প্রচ্ছদ » দেশের খবর » বিস্তারিত
গোপালগঞ্জে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ
২০২৪ ফেব্রুয়ারি ০৮ ১৩:২৯:৫৩
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের বাঁশবাড়িয়া পরিজান বেগম মহিলা কওমি মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ওই মাদ্রাসার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে এ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
ধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থীকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে মুকসুদপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া পরিজান বেগম মহিলা কওমী মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. দ্বীপ সাহা ধর্ষণের বিষয় নিশ্চিত করেছেন।
মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফুল আলম জানান, মুকসুদপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া পরিজান বেগম মহিলা কওমি মাদ্রাসা থেকে অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতে যায় ওই শিক্ষার্থী। তার শারীরিক অসুস্থতা ও পোশাকে রক্ত দেখে পরিবারের লোকজন তাকে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাপাতালে পাঠানো হয়েছে। মাদ্রাসার এক শিক্ষক তাকে নিয্যাতন করেছে বলে ওই শিক্ষার্থী জানিয়েছে ।
ওসি আরো বলেন, ইতিমধ্যে বাঁশবাড়িয়া পরিজান বেগম মহিলা কওমী মাদ্রাসায় গিয়েছি। সেখানে কোন শিক্ষকে পাওয়া যায়নি। ধারনা করা হচ্ছে মাদ্রাসার কোন শিক্ষকই এই ঘটনা ঘটাতে পারে। ধর্ষককে শনাক্তের কাজ চলছে । দ্রুত সময়ের মধ্যে ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
ওই মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর বাবা জানান, আমার মেয়ে বাঁশবাড়িয়া পরিজান বেগম মহিলা কওমী মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। আমার মেয়ে মাদ্রাসা থেকে বাড়িতে আসার পরে তাকে শারীরিক ভাবে খুবই অসুস্থ ও জামা কাপড়ে রক্তের দাগ দেখে হাসপাতালে নিয়ে যাই। মেয়ে বলেছে মাদ্রাসা থেকে তার হুজুর তার সাথে খারাপ কাজ করেছে। পরে সে অচেতন হয়ে পড়ে। কোন কথা বলতে পারেনি। হাসপাতালে ভর্তি করার পর ডাক্তার ও নার্স শারীরিক অবস্থা দেখে আমাদের জানায় আমার মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, হুজুরের কাছে দিয়েছিলাম দ্বীনের শিক্ষা নিতে, সেই হুজুর আমার মেয়েকে ধর্ষণ করলো? তাহলে সন্তানের নিরাপত্তা কোথায়? কোথায় দিবো শিক্ষাগ্রহন করতে? শিক্ষক বাবার সমান, সেই শিক্ষক কিভাবে একাজ করতে পারলো? আমি আমার মেয়ের ধর্ষণের বিচার চাই।
মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক কর্মকর্তা ডা. দ্বীপ সাহা জানান, শিশুটির অবস্থা দেখে প্রাথমিকভাবে ধর্ষণ মনে হয়েছে। পরে নার্স ডেকে তাকে প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা করা হলে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়। শিশুটির শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হামপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা ।
(এমএস/এএস/ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২৪)
