ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রচ্ছদ » অর্থ ও বাণিজ্য » বিস্তারিত

ভোমরা বন্দরে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ, লাভবান হবেন স্থানীয় চাষিরা

২০২৩ মার্চ ১৫ ১৯:১০:৫৯
ভোমরা বন্দরে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ, লাভবান হবেন স্থানীয় চাষিরা

রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। আজ বুধবার থেকে সরকারিভাবে পেঁয়াজের আমদানি অনুমতিপত্রের মেয়াদ আর না বাড়ানোর ফলে বৃহস্পতিবার থেকে পেঁয়াজ আমাদানি করতে পারবেন না ব্যবসায়ীরা। এদিকে,ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ হওয়ায় দেশি পেঁয়াজের দাম পাবেন চাষিরা,এমনটাই আশা চাষিদের।

আজ বুধবার সাতক্ষীরার বড় বাজার ঘুরে দেখা গেছে,ভারতীয় পেঁয়াজ পাইকারী বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ২৮ টাকা। আর খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা। অন্যদিকে, দেশি পেঁয়াজ পাইকারী বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা,আর খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৩৩ থেকে ৩৫ টাকা।

ভোমরা স্থলবন্দর ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জানা গেছে, প্রতিটন পেঁয়াজ ভারত থেকে আমদানি হচ্ছে ১৩০ মার্কিন ডলারে।

ভোমরা স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খান জানান, বুধবারই ছিল ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির শেষ দিন। আমদানির অনুমতিপত্রের মেয়াদ আর না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। দেশী পেঁয়াজের দামের ভারসাম্য বজায় রাখতে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে ধারণাকরেন তিনি।

সাতক্ষীরার তালা উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামের পেঁয়াজ চাষি গোলাম রসুল জানান, উৎপাদন ভালো হলে পেঁয়াজ বিঘাপ্রতি ৩০ মণ পর্যন্ত উৎপাদিত হয়। আর স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজ পাইকারী দরে কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ২২ থেকে ২৫ টাকা।এভাবে দাম পেলেও চাষি টিকে থাকতে পারেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের বিষয়ে এ চাষি বলেন, প্রতি বছর দেখা যায়, যখনই আমাদের দেশে পেঁয়াজ উৎপাদনের মৌসুমহয়, তখনই ভারত থেকে পেঁয়াজ বাংলাদেশে সয়লাব করে দেওয়া হয়। তাতে মার খায় স্থানীয় চাষিরা। ভারতীয় পেঁয়াজের তুলনায় বাংলাদেশী পেঁযাজের খরচও কম। তাই সরকারের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।

সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. জামালউদ্দীন বলেন, সাতক্ষীরায় এবার ৬ ৫৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। এখন উত্তোলন মৌসুম চলছে। উৎপাদনের টার্গেট রয়েছে ৬ হাজার ৫ ৫০ মে.টন।

(আরকে/এসপি/মার্চ ১৫, ২০২৩)