ঘাস এখন ঠিক মতো হয় না।

অনিমেষ চক্রবর্তী নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা সাংবাদিককে বলেন, এই এলাকায় এই কারখানা গুলো হওয়ার কারনে এর থেকে টায়ার পোড়ানোর সময় কালো ধোঁয়া রুপ নেয় ঘন কালো মেঘে। বিষাক্ত এই কালো ধোঁয়ার কারনে আমাদের এলাকায় এখন বেশির ভাগ মানুষেরই শ্বাসকষ্ট সহ নানা ধরনের জটিল রোগ দেখা দিয়েছে।

হিন্দু পাড়ার কয়েকজন মুরুব্বিের সাথে কথা বলে জানা যায়, টায়ারের দূর্গন্ধে তাদের জনজীবন একেবারে বিপর্যস্ত হয়ে গেছে। এসময় তারা আরো বলেন, আমাদের সুন্দর পরিবেশকে এই কোম্পানি গুলো নষ্ট করে দিচ্ছে।

এলাকার সাধারণ জনগণ বলছে অবৈধভাবে গড়ে উঠা এই টায়ার কারখানা গুলো বন্ধ করে দিয়ে বা যেখানে মানুষের বসবাস নেই সেখানে সরিয়ে নেয়া হোক।

এসময় কারখানার মালিক ও দ্বায়িত্বশীল কাউকেই পাওয়া যায়নি। এরপর মুঠোফোনে কারখানার মালিকদের সাথে যোগাযোগ করলে বেশিরভাগ মালিকরাই পরিচয় জেনেই কল কেটে দেয়। মালিকদের না পেয়ে কারখানায় কর্মরত কয়েকজন কর্মীর সাথে কথা বলে জানা যায়, এই এলাকায় যে কয়েকটি টায়ার পোড়ানোর কারখানা আছে তার কোনটারই নেই কোন কাজ। সম্পূর্ণ অবৈধভাবেই পরিচালনা করা হয় এই কারখানা গুলো।

(কেডিএইচ/এএস/জানুয়ারি ২৬, ২০২৩)