ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » খেলা » বিস্তারিত

১৪ বছর পর আজ আবাহনী-মোহামেডান ফাইনাল

২০২৩ মে ৩০ ১৩:৪৮:১৪
১৪ বছর পর আজ আবাহনী-মোহামেডান ফাইনাল

স্পোর্টস ডেস্ক : বসুন্ধরা কিংসের দাপটে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে অন্যদের টিকে থাকাই দায়। সেখানে সেই বসুন্ধরা কিংস নেই ফেডারেশন কাপের ফাইনালে। দীর্ঘদিন পর মানুষ ভুলে যাওয়া একটি লড়াইয়ের গন্ধ পেতে যাচ্ছে আজ। দুই ঐতিহ্যবাহী ক্লাব আবাহনী এবং মোহামেডানের মধ্যেকার ফাইনাল। ১৪ বছর পর ফেডারেশন কাপের ফাইনালে মুখোমুখি আজ দুই দল।

ঐতিহ্যের লড়াইয়ে কেউ কারো চেয়ে পিছিয়ে নেই। ঢাকার ক্লাব ফুটবলে সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী দুটি ক্লাব আবাহনী এবং মোহামেডান। একসময় এই দুই ক্লাবের নামেই গর্জে উঠতো স্টেডিয়ামের গ্যালারি। সেই সুদিন এখন নেই। মাঠের লড়াইয়েও জোযন জোযন ব্যবধান। আবাহনী যতটা এগিয়ে, মোহামেডান ততটা পিছিয়ে।

কুমিল্লার ধর্মসাগর পাড়ে শহীদ ধিরেন্দ্রনাথ স্টেডিয়ামে বিকাল সোয়া তিনটায় শুরু হতে যাওয়া ম্যাচটিতে তবুও যে লড়াইয়ের উত্তাপ থাকবে তা বলাই বাহুল্য। কারণ, সাবেক ফুটবলার আলফাজ আহমেদের অধীনে এবারের মোহামেডানকে একটু ভিন্ন চেহারারই মনে হচ্ছে। আবাহনীর কোচ মারিও লেমোস আত্মবিশ্বাসী হলেও মোহামেডানের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে কিছুটা হলেও উদ্বিগ্ন থাকবেন, সন্দেহ নেই।

সব মিলিয়ে ১২ বছর পর দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মুখোমুখি হচ্ছে কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে। তবে ফেডারেশন কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে ১৪ বছর পর। জমজমাট ম্যাচটি কুমিল্লার ধীরেন্দ্রনাথ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হলেও সারাদেশের ফুটবলপ্রেমীরা সরাসরি দেখতে পাবে টি-স্পোর্টসের পর্দায়।

সর্বশেষ ২০১১ সালে এই দুই দল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল কোটি টাকার সুপার কাপ ফাইনালে। সেই ফাইনাল জিতেছিল আবাহনী। এবারও কাগজে-কলমে তারা শক্তিশালী। দলের মধ্যে দেশি-বিদেশি খেলোয়াড়ের দারুণ সমন্বয়। লিগে আছে দ্বিতীয় স্থানে।
অন্যদিকে মোহামেডান তুলনামূলকভাবে শক্তিতে পিছিয়ে থাকলেও মানসিকতায় অনেকখানি এগিয়ে। আলফাজ আহমেদ কোচ হয়ে আসার পর যেন হঠাৎ করেই বদলে যেতে শুরু করেছে মোহামেডান। যে কারণে, আজকের ফাইনালে চূড়ান্তহ ফেবারিট কাউকেই ধরা যচ্ছে না।

ফাইনালের আগে আলফাজ বলেছেন, ‘টুর্নামেন্ট আর লিগ এক নয়। ফাইনাল যে কোনো দলের। মাঠের খেলার সঙ্গে ভাগ্যও জড়িয়ে থাকে।’ আবাহনীর পর্তুগিজ কোচ মারিও লেমোসও স্বীকার করছেন, ‘ফাইনাল মানে অন্য রকম উদ্দীপনা কাজ করে ফুটবলারদের মধ্যে। তাই ম্যাচে শেষ পর্যন্ত মনোযোগী থাকতে পারাটাই বড় কথা।’

সুতরাং, আজকের ফাইনাল যে বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলে নতুন উদ্দীপনা ছড়াবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সে জমজমাট ফাইনাল দেখার অপেক্ষায় সবাই।

(ওএস/এএস/মে ৩০, ২০২৩)