ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » অর্থ ও বাণিজ্য » বিস্তারিত

কমেনি মুরগির দাম, বেড়েছে সবজির

২০২৩ মার্চ ১৭ ১৫:২৩:৩৮
কমেনি মুরগির দাম, বেড়েছে সবজির

স্টাফ রিপোর্টার : রমজানের আগে বেড়েছে সবজির দাম। এছাড়া নতুন করে ব্রয়লার মুরগির দাম না বাড়লেও গত সপ্তাহের মতো ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে পাকিস্তানি কর্ক ও দেশি মুরগির দাম কিছুটা বেড়েছে। এদিকে দাম কমার মধ্যে শুধু রয়েছে ছোলা। শুক্রবার (১৭ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে এ চিত্র।

ক্রেতা ও বিক্রেতারা বলছেন, সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি সবজিতে অন্তত ১০-২০ টাকা বেড়েছে। বিশেষ করে নতুন সবজির দাম বেড়েছে বেশি। রমজানের শুরুতে এই দাম আরও কিছুটা বাড়ার আশঙ্কা করছেন বিক্রেতারা।

মালিবাগ কাঁচা বাজারের বিক্রেতা সফিউজ্জামান বলেন, কয়েকদিন ধরেই সবজির দাম বাড়তি। নতুন সজনে, বরবটি, কচুরলতি এখন বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। আর পুরোনো সবজির (শীতের সবজি) দামও বেড়েছে। তবে তুলনামূলক কম।

ওই বাজারের ক্রেতা সালম হোসেন বলেন, বেশিভাগ সবজির দাম ১০০-২০০ টাকা। এটা কোনো কথা হলো? আর ৫০-৬০ টাকার নিচে পেঁপে ছাড়া কিছুই নেই। এমন হলে সাধারণ মানুষকে না খেয়ে থাকতে হবে। শুধু সাদা ভাত খেতে হবে। তরকারির দাম শুনলে এখন ভয় লাগে।

এছাড়া শান্তিনগর ও সেগুনবাগিচা বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি সজনে বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২০০ টাকায়, বরবটি ১০০-১২০ টাকা ও কচুরলতি ১০০-১৪০ টাকা।

আর প্রতি কেজি করলা ৭০-৮০ টাকা, শিম ৫০-৬০ টাকা, পটল ৬০-৮০ টাকা, টমেটো ৪০-৫০ টাকা, বেগুন ৬০-৯০ টাকা, চিচিংগা ৬০-৮০ টাকা ও ঝিঙ্গা ৬০-৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া বাজারে লাউ প্রতি পিসি বিক্রি হচ্ছে আকার ভেদে ৫০-৮০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া প্রতি ফালি ২০-৪০ টাকা দরে। এদিকে কমেনি লেবুর দাম। প্রতি হালি লেবু ৬০-৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

সবজি বিক্রেতা এনামুল হোসেন বলেন, শীতকালীন সবজি শেষ হয়ে যাওয়া এবং অনেক সবজির ক্ষেতে ধান লাগানোর কারণে উৎপাদন কমে গেছে। সেই কারণে সবজির সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়তি। এরমধ্যে রোজার প্রভাবও রয়েছে।

এই সবজি বিক্রেতা বলেন, রোজা শুরু হলে বেগুন, শসা, লেবু, টমেটো ও ধনেপাতার দাম কিছুটা বাড়তে পারে। সঙ্গে কাঁচামরিচও।

এদিকে বাজারভেদে ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহের মতো ২৪০-২৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে অন্যান্য মুরগির দাম ২০-৫০ টাকা বেড়ে পাকিস্তানি মুরগি ৩৪০-৩৮০ টাকা ও বড় কর্ক মুরগি ৩২০-৩৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে দেশি মুরগির দাম এখন প্রতি পিস (৮০০-৯০০ গ্রাম) ৫০০-৫৫০ টাকা।

অন্যদিকে ছোলার দাম কিছুটা কমেছে। প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৮৫-৯৫ টাকা। যা আগে ৯০-১০০ টাকা ছিল। তবে অন্য কোনো পণ্যের দাম কমতে দেখা যায়নি। প্রতি কেজি খোলা চিনি ১১৫-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মসুর ডাল ১৩৫-১৫০ টাকা, খেসারি ডাল ৮০-৯০ টাকা, অ্যাংকরের বেসন ৭৫-৮৫ টাকা এবং বুটের বেসন বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ টাকায়।

সেগুনবাগিচা বাজারের মায়ের দোয়া স্টোরের সত্ত্বাধিকারী জামাল মিয়া বলেন, দাম যা বাড়ার আগেই বেড়েছে। এখন রমজানের যথেষ্ট পরিমাণ পণ্য আছে বাজারে। তাই নতুন করে বাড়েনি কিছু।

অন্যদিকে বাজারে কয়েক সপ্তাহ ধরে মাছের দাম বেশি। আকারভেদে প্রতি কেজি রুই বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৫০০ টাকায়। দেশি জলাশয়ের মাছের দাম ৮০০-১০০০ টাকা চাওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ইলিশ মাছ এক হাজার ৩৫০ থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

মাছ বিক্রেতা তোফাজ্জল মিয়া বলেন, মাংসের দাম বেড়ে যাওয়ায় পর থেকে মাছের চাহিদা বেড়েছে। তাই মাছের বাজারও একটু বাড়তি। মাছের দাম কেজিতে ন্যূনতম ৫০-১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

এদিকে বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকায়, ছাগলের মাংস ৯০০ টাকা এবং খাসির মাংস এক হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাংসের দাম নিয়ে জাহাঙ্গির নামের এক ক্রেতা বলেন, শেষ কবে মাংস কিনেছি মনে নেই। সামনে রোজা তাই একটু দাম জানতে এসেছিলাম।

(ওএস/এসপি/মার্চ ১৭, ২০২৩)