ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১

প্রচ্ছদ » বিনোদন » বিস্তারিত

আমাদের চলচ্চিত্র দেশের অঙ্গন ছাড়িয়ে বিদেশেও সমাদৃত হোক

২০২৩ নভেম্বর ১৫ ০০:২৭:০৪
আমাদের চলচ্চিত্র দেশের অঙ্গন ছাড়িয়ে বিদেশেও সমাদৃত হোক

স্টাফ রিপোর্টার : চলচ্চিত্র দেশের অঙ্গন ছাড়িয়ে বিদেশেও সমাদৃত হোক, এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২২’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।

জাতির পিতার ছোট কন্যা এবং প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

সন্ধ্যায় তারার মেলা বসেছিল বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিনয়শিল্পী খসরু ও রোজিনাকে আজীবন সম্মাননাসহ ২৭টি বিভাগে ৩১ জনের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে প্রথমেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি বিশ্বাস করি, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দেশে সুস্থ চলচ্চিত্র নির্মাণে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত করবে। চলচ্চিত্র একটি শক্তিশালী মাধ্যম যা ইতিহাস, ঐতিহ্য, আশা-আকাঙ্ক্ষা উপস্থাপনের মাধ্যমে মানুষকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি বিনোদন দেয়। একটি ভালো চলচ্চিত্র মানবিক গুণাবলির বিকাশে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে।

চলচ্চিত্রের অসীম শক্তি উপলব্ধি করে পূর্ব পাকিস্তান ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন বিল, যা বঙ্গবন্ধু ১৯৫৭ সালের ২৭ মার্চ অস্থায়ী আইনসভায় উত্থাপন করেছিলেন এবং একই বছরের ৩ এপ্রিল পাস হয়েছিল।

১৯৫৯ সাল থেকে সীমিত সুযোগ-সুবিধা নিয়ে নিয়মিতভাবে চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু হয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জহির রায়হান পরিচালিত কালজয়ী চলচ্চিত্র ‘স্টপ জেনোসাইড’ মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরতা তুলে ধরে বিশ্ব জনমতকে একত্রিত করতে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছর ধরে দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। গাজীপুরের কবিরপুরে ১০৫ একর জমিতে বঙ্গবন্ধু ফিল্ম সিটি প্রতিষ্ঠা করেছি। ফিল্ম সিটির সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নের জন্য ৩৭৯ কোটি টাকার একটি নতুন প্রকল্প শুরু হতে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, চলচ্চিত্রকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা করেছি। ‘জাতীয় চলচ্চিত্র নীতি-২০১৭’ প্রণয়ন করা হয়েছে। চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য মেধাবী ও দক্ষ কর্মী তৈরির জন্য আমরা চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছি। আমরা প্রতিনিয়ত অস্বচ্ছল চলচ্চিত্র শিল্পী ও সহশিল্পীদের অনুদান দিয়ে যাচ্ছি।

সরকার চলচ্চিত্র সেন্সর আইন ও বিধিমালা হালনাগাদ করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, চলচ্চিত্র সেন্সর না করে সার্টিফিকেশন ব্যবস্থা চালু করে হালনাগাদ আইনের খসড়া মন্ত্রিসভা অনুমোদন করেছে।

তিনি বলেন, আমরা চাই, আমাদের চলচ্চিত্র দেশের অঙ্গন ছাড়িয়ে বিদেশেও সমাদৃত হোক। তিনি এ বিষয়টিতেও নজর দেওয়ার জন্য চলচ্চিত্র শিল্পী, কলা-কুশলী সবার প্রতি আহ্বান জানান। কেননা মানুষের জীবনে যেহেতু স্বচ্ছলতা এসেছে এবং তারা বিনোদনের দিকেও ঝুঁকছে কাজেই তাদের জন্য বিনোদনের ক্ষেত্রটাও আপনারা তৈরি করে দিতে পারেন।

তিনি বলেন, আমাদের যারা চলচ্চিত্র অঙ্গনের ভাইবোনেরা এখানে আছেন, বিভিন্ন চলচ্চিত্র নির্মাণ করছেন, তাদের আমি বলবো আপনারা একটু নজর দিলে সমাজের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে যে ভালো ভালো চলচ্চিত্র নির্মাণ করা যায় এরই মধ্যে আপনারা প্রমাণ করেছেন। ইদানিং নির্মিত অনেক চলচ্চিত্রই মানসম্পন্ন এবং পারিবারিক বিনোদনধর্মী বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি শিশুতোষ চলচ্চিত্র নির্মাণ বৃদ্ধি করার ওপর গুরুত্বারোপ করে এজন্য তার সরকার প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেবে বলে জানান।

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু। স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবির খন্দকার। আজীবন সম্মাননা প্রাপ্ত শিল্পি রোজিনা অনুষ্ঠানে নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করেন।

(ওএস/এএস/নভেম্বর ১৫, ২০২৩)