প্রচ্ছদ » দেশের খবর » বিস্তারিত
বরিশাল-১ আসন
জাতীয় পার্টির প্রার্থী ছেরনিয়াবাত সেকেন্দার আলীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লংঘনের অভিযোগ
২০২৩ ডিসেম্বর ০৭ ১৭:৩৪:০৮
আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ তো দুরের কথা রিটার্নি অফিসার কর্তৃক প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণার আগেই দলীয় প্রতীকে ভোট প্রার্থণা করে নির্বাচন কমিশনের আচরণ বিধি লংঘনের অভিযোগ উঠেছে বরিশাল-১ আসনের জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী এ্যাড, ছেরনিয়াবাত সেকেন্দার আলীর বিরুদ্ধে।
অভিযোগে জানা গেছে- নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ি গত ৩০ নভেম্বর মনোনয়নয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় নির্ধারণ থাকলেও বরিশাল-১ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ‘এ্যাড. ছেরনিয়াবাত সেকেন্দার আলী’ গত ২৫ নভেম্বর তার নামের ভেরিফাইড ফেইসবুক পেইজে নিজেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী দাবি করে লাঙ্গল মার্কায় ভোট চেয়েছেন। তিনি ২৫ নভেম্বর তার নিজের আইডিতে পোস্ট করে জানান- মনোনয়নপত্র ফরম ক্রয় ও সাক্ষাৎকার সম্পন্ন করেছি। সামনে আছে শুভ দিন লাঙ্গল মার্কায় ভোট দিন। অথচ তিনি জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে তখনও মনোনীত হননি। পরে দলের মনোনয়ন পেয়ে দলীয় মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন ৩০ নভেম্বর।
মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পর, ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের আগে একই ভাবে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার নিজের আইডি থেকে ৪ ও ৫ ডিসেম্বর একাধিক পোষ্টে লাঙ্গল মার্কায় ভোট চেয়ে পোষ্ট করেছেন মিছিল মিটিং এর ছবি। ২৭ নভেম্বর একটি ভিডিও বার্তায় কেন্দ্রীয় জাতীয় ছাত্র সমাজের নির্বাহী কমিটির প্রাদেশিক সম্পাদক মায়িন মাসুদও দলের প্রার্থী এ্যাড. ছেরনিয়াবাত সেকেন্দার আলীর জন্য লাঙ্গল মার্কায় ভোট প্রার্থণা করেন, যা ৫ ডিসেম্বর বরিশাল-১ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী এ্যাড. ছেরনিয়াবাত সেকেন্দার আলী নিজের আইডি থেকে পোষ্ট করেন।
নির্বাচন কমিশনের আচরনবিধির ১২ অনুচ্ছেদে ‘ভোট গ্রহনের তিন সপ্তাহ সময়ের পূর্বে কোন প্রকার নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করতে পারবেন না মর্মে উল্লেখ থাকলেও জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী এ্যাড. ছেরনিয়াবাত সেকেন্দার আলী ও তার দলের নেতা-কর্মীরাও সুস্পস্ট লংঘন করে চলেছেন।
এ বিষয়ে সচেতন নাগরিক সমাজ বরিশার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসারের কাছে আইন লংঘনকারী প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
(টিবি/এসপি/ডিসেম্বর ০৭, ২০২৩)