প্রচ্ছদ » খেলা » বিস্তারিত
বাইসাইকেল কিকে গারনাচোর চোখ ধাঁধানো গোল
২০২৩ নভেম্বর ২৭ ১৫:১০:৫২স্পোর্টস ডেস্ক : এ ধরনের গোল সচরাচর দেখা যায় না। কেউ কেউ তো মৌসুমের সেরা গোলের স্বীকৃতিও দিয়ে দিতে চাচ্ছেন। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের আর্জেন্টাইন তারকা আলেহান্দ্রো গারনাচো বক্সের বামকোন থেকে যেভাবে দূর পাল্লার বাইসাইকেল কিকে গোল করে এভার্টনকে হারালো, তা রীতিমত বিস্ময়কর। যেই দেখেছে, চোখ ধাঁধানো গোলটি লেগে আছে তার চোখে।
রবিবার রাতে খেলার তৃতীয় মিনিটেই আলেহান্দ্রো গার্নাচোর দুর্দান্ত বাইসাইকেল কিকে গোলের সঙ্গে এভার্টনের জালে আরও দু’বার বল জড়িয়েছে ম্যানইউ। সে সঙ্গে চেনা ছন্দে ফিরে এসেছে রেড ডেভিলরা। এভার্টনের মাঠে গিয়ে ৩-০ গোলে হারিয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
বয়স এখনও খুবই কম। অনূর্ধ্ব-১৯ এর গন্ডিও পার হননি। এই বয়সেই গার্নাচোকে বিশ্বের সম্ভাব্য সেরা ফুটবলার হিসেবেই গণ্য করা হচ্ছে। তার প্রমাণও তিনি দিলেন অসাধারণ বাইসাইকেল কিকটি করে।
গোডিসন পার্কে ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে প্রায় মাঝ মাঠ থেকে বল চলে যায় এভার্টনের বক্সের ডানপ্রান্তে। সেখান থেকে লম্বা ক্রস করেন দিয়েগো দালত। বল বাতাসে ভেসে চলে যাচ্ছিলো ডান উইংয়ে। পেছন দিকে গিয়ে প্রায় ২০ গজ দুর থেকে অ্যাক্রোবেটিক স্টাইলে হঠাৎই বাইসাইকেল কিকটি করে বসেন গার্নাচো। চোখের পলকে গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ডকে ফাঁকি দিয়ে সেটা জড়িয়ে যায় এভার্টনের জালে।
অসাধারণ গোলটি করে এসে ঠিক ক্রিশ্চিয়নো রোনালদো স্টাইলেই উদযান করলেন তিনি। ম্যানইউর হয়ে অন্য গোলদুটি করেছেন মার্কাস রাশফোর্ড এবং অ্যান্থোনি মার্শাল। রাশফোর্ড গোল করেন ৫৬ মিনিটে পেনাল্টিতে। অধিনায়ক ব্রুনো ফার্নান্দেজ নিজে পেনাল্টি কিক না নিয়ে তাকে কিক নিতে দেন। মার্শালের গোল এসেছে ৭৫ মিনিটে।
গার্নাচোর এই গোলের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে রুনি এবং ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর সেই দুটি বিখ্যাত গোলের সঙ্গে। ২০১১ সালে ম্যানসিটির বিপক্ষে ঠিক এ ধরনের একটি গোল করেছিলেন তখনকার ম্যানইউ তারকা ওয়েন রুনি। একই ধরনের অ্যাক্রোবেটিক স্টাইলে গোল করেছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোও। ২০১৮ সালে জুভেন্টাসের বিপক্ষে অনেক উঁচুতে উঠে অসাধারণ গোলটি করেন তিনি।
তবে ম্যানইউ কোচ এরিক টেন হাগ এখনই, এত অল্প বয়সে গার্নাচোকে প্রশংসার জোয়ারে ভাসাতে চান না। তিনি চান প্রিয় শিষ্যকে আগলে রাখতে। এ কারণে তিনি বলেছেন, ‘গারনাচোর বয়স এখনও অনেক কম। সামনে তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ পড়ে আছে। দুই গ্রেট ফুটবলারের সঙ্গে (রুনি-রোনালদো) সঙ্গে তুলনা করার আগে তার এখনও অনেক কাজ করার বাকি আছে।’
তিনি বলেন, ‘তুলনা করবেন না। আমি মনে করি না এটা ঠিক। তাদের সবারই আলাদা আলাদা পরিচয় আছে। তবে গার্নাচোর ক্ষেত্রে বলতে হয়, তার সামনে এখনও অনেক কিছু অর্জনের বাকি আছে। তার এখনও অনেক বেশি পরিশ্রম করা উচিৎ। আপনাকে অবশ্যই ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যেতে হবে। না হলে কিছু হবে না।’ তবে এ ধরনের গোল যে সচরাচর করা সম্ভব নয়, তা তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন।
এভার্টন কোচ সিন ডাইচিও মুগ্ধ হয়ে গেছেন তার দলের বিপক্ষে করা গার্নাচোর গোলটি সম্পর্কে। তিনি বলে দিয়েছেন, তার নিজের সারাজীবনে দেখা সেরা গোল এটি (গোল অব লাইফটাইম)।
(ওএস/এসপি/নভেম্বর ২৭, ২০২৩)