ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রচ্ছদ » দেশের খবর » বিস্তারিত

বিয়ের দাবিতে এক সস্তানের জননীর প্রতারণার ফাঁদে বিবাহিত পুরুষ, ৪ দিন পর মীমাংসা

২০২৩ জুন ০৪ ১৯:২২:৫১
বিয়ের দাবিতে এক সস্তানের জননীর প্রতারণার ফাঁদে বিবাহিত পুরুষ, ৪ দিন পর মীমাংসা

একে আজাদ, রাজবাড়ী : রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ডাঙ্গীপাড়া গ্রামের মকছেদ শেখের ছেলে নয়ন আলী শেখ এর সাথে দীর্ঘদিনের সর্ম্পকের অযুহাতে বিয়ের দাবিতে কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলার হিলালপুর গ্রামের জনৈক আল আমিন’র স্ত্রী এক সন্তানের জননী বিয়ের দাবীতে ওঠেন তার বাড়ীতে।

এক পর্যায়ে সেখানে সুবিধা করতে না পেরে পাংশা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই নারী। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে ২ জুন পাংশা উপজেলার মাছপাড়া ইউনিয়নের কানুখালী জলিল কবিরাজের বাড়ীতে শালিশি বৈঠকে অর্থের বিনিময়ে দফারফা হয়েছে বলে শালিশী বোর্ডের সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ দিকে খোজ নিয়ে জানা গেছে ওই নারীর একাধীক বিয়ে হয়েছে, মাঝে মধ্যেই এরুপ করে অর্থের বিনিময়ে তা আপষ মিমাংসা করে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ায় তাদের টার্গেট। অভিযুক্ত নয়ন আলী বলেন- আমার সাথে ওই নারীর কোন সর্ম্পক ছিল না এলাকার কিছু অসৎ মানুষের সহায়তায় আমাকে হেয় করার লক্ষ্যে চক্রান্ত করে বিপদে ফেলার চেষ্ঠা করেছিল। স্থানীয় গন্যমাণ্য ব্যাক্তি বর্গের উপস্থিতিতে তা মিমাংশা হয়েছে। বিয়ের দাবীতে নয়নের বাড়ীতে উঠা ওই নারী একটি ভিডিওতে হাসি মুখে বলছেন আমাদের মধ্যে কোন সমস্যা নেই, বিষয়টি ভুল বুঝাবুঝির কারণে হয়েছে আমরা বিষয়টা মিমাংসা করে নিয়েছি। আগে আমি এক জনের চাপে পড়ে ওই সব কথা বলেছিলাম যা আগে বলেছিলাম তা মিথ্যা।

সালিশী বোর্ডের সভাপতি সাবেক ইউপি সদস্য হোসেন আলী সরদার বলেন, ওরা ওদের মধ্যে মিমাংসা করে নিয়েছে এবং থানা থেকে সকল অভিযোগ তুলে নিবে বলে সকলেই সম্মতি দিয়েছেন। তবে কত টাকায় মিমাংসা হয়েছে তা তিনি জানেন না বলে জানান।

এ ব্যাপারে ওই নারীর সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দিয়ে বন্ধ করে রাখেন।

পাংশা মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই মিজানুর রহমান বলেন, প্রথমে অভিযোগ দিলেও পরে তারা শালিশের মাধ্যমে মিমাংসা করে নিয়েছে বলে শুনেছি।

(একে/এসপি/জুন ০৪, ২০২৩)