ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » অগ্নিকন্যা » বিস্তারিত

ভারতের চন্দ্রজয়ের নেপথ্যে ৫৪ নারী বিজ্ঞানী-প্রকৌশলী

২০২৩ আগস্ট ২৪ ১৩:৫৮:২০
ভারতের চন্দ্রজয়ের নেপথ্যে ৫৪ নারী বিজ্ঞানী-প্রকৌশলী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পৃথিবীর চতুর্থ দেশ হিসেবে চন্দ্রজয় করে বুধবার (২৩ আগস্ট) ইতিহাস গড়েছে ভারত। এর আগে আর কোনো দেশ যা পারেনি, এদিন সেটিও করে দেখিয়েছে তারা। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে অবতরণ করা প্রথম যান হিসেবে নাম লিখিয়েছে ভারতের চন্দ্রযান-৩। এই সাফল্যের নেপথ্যে ছিলেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) একদল উদ্যোমী বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলী। আর তাদের মধ্যে ৫৪ জনই ছিলেন নারী।

ভারতের চন্দ্রজয়ের নেপথ্যে যারা
এক্ষেত্রে প্রথমেই আসবে ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমানাথের নাম। চাঁদে ভারতের উচ্চাভিলাষী মিশনের পেছনে প্রধান মস্তিষ্ক হিসেবে বিবেচনা করা হয় তাকে। এটি ছাড়াও গগনযান (যাত্রীবাহী মিশন) এবং আদিত্য-এল ১ (সূর্য মিশন)সহ আরও অনেক মিশনে অবদান রয়েছে এস সোমানাথের।

তিনি ছাড়াও এই চন্দ্রাভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল চন্দ্রযান-৩ প্রকল্পের পরিচালক পি ভিরামুথুভেল, মিশন পরিচালক মোহনা কুমার, বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারের পরিচালক এস উন্নীকৃষ্ণান নায়ার, ইউ আর রাও স্যাটেলাইট সেন্টারের পরিচালক এম শঙ্করন, লঞ্চ অথরাইজেশন বোর্ডের (ল্যাব) প্রধান এ রাজারাজন এবং সহযোগী প্রকল্প পরিচালক কে কল্পনার।

ভারতের চন্দ্রাভিযানে নেতৃত্ব পর্যায়ে পুরুষদের আধিপত্য দেখা গেলেও এতে নারীদের অবদানও কম নয়। জানা যায়, এই মিশনে মোট ৫৪ জন নারী বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলী সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। তারা সহযোগী পরিচালক, উপ-প্রকল্প পরিচালক এবং বিভিন্ন সিস্টেমের প্রকল্প ব্যবস্থাপকের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ইসরোর এক কর্মকর্তা।

ভারতীয় উপমহাদেশে পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীদের জন্য বাধার অন্ত নেই। কিন্তু সব বাধা পেরিয়ে তারাও আপন যোগ্যতাবলে সফল হতে পারেন- এটিই যেন বুঝিয়ে দিলেন ইসরোর নারীরা।

তথ্যসূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া

(ওএস/এএস/আগস্ট ২৪, ২০২৩)