ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রচ্ছদ » আইন আদালত » বিস্তারিত

১৩ বছর পর সবুর হত্যা মামলার রায় 

দুইজনের মৃত্যুদণ্ড, একজনের যাবজ্জীবন

২০২৩ মে ৩১ ১৮:৪৯:২৫
দুইজনের মৃত্যুদণ্ড, একজনের যাবজ্জীবন

জে.জাহেদ, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে ১৩ বছর আগে মো. সবুর নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলার আদেশে দুজনের মৃত্যুদণ্ড, একজনের যাবজ্জীবন ও ৪ জনের বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (৩১ মে) দুপুরে চট্টগ্রামের ২য় অতিরিক্ত মহানগর ও দায়রা জজ মুহাম্মদ আমিরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) মো. সিরাজুল মোস্তফা মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. জাবেদ ও হাবিজ আহমেদ এবং যাবজ্জীবন প্রাপ্ত আসামি মো. মিন্টু মিয়া। এছাড়াও ওই মামলায় খালাস প্রাপ্তরা হলেন-হোসনে আরা, তারা বানু, পেয়ার আহমেদ এবং নুরুল আলম মেম্বার।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ‘২০১০ সালের ৫ নভেম্বর সকালের দিকে মামলার বাদি খোয়াজনগরের দখলীয় জমিতে আসামিরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অবৈধভাবে জমি দখলের চেষ্টা করলে ভিকটিম মো. আবদুল সবুর ও আঃ করিম তাদের বাধা দিলে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে আসামী মোঃ জাবেদ ছুরি দিয়ে বুকের বাম পাশে উপর্যুপরি আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে এবং আসামী হাবিজ আহমদ তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে নাভির বাম পাশের পেটে আঘাত করে। আরেক আসামী নুরুল আলম মেম্বার লোহার রড দিয়ে আঘাত করলে ভিকটিম মাটিতে পড়ে যায়।

পরে মামলার বাদী ভিকটিমের স্ত্রী খুরশিদা বেগম আর্তচিৎকার স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে ভিকটিমকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করে। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিমকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে ভিকটিমের স্ত্রী কর্ণফুলী থানায় মামলা দায়ের করে।

সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে প্রায় ১৩ বছর পর বুধবার দুজনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে যাবজ্জীবন দিয়ে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৪ জনকে খালাস দেয়া হয়। মামলা বিচার চলাকালীন সময়ে অপর আসামি ছবির আহমদ ও ফরিদ আহমদ মারা যান।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) মো. সিরাজুল মোস্তফা মাহমুদ বলেন, এ মামলায় আদালত ১১ জনের সাক্ষী নিয়েছেন। এজাহারে মোট আসামি ছিল ১০ জন।

আইনজীবি আরও জানান, ২০১১ সালে এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কর্ণফুলী থানার তৎকালীন এসআই উৎপল বড়ুয়া তদন্ত করে ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

(জেজে/এসপি/মে ৩১, ২০২৩)