প্রচ্ছদ » ফিচার » বিস্তারিত
টাঙ্গাইলের হাতে ভাজা মুড়ির কদর বেড়েছে সারাদেশে
২০২৪ মার্চ ১৮ ১৯:৪০:৫০![টাঙ্গাইলের হাতে ভাজা মুড়ির কদর বেড়েছে সারাদেশে](http://www.u71news.com/article_images/2024/03/18/IMG_20240318_190709.jpg)
স্টাফ রিপোর্টার, টাঙ্গাইল : পবিত্র রমজান মাসের ইফতারির রকমারি উপাদানের মধ্যে মুড়ি অত্যাবশ্যকীয়। মুড়ির চাহিদা বছরব্যাপী থাকলেও রোজার সময় উৎপাদন এবং বিক্রি বহুগুণে বেড়ে যায়। ফলে মুড়ি ব্যবসায়ীরা বছরজুড়ে অপেক্ষায় থাকেন রমজান মাসের জন্য।
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নারান্দিয়ার মুড়ির চাহিদা দেশজুড়ে। বর্তমানে এখানকার মুড়ি তৈরির কারিগর ও ব্যবসায়ীদের দম ফেলার ফুরসত নেই।
জানা যায়, টাঙ্গাইলসহ দেশের আট জেলায় মুড়ি সরবরাহ হয়ে থাকে জেলার কালিহাতী উপজেলার নারান্দিয়া থেকে। এখানকার উৎপাদিত মুড়ির সুনাম দেশের বিভিন্ন স্থানে। এখানে দুইভাবে মুড়ি উৎপাদিত হয়, হাতে ভেজে ও মেশিনের সাহায্যে।
মুড়ি উত্পাদনকারী এলাকাগুলোর মধ্যে নারান্দিয়া শীর্ষে। নারান্দিয়ার শতাধিক বাড়িতে হাতে ভেজে মুড়ি উৎপাদিত হয়।
এ ছাড়া উপজেলার নারান্দিয়া, নগরবাড়ী, দৌলতপুর, লুহুরিয়া, সিংহটিয়াসহ প্রায় ১৫টি গ্রামের কয়েক'শ পরিবার হাতে ভেজে মুড়ি তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। একজন ব্যক্তি এক দিনে এক থেকে দেড় মণ চালের মুড়ি ভাজতে পারেন।
প্রতি মণ চালে ২২ থেকে ২৩ কেজি মুড়ি হয়। প্রতি কেজি মুড়ি পাইকারি ৯০ থেকে ১০০ টাকা এবং খুচরা ১০০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে।
দৌলতপুর গ্রামের রাধা রানী মোদক বলেন, ‘আমরা বংশপরম্পরায় মুড়ি ভাজা ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। ধান সিদ্ধ করে রোদে শুকানোর পর আবার সেই ধান মেশিনে মাড়াই করে মুড়ি ভাজার জন্যে চাল তৈরি করা হয়। পরে সেই চাল দিয়ে লবণজলের মিশ্রণে আগুনে তাপ সহ্য করে বিশুদ্ধ মুড়ি ভাজতে অনেক পরিশ্রম হয়। পরিশ্রমের তুলনায় তেমনটা লাভ হয় না।’
অধীর মোদক বলেন, ‘মুড়ি ভাজার প্রতি মণ ধান এক হাজার ৩০০ টাকা। এক মণ ধানের মুড়ি ভাজতে খড়ি, লবণ, যাতায়াত ও ধান ভাঙানোর খরচ আরো ১৫০ টাকা।’
প্রতিদিন লক্ষাধিক টাকার হাতে ভাজা মুড়ি উৎপাদন ও কেনাবেচা করা হয়। তবে পরিশ্রমের লাভ বেশির ভাগই চলে যায় মধ্যস্বত্বভোগীদের পকেটে। যাতায়াতব্যবস্থা ভালো থাকায় সিরাজগঞ্জ, ঢাকা, ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, বগুড়া, শেরপুর ও গাজীপুরের নারান্দিয়ার মুড়ি সরবরাহ করা হয়।
তবে প্রযুক্তির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছেন না হাতে ভাজা মুড়ি উৎপাদনকারীরা। টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম বলেন, নারান্দিয়ার হাতে ভাজা মুড়ির চাহিদা ও সুনাম রয়েছে। মুড়ি ভাজা কারিগরদের তালিকা করে সাহায্য করার উদ্যোগ নেব।
(এসএএম/এএস/মার্চ ১৮, ২০২৪)